Ajker Patrika

দুজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৪২
দুজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬

জগন্নাথপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত সোমবার রাতে জগন্নাথপুর পৌরসভার ইসহাকপুর এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। জড়িত সন্দেহে উভয় পক্ষের ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ইসহাকপুরের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী উস্তার গণি ও একই এলাকার যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সুরুজ আলী পক্ষের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে বিরোধ চলছিল। এর জেরে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই পক্ষের এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় নোমান আহমদ (২৪) ও আব্দুস সালাম (৪৫) গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁদের সিলেট ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়। আহত অন্য চারজনের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

ইসহাকপুরের বদরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় আমি কিংবা আমাদের পক্ষের কেউ জড়িত নয়। উস্তার গণির পক্ষের লোক আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র নিয়ে সুরুজ মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়ি ভাঙচুর করে লোকজন মারধর করেছে।’

অপরদিকে উস্তার গণির পক্ষের সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমান বলেন, ‘প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে।’

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন আহমদ বলেন, ‘রাতের ভাত খাওয়ার সময় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। তবে এ সময় আমি বাইরে বের হইনি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ টি এম শাফায়াত সামস্ রকি জানান, মারামারির ঘটনায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছয়জন রোগী এসেছিলেন। এর মধ্যে দুজনের শরীরে গুলির চিহ্ন সন্দেহে সিলেটে পাঠানো হয়। অপর একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি আছেন। অন্য তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস ছত্তার বলেন, ‘ইসহাকপুর পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় উন্নয়ন কমিটি নিয়ে উস্তার গণি ও বদরুল ইসলাম পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে দুই পক্ষের লোকজন এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আটক ১৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে। মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত