Ajker Patrika

রাত পোহালেই দুর্গোৎসব

প্রতিনিধি, মুক্তাগাছা
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২১, ২১: ০৮
রাত পোহালেই দুর্গোৎসব

রাত পোহালেই শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে মুক্তাগাছা উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে ও পাড়া-মহল্লায় তৈরি করা হয়েছে পূজার প্যান্ডেল। কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যায় লাল-নীল আলোর দেখা মিলছে শহরের মণ্ডপগুলোতে। সবার মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এবার দুর্গাপূজার জন্য উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১০৭টি মণ্ডপ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামীকাল সোমবার মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গা উৎসব। এ ছাড়া মঙ্গলবার মহাসপ্তমী, বুধবার মহাঅষ্টমী, বৃহস্পতিবার মহানবমী। শুক্রবার বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গা উৎসব।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা শিল্পীদের গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে দেখা গেছে। শেষ সময়ে এসে রং-তুলির আঁচড়ে যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিমাগুলো। অতি ভালোবাসায় মৃৎশিল্পীর তৈরি করেছেন দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, লক্ষ্মী, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি। ইতিমধ্যে প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে মূর্তি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রতিমা।

কথা হয় পৌর এলাকার ছাপ্পান্ন প্রহর মাঠের প্রতিমাশিল্পী চঞ্চল রায়, দিনেশ রায়, অপু ঘোষ ও পার্থ পালের সঙ্গে। তাঁরা এবার ১৭টি মণ্ডপের জন্য প্রতিমা তৈরি করেছেন। প্রতিটি প্রতিমা তৈরির জন্য পারিশ্রমিক পেয়েছেন ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। একটি প্রতিমা তৈরি করতে তাঁদের সময় লাগে অন্তত ১০ দিন। তবে একবারে একটি প্রতিমা তৈরি করা যায় না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন কাদামাটি না শুকালে রঙের কাজ করা যায় না। আবার কিছু রং করা হয় মণ্ডপে নিয়ে।

সাবেক কমিশনার বিরেন্দ্র চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এবারও মুক্তাগাছায় এ উৎসবটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপন করা হবে।’

মুক্তাগাছা উপজেলার গৌর সাধু বলেন, ‘মাকে বরণ করতে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এবার করোনার কারণে অনেক স্থানে অন্যান্য বছরের মতো ব্যাপক অকারে পূজা উদ্যাপন হচ্ছে না।’

মুক্তাগাছা উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পী বলেন, ‘আমরা দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। উপজেলায় এ বছর ১০৭টি মণ্ডপে পূজা হবে। গত বছরের চেয়ে এবার দুটি বেশি মন্দিরে পূজা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে।’

মুক্তাগাছা থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দুর্গাপূজার শুরু থেকে দেবী বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবী টিমসহ আমাদের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। পৌর শহরের জন্য টহল পুলিশ এবং প্রতিটা মণ্ডপের জন্য মোবাইল টিম থাকবে। আশা করা হচ্ছে, এবার পূজায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।’ এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত