আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে মাদকসহ আটকের পর আইন প্রয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযানে একই অপরাধে তিন ব্যক্তিকে আটক করলেও মূল হোতাকে ‘টাকার বিনিময়ে’ ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে। অন্য দুজনকে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
মামলা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মার্চ সকালে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরকুটি ভাঙামোড় তেপতি এলাকায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আসাদুল হকের নেতৃত্বে একটি দল। এ সময় তিন ব্যক্তিকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল, একটি স্ক্যাফ সিরাপসহ আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাঁরা হলেন ইমান মেহেদী হাসান সৌরভ (৩১), রোমান মিয়া (২৬) ও মোরশেদ আলম (২৪)। সৌরভের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। অপর দুজনের বাড়ি শেরপুর। পেশায় প্রকৌশলী সৌরভ মূল হোতা। রোমান ও মোরশেদ তাঁর সহযোগী। তাঁরা পূর্বপরিচিত এবং চোরাচালানের উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রামে এসেছিলেন।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, আটকের পর আসাদুলের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করেন সৌরভ। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে অব্যাহতির অনুরোধ জানান। সমঝোতা হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে ওই দিন দুপুরের পর তাঁকে আবারও ঘটনাস্থলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিন দিনের সাজা দেওয়া হয়। নাগেশ্বরী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অপর দুই যুবককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁরা বর্তমানে কুড়িগ্রাম কারাগারে বন্দী।
অটোরিকশা থেকে তিন যুবককে আটক করা হলেও এজাহারে দুজনের বর্ণনা দিয়েছেন মামলার বাদী আসাদুল।
মামলার সাক্ষী ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অভিযানে অটোরিকশা থেকে তিন যুবককে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দলটি। আটকের পর মাদকের বোতল গণনা করে তিনজনকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। দুপুরের পর একজনকে নিয়ে আবারও ঘটনাস্থলে আসে দলটি। সেখানে আদালত বসিয়ে একজনের সাজা দেওয়া হয়। মামলার সাক্ষী হিসেবে অটোরিকশার চালক শওকত ও স্থানীয় বাবুর্চি মফিজুল ইসলামের নাম রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেও তিনজনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দুই আসামি রোমান ও মোরশেদের সঙ্গে কারাগারে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা জানান, ইমান মেহেদী হাসান সৌরভ তাঁদের ১০ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তিতে ভারতীয় কসমেটিকস পরিবহনের কথা বলে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে ৮ মার্চ উপজেলার আন্ধারীরঝাড় এলাকা থেকে তারা সিএনজি অটোরিকশা করে কুড়িগ্রাম শহরের পথে রওনা হন।
কসমেটিকসের পরিবর্তে ব্যাগে ফেনসিডিল দেখে তাঁরা আপত্তি জানান। কিন্তু সৌরভ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজি করান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল তাঁদের আটক করে নাগেশ্বরী থানায় নেয়। পরে সৌরভকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন দিনের সাজা দিলেও তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসাদুল বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা পরস্পর সহযোগী নন। এ জন্য একজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে।’ সকালে আটক করে দুপুরের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই তথ্য সঠিক নয়।’ টাকার বিনিময়ে মূল হোতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার প্রশ্নে আসাদুল বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’
সহকারী কমিশনার আশিক আহমেদ বলেন, ‘ওই দিন দুপুরের দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে একজনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। অপর দুজনের কাছে বেশি পরিমাণ মাদক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়া হয়েছে। আসামিদের সকালে আটক করার বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি।’ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অপরাধ সংঘটিত না হলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা আইনসিদ্ধ কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আটকের সময় আমি না থাকলেও সাক্ষীদের সামনে আসামি দোষ স্বীকার করেছেন।’
অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু জাফর।
কুড়িগ্রামে মাদকসহ আটকের পর আইন প্রয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযানে একই অপরাধে তিন ব্যক্তিকে আটক করলেও মূল হোতাকে ‘টাকার বিনিময়ে’ ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে। অন্য দুজনকে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
মামলা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মার্চ সকালে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরকুটি ভাঙামোড় তেপতি এলাকায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আসাদুল হকের নেতৃত্বে একটি দল। এ সময় তিন ব্যক্তিকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল, একটি স্ক্যাফ সিরাপসহ আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাঁরা হলেন ইমান মেহেদী হাসান সৌরভ (৩১), রোমান মিয়া (২৬) ও মোরশেদ আলম (২৪)। সৌরভের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। অপর দুজনের বাড়ি শেরপুর। পেশায় প্রকৌশলী সৌরভ মূল হোতা। রোমান ও মোরশেদ তাঁর সহযোগী। তাঁরা পূর্বপরিচিত এবং চোরাচালানের উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রামে এসেছিলেন।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, আটকের পর আসাদুলের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করেন সৌরভ। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে অব্যাহতির অনুরোধ জানান। সমঝোতা হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে ওই দিন দুপুরের পর তাঁকে আবারও ঘটনাস্থলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিন দিনের সাজা দেওয়া হয়। নাগেশ্বরী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অপর দুই যুবককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁরা বর্তমানে কুড়িগ্রাম কারাগারে বন্দী।
অটোরিকশা থেকে তিন যুবককে আটক করা হলেও এজাহারে দুজনের বর্ণনা দিয়েছেন মামলার বাদী আসাদুল।
মামলার সাক্ষী ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অভিযানে অটোরিকশা থেকে তিন যুবককে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দলটি। আটকের পর মাদকের বোতল গণনা করে তিনজনকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। দুপুরের পর একজনকে নিয়ে আবারও ঘটনাস্থলে আসে দলটি। সেখানে আদালত বসিয়ে একজনের সাজা দেওয়া হয়। মামলার সাক্ষী হিসেবে অটোরিকশার চালক শওকত ও স্থানীয় বাবুর্চি মফিজুল ইসলামের নাম রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেও তিনজনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দুই আসামি রোমান ও মোরশেদের সঙ্গে কারাগারে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা জানান, ইমান মেহেদী হাসান সৌরভ তাঁদের ১০ হাজার টাকা দেওয়ার চুক্তিতে ভারতীয় কসমেটিকস পরিবহনের কথা বলে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে ৮ মার্চ উপজেলার আন্ধারীরঝাড় এলাকা থেকে তারা সিএনজি অটোরিকশা করে কুড়িগ্রাম শহরের পথে রওনা হন।
কসমেটিকসের পরিবর্তে ব্যাগে ফেনসিডিল দেখে তাঁরা আপত্তি জানান। কিন্তু সৌরভ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজি করান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল তাঁদের আটক করে নাগেশ্বরী থানায় নেয়। পরে সৌরভকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন দিনের সাজা দিলেও তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসাদুল বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা পরস্পর সহযোগী নন। এ জন্য একজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে।’ সকালে আটক করে দুপুরের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই তথ্য সঠিক নয়।’ টাকার বিনিময়ে মূল হোতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার প্রশ্নে আসাদুল বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’
সহকারী কমিশনার আশিক আহমেদ বলেন, ‘ওই দিন দুপুরের দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে একজনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। অপর দুজনের কাছে বেশি পরিমাণ মাদক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়া হয়েছে। আসামিদের সকালে আটক করার বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি।’ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অপরাধ সংঘটিত না হলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা আইনসিদ্ধ কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আটকের সময় আমি না থাকলেও সাক্ষীদের সামনে আসামি দোষ স্বীকার করেছেন।’
অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু জাফর।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪