রানা আব্বাস, ঢাকা
ব্যাটিংয়ের মতো মুমিনুল হকের উদ্যাপনেও মিশে থাকে এক অলস সৌন্দর্য। ফিফটি কিংবা সেঞ্চুরির পর ড্রেসিংরুম অথবা দর্শকদের দিকে ব্যাট উঁচু করতে হয় বলেই বোধ হয় করেন। গতকালও ব্যতিক্রম হয়নি। ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের শর্ট বলে আপার কাটে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ড্রেসিংরুমের দিকে হেলমেট খুলে ব্যাটটা উঁচিয়ে ধরলেন শুধু।
উদ্যাপন যেমনই হোক, দীর্ঘ এক অপেক্ষার শেষে মুমিনুলের মনে অবশ্যই স্বস্তির হাওয়া। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর কথাতেও বোঝা গেল, কতটা প্রতীক্ষিত ছিল এই সেঞ্চুরি। তবে সবচেয়ে কি বেশি খুশি হলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে? ডাগআউট থেকে উঠে এসে দাঁড়িয়ে তালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন মুমিনুলকে। ৩৭০ রানের লিড নিয়ে গতকাল তৃতীয় দিনের সকালেই হাথুরু জানিয়ে রেখেছিলেন, হাতে যেহেতু পর্যাপ্ত সময় আছে, ইনিংস ঘোষণার চেয়ে ব্যাটারদের সুযোগ করে দেওয়াই তাঁর মূল লক্ষ্য।
নির্ভার থেকে এমন ব্যাটিং করার সুযোগ প্রতিদিন মেলে না। সে সুযোগটা দুই হাতে লুফে নিলেন মুমিনুল ও নাজমুল হাসান শান্ত।
দুর্দান্ত ছন্দে থাকা শান্তর ছুটে চলার গল্প তো নিয়মিতই লেখা হচ্ছে। গতকালও রেকর্ড বইয়ের বেশ কিছু পাতায় নিজের নাম লিখিয়েছেন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার। তবু সব ছাপিয়ে ‘প্লেয়ার অব দ্য ডে’ মুমিনুলই। তাঁর কাছে একটা সেঞ্চুরি পাওনা হয়ে গিয়েছিল গত দুই বছরে। ২০২১ সালের এপ্রিলে পাল্লেকেলেতে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর টানা ২৬ ইনিংসে সেঞ্চুরি পাননি বলেই কি না তাঁর সংবাদ সম্মেলনে এল রানখরা-প্রসঙ্গ। এখানে মুমিনুল মনে করিয়ে দিলেন, তিনি রানেই আছেন। শুধু সেঞ্চুরিই পাচ্ছিলেন না।
মাঝে অধিনায়কত্বের চাপে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া মুমিনুল এখন দায়িত্বমুক্ত হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন একেবারেই নির্ভার চিত্তে। মিরপুরের এই উইকেটে আফগানিস্তানের অনভিজ্ঞ, বিশৃঙ্খল বোলিংয়ের বিপক্ষে যদি মুমিনুল কিছু না করতে পারতেন, তাঁর ব্যাটসম্যানশিপের পাশে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সে আশঙ্কা দূর করে গতকাল মুমিনুল বেরিয়ে এলেন খোলস ছেড়ে। কিছু আলগা শট থাকলেও ১২ বাউন্ডারিতে ১২৩ বলে করা তাঁর সেঞ্চুরির খুঁত সামান্যই। দুটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়লেন শান্ত আর লিটনের সঙ্গে।
সকালের সেশনে রানআউটের শিকার হওয়া জাকির হাসানের (৭১) সঙ্গে শান্তর ১৭৩ রানের জুটি ভাঙার পরই রেকর্ড ভাঙাগড়ার অনেক দৃশ্যের অবতারণা। আর সেটির শুরু শান্তকে দিয়ে। যেন প্রথম ইনিংসের ‘রিপ্লে’ তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে আবারও সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে চেনা উদ্যাপন—শূন্যে লাফ, উড়ন্ত চুমুর রিপিট টেলিকাস্টিং। অন্য প্রান্ত থেকেই মুমিনুল দেখলেন কীভাবে শান্ত তাঁর জোড়া সেঞ্চুরি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম টেস্টে মুমিনুল করেছিলেন ১৭৬ ও ১০৫। এবার শান্ত করলেন ১৪৬ ও ১২৪। ম্যাচে ৩৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন, এটিই এখন বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ। এ টেস্টে শান্তর করা ২৭০ রানও মিরপুরে দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ।
শান্তর বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিম দ্রুত ফেরায় অধিনায়ক লিটনকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে মুমিনুলের বাকি পথ চলা। দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে তিনি যখন তিন অঙ্কের দেখা পেলেন, তখন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন লিটন। আর পুরো দিনে মিরপুর যেন রূপ নিল ‘রানপুরে’। তবে গতকাল সকাল থেকে যে প্রশ্নটা বারবার এল, বাংলাদেশ কত লিড নিয়ে ছাড়বে? তিন সেশনই দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৪০০, ৫০০, এমনকি লিড ৬০০ করেও ইনিংস ঘোষণা হয়নি। ইনিংস ঘোষণা হয়েছে ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিয়ে। এটি বাংলাদেশের তো বটেই, এশিয়ার যেকোনো মাঠেই সর্বোচ্চ লিড। এভারেস্টসম লক্ষ্য পেরোতে গিয়ে আফগানরা দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৪৫ রান তুলে। এর মধ্যে তাসকিনের বলে মাথার দিকে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে নিয়ে আফগানদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে।
ক্রিকেট যতই ‘ফানি গেম’ হোক, চতুর্থ ইনিংসে আফগানদের এ বিশাল লক্ষ্য পেরিয়ে জয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার সাহস দেখাবে না পৃথিবীর সবচেয়ে সফল জ্যোতিষীও। এত ভালো অবস্থানে থেকেও তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ যে জয়ের সুবাস পাচ্ছে, সেটি উচ্চ স্বরে বলতে দিচ্ছে না প্রকৃতি। দিনের খেলা শেষ হয়েছে মেঘলা আকাশে আলোকস্বল্পতায়। সন্ধ্যায় মিরপুরে ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টিবাধা না থাকলে হাতের মুঠোয় চলে আসা টেস্ট আজই বাংলাদেশ শেষ করার কথা জয়ের হাসিতে।
ব্যাটিংয়ের মতো মুমিনুল হকের উদ্যাপনেও মিশে থাকে এক অলস সৌন্দর্য। ফিফটি কিংবা সেঞ্চুরির পর ড্রেসিংরুম অথবা দর্শকদের দিকে ব্যাট উঁচু করতে হয় বলেই বোধ হয় করেন। গতকালও ব্যতিক্রম হয়নি। ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের শর্ট বলে আপার কাটে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ড্রেসিংরুমের দিকে হেলমেট খুলে ব্যাটটা উঁচিয়ে ধরলেন শুধু।
উদ্যাপন যেমনই হোক, দীর্ঘ এক অপেক্ষার শেষে মুমিনুলের মনে অবশ্যই স্বস্তির হাওয়া। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর কথাতেও বোঝা গেল, কতটা প্রতীক্ষিত ছিল এই সেঞ্চুরি। তবে সবচেয়ে কি বেশি খুশি হলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে? ডাগআউট থেকে উঠে এসে দাঁড়িয়ে তালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন মুমিনুলকে। ৩৭০ রানের লিড নিয়ে গতকাল তৃতীয় দিনের সকালেই হাথুরু জানিয়ে রেখেছিলেন, হাতে যেহেতু পর্যাপ্ত সময় আছে, ইনিংস ঘোষণার চেয়ে ব্যাটারদের সুযোগ করে দেওয়াই তাঁর মূল লক্ষ্য।
নির্ভার থেকে এমন ব্যাটিং করার সুযোগ প্রতিদিন মেলে না। সে সুযোগটা দুই হাতে লুফে নিলেন মুমিনুল ও নাজমুল হাসান শান্ত।
দুর্দান্ত ছন্দে থাকা শান্তর ছুটে চলার গল্প তো নিয়মিতই লেখা হচ্ছে। গতকালও রেকর্ড বইয়ের বেশ কিছু পাতায় নিজের নাম লিখিয়েছেন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার। তবু সব ছাপিয়ে ‘প্লেয়ার অব দ্য ডে’ মুমিনুলই। তাঁর কাছে একটা সেঞ্চুরি পাওনা হয়ে গিয়েছিল গত দুই বছরে। ২০২১ সালের এপ্রিলে পাল্লেকেলেতে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর টানা ২৬ ইনিংসে সেঞ্চুরি পাননি বলেই কি না তাঁর সংবাদ সম্মেলনে এল রানখরা-প্রসঙ্গ। এখানে মুমিনুল মনে করিয়ে দিলেন, তিনি রানেই আছেন। শুধু সেঞ্চুরিই পাচ্ছিলেন না।
মাঝে অধিনায়কত্বের চাপে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া মুমিনুল এখন দায়িত্বমুক্ত হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন একেবারেই নির্ভার চিত্তে। মিরপুরের এই উইকেটে আফগানিস্তানের অনভিজ্ঞ, বিশৃঙ্খল বোলিংয়ের বিপক্ষে যদি মুমিনুল কিছু না করতে পারতেন, তাঁর ব্যাটসম্যানশিপের পাশে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সে আশঙ্কা দূর করে গতকাল মুমিনুল বেরিয়ে এলেন খোলস ছেড়ে। কিছু আলগা শট থাকলেও ১২ বাউন্ডারিতে ১২৩ বলে করা তাঁর সেঞ্চুরির খুঁত সামান্যই। দুটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়লেন শান্ত আর লিটনের সঙ্গে।
সকালের সেশনে রানআউটের শিকার হওয়া জাকির হাসানের (৭১) সঙ্গে শান্তর ১৭৩ রানের জুটি ভাঙার পরই রেকর্ড ভাঙাগড়ার অনেক দৃশ্যের অবতারণা। আর সেটির শুরু শান্তকে দিয়ে। যেন প্রথম ইনিংসের ‘রিপ্লে’ তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে আবারও সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে চেনা উদ্যাপন—শূন্যে লাফ, উড়ন্ত চুমুর রিপিট টেলিকাস্টিং। অন্য প্রান্ত থেকেই মুমিনুল দেখলেন কীভাবে শান্ত তাঁর জোড়া সেঞ্চুরি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম টেস্টে মুমিনুল করেছিলেন ১৭৬ ও ১০৫। এবার শান্ত করলেন ১৪৬ ও ১২৪। ম্যাচে ৩৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন, এটিই এখন বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ। এ টেস্টে শান্তর করা ২৭০ রানও মিরপুরে দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ।
শান্তর বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিম দ্রুত ফেরায় অধিনায়ক লিটনকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে মুমিনুলের বাকি পথ চলা। দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে তিনি যখন তিন অঙ্কের দেখা পেলেন, তখন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন লিটন। আর পুরো দিনে মিরপুর যেন রূপ নিল ‘রানপুরে’। তবে গতকাল সকাল থেকে যে প্রশ্নটা বারবার এল, বাংলাদেশ কত লিড নিয়ে ছাড়বে? তিন সেশনই দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৪০০, ৫০০, এমনকি লিড ৬০০ করেও ইনিংস ঘোষণা হয়নি। ইনিংস ঘোষণা হয়েছে ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিয়ে। এটি বাংলাদেশের তো বটেই, এশিয়ার যেকোনো মাঠেই সর্বোচ্চ লিড। এভারেস্টসম লক্ষ্য পেরোতে গিয়ে আফগানরা দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৪৫ রান তুলে। এর মধ্যে তাসকিনের বলে মাথার দিকে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে নিয়ে আফগানদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে।
ক্রিকেট যতই ‘ফানি গেম’ হোক, চতুর্থ ইনিংসে আফগানদের এ বিশাল লক্ষ্য পেরিয়ে জয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার সাহস দেখাবে না পৃথিবীর সবচেয়ে সফল জ্যোতিষীও। এত ভালো অবস্থানে থেকেও তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ যে জয়ের সুবাস পাচ্ছে, সেটি উচ্চ স্বরে বলতে দিচ্ছে না প্রকৃতি। দিনের খেলা শেষ হয়েছে মেঘলা আকাশে আলোকস্বল্পতায়। সন্ধ্যায় মিরপুরে ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টিবাধা না থাকলে হাতের মুঠোয় চলে আসা টেস্ট আজই বাংলাদেশ শেষ করার কথা জয়ের হাসিতে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪