Ajker Patrika

ওএমএসের চাল কিনছে কারা

আবুল কালাম আজাদ, চারঘাট
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১২: ২৯
ওএমএসের চাল কিনছে কারা

দরিদ্র মানুষের জন্য চালু করা খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল-আটা বিক্রির সরকারি কার্যক্রমে দৃশ্যমান কোনো সাড়া নেই রাজশাহীর চারঘাটে। কোথাও কোথাও ওএমএসের দোকান খুলছে দেরিতে। আবার কোথাও দিনভর ক্রেতাশূন্য থাকছে ওএমএসের দোকান। চাল নিতে এসে ফেরতও যাচ্ছে অনেকে। এরপরও দিন শেষে বরাদ্দের চাল বিক্রি-বণ্টনসহ শেষ হচ্ছে বলে দেখানো হচ্ছে খাতাপত্রে। তাহলে বরাদ্দের চাল যাচ্ছে কোথায়, এমন প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মনে।

চারঘাট পৌরসভায় চারটি জায়গায় চলছে ওএমএস দোকানের মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রি। আটার বরাদ্দ আপাতত না থাকায় দেড় টন করে চাল বরাদ্দ পাচ্ছেন ডিলারেরা। দেড় টন চাল সর্বনিম্ন ৩০০ ক্রেতার কাছে বিক্রি করার নির্দেশনা রয়েছে। এই কার্যক্রমের শুরুর দিকে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। কিন্তু বর্তমানে ওএমএসের দোকানগুলো ফাঁকা। এ জন্য ডিলারদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, ডিলারের দোকানে ক্রেতা আসছে খুবই কম। যারা যাচ্ছে তাদেরও অনেকে চাল না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। তাই প্রতিদিনের বরাদ্দের চালের বেশির ভাগই বিক্রি হচ্ছে না। এ অবস্থায় সবার প্রশ্ন, তাহলে এই চাল যাচ্ছে কোথায়?

ওএমএস ডিলার আব্দুস সালাম ও জহুরুল ইসলাম বলেন, আগের মতো ভিড় জমছে না। তবে ক্রেতারা নির্দিষ্ট সময়ে এসে চাল কিনে নিয়ে যায়। এক কেজি চালও অবশিষ্ট থাকে না। রেজিস্ট্রার খাতায় যাদের নাম লেখা থাকে, তারা সবাই চাল নেয়।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মলিউজ্জামান বলেন, ওএমএসের দোকানের ডিলারদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেই ওএমএস চাল বিক্রি চলছে। প্রতিদিনই চাল বিক্রি হয়ে যায়, অবশিষ্ট থাকে না। এরপরও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত