আশরাফুল আলম, কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়েই উপজেলার সাধারণ মানুষের ছোটেন জেলা সদরে। এতে বাড়তি খরচের পাশাপাশি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। আবার কেউবা এই অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে কুকুর বা বিড়ালে কামড়ালে কবিরাজের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এতে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটাই বাড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন দুর্গম চরাঞ্চলে। সেখান থেকে যমুনা পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরের হাসপাতালে আসতেই ২ শ থেকে আড়াই শ টাকা গুনতে হয়। এখান থেকে আবার যানবাহনে চড়ে ৩৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যেতে হয় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে। এতে খরচ ও সময় দুটোই নষ্ট হয় রোগীদের। চলতি মাসে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৪০টি প্রতিষেধক নেওয়া হয়েছিল কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তার মধ্যে বাকি আছে মাত্র ১০টি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতি মাসে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন কুকুর-বিড়াল কামড়ানো রোগী আসেন।
গাড়াবেড় গ্রামের এরশাদুল আলম বলেন, ‘আমার মাকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দিয়েছি সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে। পাঁচ ধাপে এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। যদি কাজীপুরেই এই প্রতিষেধক পেতাম তাহলে আমার বাড়তি খরচ হতো না। সময়ও বাঁচত।’
বিড়ালের কামড়ানো আরেক রোগী আঙ্গুরি খাতুন বলেন, ‘জেলা সদরে যাওয়ার চেয়ে ওষুধ কিনে টিকা দিয়েছি। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হতো তাহলে আমার ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হতো না।’
মনসুরনগরের কণিকা নামের এক রোগী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে শুনছিলাম কাজীপুর হাসপাতালে কুকুর কামড়ানোর টিকা দেওয়া হয়। পরে ওখানে গিয়ে টিকা দিয়ে আছি। সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে যাওয়া লাগে নাই আমার। খরচ বাঁইচা গেছি। তা ছাড়া ২৫ শ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হতো।’
গাড়াবেড় গ্রামের বাবু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘মাসখানেক আগে আমাকে বিড়াল কামড়িয়েছিল। সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে যাওয়ার টাকা ছিল না। তাই এলাকার এক কবিরাজের কাছে গিয়ে ঝাড়ফুঁক দিয়েছি। কাজীপুর হাসপাতালে যদি টিকা থাকত তাহলে ওখানে গিয়ে টিকা দিতাম।’
এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৪০টি টিকা নেওয়া হয়েছিল, তাও প্রায় শেষ। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক সরবরাহ থাকত তাহলে রোগীদের খরচ করে সদরে যেতে হতো না। এখান থেকে নির্বিঘ্নে সেবা দেওয়া যেত।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়েই উপজেলার সাধারণ মানুষের ছোটেন জেলা সদরে। এতে বাড়তি খরচের পাশাপাশি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। আবার কেউবা এই অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে কুকুর বা বিড়ালে কামড়ালে কবিরাজের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এতে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটাই বাড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন দুর্গম চরাঞ্চলে। সেখান থেকে যমুনা পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরের হাসপাতালে আসতেই ২ শ থেকে আড়াই শ টাকা গুনতে হয়। এখান থেকে আবার যানবাহনে চড়ে ৩৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যেতে হয় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে। এতে খরচ ও সময় দুটোই নষ্ট হয় রোগীদের। চলতি মাসে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৪০টি প্রতিষেধক নেওয়া হয়েছিল কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তার মধ্যে বাকি আছে মাত্র ১০টি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতি মাসে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন কুকুর-বিড়াল কামড়ানো রোগী আসেন।
গাড়াবেড় গ্রামের এরশাদুল আলম বলেন, ‘আমার মাকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দিয়েছি সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে। পাঁচ ধাপে এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। যদি কাজীপুরেই এই প্রতিষেধক পেতাম তাহলে আমার বাড়তি খরচ হতো না। সময়ও বাঁচত।’
বিড়ালের কামড়ানো আরেক রোগী আঙ্গুরি খাতুন বলেন, ‘জেলা সদরে যাওয়ার চেয়ে ওষুধ কিনে টিকা দিয়েছি। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হতো তাহলে আমার ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হতো না।’
মনসুরনগরের কণিকা নামের এক রোগী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে শুনছিলাম কাজীপুর হাসপাতালে কুকুর কামড়ানোর টিকা দেওয়া হয়। পরে ওখানে গিয়ে টিকা দিয়ে আছি। সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে যাওয়া লাগে নাই আমার। খরচ বাঁইচা গেছি। তা ছাড়া ২৫ শ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হতো।’
গাড়াবেড় গ্রামের বাবু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘মাসখানেক আগে আমাকে বিড়াল কামড়িয়েছিল। সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে যাওয়ার টাকা ছিল না। তাই এলাকার এক কবিরাজের কাছে গিয়ে ঝাড়ফুঁক দিয়েছি। কাজীপুর হাসপাতালে যদি টিকা থাকত তাহলে ওখানে গিয়ে টিকা দিতাম।’
এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৪০টি টিকা নেওয়া হয়েছিল, তাও প্রায় শেষ। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক সরবরাহ থাকত তাহলে রোগীদের খরচ করে সদরে যেতে হতো না। এখান থেকে নির্বিঘ্নে সেবা দেওয়া যেত।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪