রেজা করিম, ঢাকা
নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় সরাসরি নির্বাচন করার উপায় নেই জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের। আবার জোট শরিক বিএনপির সঙ্গে মিলে সরকার পতনের আন্দোলনেও সেভাবে সক্রিয় নয় দলটি। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা রেখেই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে– এমন কথাও চাউর আছে তাদের নিয়ে। এমন একটা প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের আগে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। উভয় কূল রক্ষা করে চলা জামায়াত শেষ পর্যন্ত কোন কূলে ভিড়বে– উঠেছে সেই প্রশ্ন। অবশ্য দলটির নেতারা বলছেন, সরকারপক্ষে ঘেঁষার চেয়ে আন্দোলনেই তাঁদের লাভ।
সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে বিএনপির সঙ্গে আরও অনেক দল ও জোট যুগপৎভাবে আন্দোলন করছে। বিএনপিকে অনুসরণ করে অভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তা পালন করছে জামায়াতও। কিন্তু যুগপৎভাবে নয়, জামায়াত করছে পৃথকভাবে। তাতে বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তবে উভয় পক্ষে যোগাযোগ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দলটির সূত্রগুলো।
সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। তবে সেটা আগের মতো খোলাখুলি নয়, কিছুটা রাখঢাক করে করা হচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হলেও ভিন্ন উপায়ে জামায়াতকে নির্বাচনে আনতে সরকারের দিক থেকে চেষ্টা চলছে বলেও জানাচ্ছে সূত্রগুলো। সূত্রগুলোর দাবি, জামায়াতকে নির্বাচনে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। জামায়াত এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখানোর জন্য অন্য দলগুলোর মতো জামায়াতকেও সরকার নির্বাচনে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু জামায়াতের দিক থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি।
সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে এ রকম কোনো সম্ভাবনা নেই। এই সরকারের আমলে আমরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাদের সঙ্গে মিলে যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’
এ অবস্থায় আন্দোলনেই জামায়াতের লাভ–এমন মন্তব্য করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘এই সরকার না থাকলে আমাদের লাভ আছে। যে কারণে আন্দোলনের দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি।’
তাহলে আন্দোলনে জামায়াতের সক্রিয় অংশগ্রহণ নেই কেন জানতে চাইলে আব্দুল হালিম বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সাধ্যমতো নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি পালন করছেন।’
ভারপ্রাপ্ত আমিরের সংবাদ সম্মেলন
আন্দোলন অব্যাহত রাখতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান। গতকাল রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জামায়াতঘোষিত কর্মসূচিসমূহ শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি, সুধীমহল ও দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। এই আন্দোলন চলমান থাকবে এবং জামায়াতের লক্ষ লক্ষ কর্মী তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।’
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল রাখার প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ‘নিবন্ধন মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। আপিলকারী হিসেবে বক্তব্য শোনার সুযোগ না দিয়ে মামলাটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করে দেওয়ায় জামায়াতে ইসলামী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
জামায়াত নেতাদের বিচার শুরু
এক যুগ আগে রাজধানীর রমনা থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামায়াতের আমির মোহাম্মদ শফিকুর রহমানসহ দলটির ১৪৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক গতকাল আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও মো. রফিকুল ইসলাম খান।
নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় সরাসরি নির্বাচন করার উপায় নেই জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের। আবার জোট শরিক বিএনপির সঙ্গে মিলে সরকার পতনের আন্দোলনেও সেভাবে সক্রিয় নয় দলটি। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা রেখেই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে– এমন কথাও চাউর আছে তাদের নিয়ে। এমন একটা প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের আগে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। উভয় কূল রক্ষা করে চলা জামায়াত শেষ পর্যন্ত কোন কূলে ভিড়বে– উঠেছে সেই প্রশ্ন। অবশ্য দলটির নেতারা বলছেন, সরকারপক্ষে ঘেঁষার চেয়ে আন্দোলনেই তাঁদের লাভ।
সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে বিএনপির সঙ্গে আরও অনেক দল ও জোট যুগপৎভাবে আন্দোলন করছে। বিএনপিকে অনুসরণ করে অভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তা পালন করছে জামায়াতও। কিন্তু যুগপৎভাবে নয়, জামায়াত করছে পৃথকভাবে। তাতে বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তবে উভয় পক্ষে যোগাযোগ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দলটির সূত্রগুলো।
সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। তবে সেটা আগের মতো খোলাখুলি নয়, কিছুটা রাখঢাক করে করা হচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হলেও ভিন্ন উপায়ে জামায়াতকে নির্বাচনে আনতে সরকারের দিক থেকে চেষ্টা চলছে বলেও জানাচ্ছে সূত্রগুলো। সূত্রগুলোর দাবি, জামায়াতকে নির্বাচনে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। জামায়াত এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখানোর জন্য অন্য দলগুলোর মতো জামায়াতকেও সরকার নির্বাচনে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু জামায়াতের দিক থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি।
সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে এ রকম কোনো সম্ভাবনা নেই। এই সরকারের আমলে আমরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাদের সঙ্গে মিলে যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’
এ অবস্থায় আন্দোলনেই জামায়াতের লাভ–এমন মন্তব্য করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘এই সরকার না থাকলে আমাদের লাভ আছে। যে কারণে আন্দোলনের দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি।’
তাহলে আন্দোলনে জামায়াতের সক্রিয় অংশগ্রহণ নেই কেন জানতে চাইলে আব্দুল হালিম বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সাধ্যমতো নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি পালন করছেন।’
ভারপ্রাপ্ত আমিরের সংবাদ সম্মেলন
আন্দোলন অব্যাহত রাখতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান। গতকাল রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জামায়াতঘোষিত কর্মসূচিসমূহ শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি, সুধীমহল ও দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। এই আন্দোলন চলমান থাকবে এবং জামায়াতের লক্ষ লক্ষ কর্মী তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।’
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল রাখার প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ‘নিবন্ধন মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। আপিলকারী হিসেবে বক্তব্য শোনার সুযোগ না দিয়ে মামলাটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করে দেওয়ায় জামায়াতে ইসলামী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
জামায়াত নেতাদের বিচার শুরু
এক যুগ আগে রাজধানীর রমনা থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামায়াতের আমির মোহাম্মদ শফিকুর রহমানসহ দলটির ১৪৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক গতকাল আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও মো. রফিকুল ইসলাম খান।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪