Ajker Patrika

জাল সনদে ১০ বছর ধরে শিক্ষকতার অভিযোগ

ঘাটাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ৪১
জাল সনদে ১০ বছর ধরে শিক্ষকতার অভিযোগ

ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে ১০ বছর ধরে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল বলে প্রত্যয়ন দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

জাল সনদে চাকরি নেওয়া ওই শিক্ষকের নাম মো. ফজলুল করিম। তিনি ওই বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর পদের শিক্ষক। তিনি ২০০৯ সালের ১ জুলাই ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ২০১০ সালের ১ মে এমপিও ভুক্তি হন। নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে যোগদানের সময় তিনি ২০০৫ সালের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার নিবন্ধন সনদ জমা দেন।

বিদ্যালয়টি বর্তমান সরকার সরকারিকরণের পর শিক্ষকদের বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই করতে গিয়ে শিক্ষক ফজলুল করিমের শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি নিয়ে সন্দেহ হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। পরে তাঁর ১২৫০৪৩৪ রোল নম্বরধারী ও ০৫৩০০১৭৬ / ২০০৫ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সনদটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।

যাচাই শেষে গত ৮ নভেম্বর এনটিআরসিএ সহকারী পরিচালক ফিরোজ আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, নিবন্ধনের ওই সনদটি জাল ও ভুয়া বলা হয়। ওই রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের প্রকৃত সনদধারী ব্যক্তি মো. মাজেদুর রহমান। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে তা কর্তৃপক্ষকে অবগত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলুল করিম বলেন, ‘আমার শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল ও ভুয়া নয়। এটি কর্তৃপক্ষের করণিক ত্রুটি। ত্রুটি সংশোধনের জন্য আমি আবেদন করেছি।’

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁর শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তা যাচাই করতে এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়। এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ তার শিক্ষক নিবন্ধন জাল ও ভুয়া বলে আমাদের জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত