Ajker Patrika

বহিষ্কারের শঙ্কা উড়িয়ে প্রচারে

আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৩৪
বহিষ্কারের শঙ্কা উড়িয়ে প্রচারে

তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বান্দরবানের আলীকদমে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে প্রচারে সরগরম সম্ভাব্য ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা। বহিষ্কারের শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। প্রচারের দিক দিয়ে দলীয় প্রার্থীদের থেকে এগিয়ে থাকছেন ‘বিদ্রোহীরা’। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারে দুই সপ্তাহ বাকি থাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এখনো সম্ভাবনা পর্যায় থেকে যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ নভেম্বর আলীকদমে তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ২ নভেম্বর। মনোনয়ন বাছাই হবে ৪ নভেম্বর। এ ছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১১ নভেম্বর।

এদিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর থেকে নাটকীয় ভাবে বদলে গেছে আলীকদমের ইউপি নির্বাচনের হালচাল। বিদ্রোহী প্রার্থীরা সবদিকে এগিয়ে আছেন নির্বাচনী প্রচারে। কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেও তা গায়ে মাখছেন না তাঁরা। উল্টো দলের সিদ্ধান্তকে ‘একঘেয়ে’ আখ্যা দিয়ে জোরালো প্রচার চালাতে দেখা যায় তাদের।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়ি মং মারমা বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এখনো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কিছুদিন বাকি আছে। দলের বৃহত্তর স্বার্থে এ সময়ে মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবেন বলে মনে করছেন তিনি।

এদিকে আলীকদম সদর ইউনিয়ন ও নয়াপাড়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে বেশ প্রচার চালাচ্ছে। ওঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করতে দেখা যায় তাঁদের। একই অবস্থা দেখে গেছে চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন ও কুরুকপাতা ইউনিয়নে।

আলীকদম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউপির সম্ভাব্য প্রার্থী আনোয়ার জিহাদ চৌধুরী বলেন, দলের সিনিয়র নেতারা যে সিদ্ধান্ত নিক না কেন, শেষপর্যন্ত তিনি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নাছির উদ্দীন বলেন, ‘দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমি বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মকণ্ড নিয়ে শঙ্কিত নই।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নয়াপাড়া ইউপির সম্ভাব্য প্রার্থী মো. কফিল উদ্দীন জানান, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি ভয়ডরহীন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করা যদিও কঠিন, তারপরও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করব না।’ অপরদিকে একই ইউপির আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী ফোগ্য মারমা দলীয় প্রতীক নিয়ে বিজয় অর্জনে কেউ বাধা হতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন।

ভোটারেরা মনে করছেন এবারে বিএনপি সমর্থিত কোনো প্রার্থী না থাকায় সরকার দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী লড়াই হবে। দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তরা এগিয়ে থাকলেও তাদের হারের শঙ্কা একেবারে কম নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত