রুদ্র রুহান, বরগুনা
বরগুনার মৎস্যজীবীদের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে পদ্মা সেতু। সেতু তাঁদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেবে—সেই আশায় মুখিয়ে আছেন জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা। সামুদ্রিক মাছের আধার হিসেবে পরিচিত বরগুনার মানুষের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ। জেলেরা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের আগ্রাসন থেকে সামুদ্রিক মাছের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই কিছুটা হলেও নিস্তার পাবেন।
এ ছাড়া যোগাযোগ সহজ ও দ্রুত হওয়ায় মৎস্যকেন্দ্রিক শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। এতে এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থান হবে বলেও মনে করছেন মৎস্য-সংশ্লিষ্টরা। যে কারণে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে নতুন পরিকল্পনা, ভাবনায় ব্যস্ত বরগুনার মানুষ। তাঁরা বলছেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য ঢাকায় আসা-যাওয়া সহজ করার পাশাপাশি অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটাবে। বিশেষ করে ইলিশসহ বরগুনায় যে সামুদ্রিক মাছ আহরণ করা হয়, তা সহজে পাঠানো যাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত ৪০টি জেলায়।
জেলা মৎস্য বিভাগ ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে কাজ করছে, এমন বেসরকারি সংস্থার তথ্যমতে, বরগুনা জেলার দেড় লাখের বেশি পরিবার সরাসরি সামুদ্রিক মৎস্যের ওপর নির্ভরশীল। পাথরঘাটার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এখানকার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনে বিক্রীত প্রতি ১০০ টাকার মাছ থেকে ১ টাকা রাজস্ব পায় সরকার।
মৎস্যজীবীরা বলছেন, পদ্মা সেতুর ফলে তাজা মাছ সরবরাহ করা যাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। কম টাকায় সামুদ্রিক মাছ খেতে পারবে সবাই। আর মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হলে এখানকার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও বাড়বে।
পাথরঘাটা পদ্মা এলাকার জেলে আবুল কালাম মনে করেন, পদ্মা সেতু চালু হলে পাইকারেরা রাতের মাছ সকালে ঢাকাতে বিক্রি করতে পারবেন। এতে দীর্ঘ সময় প্রক্রিয়াজাতকরণের ঝামেলা ও খরচ কমবে। পাইকারদের খরচ কমলে জেলেরা দামও বেশি পাবেন।
পাথরঘাটা মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের আড়তদার কামাল হোসেন বলেন, ‘যে টাকা দিয়ে জেলেদের থেকে মাছ কিনি, তা ঢাকায় পাঠাতে প্যাকিং, বরফ ও পরিবহনে প্রায় সমপরিমাণ খরচ হয়। মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় মাওয়া ঘাটে ফেরির সিরিয়ালের জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এর পুরো প্রভাবটা পড়ে মাছের ওপর। এ কারণে মাছের দামও বাড়তি থাকে বছরজুড়ে। এবার আমাদের সেই সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আর ঘাটে চাঁদা দিতে হবে না।’
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘পাথরঘাটা মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনে মাছ কিনতে আসা পাইকারদের বেশির ভাগ উত্তরাঞ্চলের। মাওয়া ফেরির কারণে ঢাকার পাইকার ও বড় ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম থেকে মাছ কেনেন। কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই ঢাকার বড় মৎস্য ব্যবসায়ীরা এখনই আমাদের সঙ্গে মাছ ক্রয়ের চুক্তি করতে যোগাযোগ শুরু করেছেন।’
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) পাথরঘাটার ব্যবস্থাপক লে. মো. লুৎফর রহমান (বিএন) বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় বরগুনার অনেক ট্রলার চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলে গিয়ে মাছ বিক্রি করত। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হলে চট্টগ্রাম, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও নোয়াখালীর জেলেরাও মাছ শিকার শেষে পাথরঘাটা অবতরণ কেন্দ্রে এসে বিক্রি করবেন।’
বরগুনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় এ অঞ্চলের মৎস্য ও কৃষিসামগ্রী ঢাকায় পৌঁছানো যেত না। পদ্মা সেতুর কারণে এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প। ফলে প্রক্রিয়াজাতসামগ্রী দ্রুত ঢাকাসহ সারা দেশে পৌঁছানো যাবে, সরাসরি বিদেশেও পাঠানো যাবে।’
বরগুনার মৎস্যজীবীদের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে পদ্মা সেতু। সেতু তাঁদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেবে—সেই আশায় মুখিয়ে আছেন জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা। সামুদ্রিক মাছের আধার হিসেবে পরিচিত বরগুনার মানুষের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ। জেলেরা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের আগ্রাসন থেকে সামুদ্রিক মাছের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই কিছুটা হলেও নিস্তার পাবেন।
এ ছাড়া যোগাযোগ সহজ ও দ্রুত হওয়ায় মৎস্যকেন্দ্রিক শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। এতে এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থান হবে বলেও মনে করছেন মৎস্য-সংশ্লিষ্টরা। যে কারণে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে নতুন পরিকল্পনা, ভাবনায় ব্যস্ত বরগুনার মানুষ। তাঁরা বলছেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য ঢাকায় আসা-যাওয়া সহজ করার পাশাপাশি অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটাবে। বিশেষ করে ইলিশসহ বরগুনায় যে সামুদ্রিক মাছ আহরণ করা হয়, তা সহজে পাঠানো যাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত ৪০টি জেলায়।
জেলা মৎস্য বিভাগ ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে কাজ করছে, এমন বেসরকারি সংস্থার তথ্যমতে, বরগুনা জেলার দেড় লাখের বেশি পরিবার সরাসরি সামুদ্রিক মৎস্যের ওপর নির্ভরশীল। পাথরঘাটার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এখানকার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনে বিক্রীত প্রতি ১০০ টাকার মাছ থেকে ১ টাকা রাজস্ব পায় সরকার।
মৎস্যজীবীরা বলছেন, পদ্মা সেতুর ফলে তাজা মাছ সরবরাহ করা যাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। কম টাকায় সামুদ্রিক মাছ খেতে পারবে সবাই। আর মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হলে এখানকার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও বাড়বে।
পাথরঘাটা পদ্মা এলাকার জেলে আবুল কালাম মনে করেন, পদ্মা সেতু চালু হলে পাইকারেরা রাতের মাছ সকালে ঢাকাতে বিক্রি করতে পারবেন। এতে দীর্ঘ সময় প্রক্রিয়াজাতকরণের ঝামেলা ও খরচ কমবে। পাইকারদের খরচ কমলে জেলেরা দামও বেশি পাবেন।
পাথরঘাটা মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের আড়তদার কামাল হোসেন বলেন, ‘যে টাকা দিয়ে জেলেদের থেকে মাছ কিনি, তা ঢাকায় পাঠাতে প্যাকিং, বরফ ও পরিবহনে প্রায় সমপরিমাণ খরচ হয়। মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় মাওয়া ঘাটে ফেরির সিরিয়ালের জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এর পুরো প্রভাবটা পড়ে মাছের ওপর। এ কারণে মাছের দামও বাড়তি থাকে বছরজুড়ে। এবার আমাদের সেই সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আর ঘাটে চাঁদা দিতে হবে না।’
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘পাথরঘাটা মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনে মাছ কিনতে আসা পাইকারদের বেশির ভাগ উত্তরাঞ্চলের। মাওয়া ফেরির কারণে ঢাকার পাইকার ও বড় ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম থেকে মাছ কেনেন। কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই ঢাকার বড় মৎস্য ব্যবসায়ীরা এখনই আমাদের সঙ্গে মাছ ক্রয়ের চুক্তি করতে যোগাযোগ শুরু করেছেন।’
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) পাথরঘাটার ব্যবস্থাপক লে. মো. লুৎফর রহমান (বিএন) বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় বরগুনার অনেক ট্রলার চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলে গিয়ে মাছ বিক্রি করত। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হলে চট্টগ্রাম, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও নোয়াখালীর জেলেরাও মাছ শিকার শেষে পাথরঘাটা অবতরণ কেন্দ্রে এসে বিক্রি করবেন।’
বরগুনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকায় এ অঞ্চলের মৎস্য ও কৃষিসামগ্রী ঢাকায় পৌঁছানো যেত না। পদ্মা সেতুর কারণে এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প। ফলে প্রক্রিয়াজাতসামগ্রী দ্রুত ঢাকাসহ সারা দেশে পৌঁছানো যাবে, সরাসরি বিদেশেও পাঠানো যাবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪