শরীয়তপুর প্রতিনিধি
মৌসুমি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন শরীয়তপুরের জাজিরার পাটচাষিরা। এতে পাটের চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে চাষিদের। ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা পাটচাষিদের।
সরেজমিন কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখে শুরুর দিকে বৃষ্টিপাতের দেখা মেলে। তবে এ বছর সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ার পাট চাষ ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে খেতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে বিঘাপ্রতি প্রায় দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়। উৎপাদন ও ন্যায্যমূল্য না পেলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চাষিদের।
জাজিরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জাজিরা উপজেলায় ৯ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫৭৫ মেট্রিক টন। প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় হয় ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদন হয় ৮ থেকে ১০ মণ। তবে এ বছর পাট চাষের শুরু থেকে পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সেচের জন্য কৃষককে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। গত বছর আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পেয়েছিলেন কৃষক।
বড় গোপালপুর ইউনিয়নের কৃষক লিটন মাদবর বলেন, ‘জমিতে সেচ দেওয়ার উপযুক্ত সময় চৈত্র মাসের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে আমাদের সেচ দিতেও দেরি হয়ে গেছে। তাই এ বছর পাটের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে।’
কৃষক সওকত মাদবর জানান, এ বছর ডিজেলের দাম বেশি থাকায় সেচ দিতে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। তা ছাড়া নদী দূরে থাকায় অনেক জমিতে সেচ দিতেও সমস্যা হচ্ছে। ডিজেল ইঞ্জিনে সেচ দিতে বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এতে করে বিঘাপ্রতি উৎপাদন ব্যয় ২০ হাজার টাকা হচ্ছে।
আশপাশে প্রাকৃতিক পানির উৎস নদী বা জলাশয় না থাকায় অনেকেই গভীর নলকূপ স্থাপন করে সেচের ব্যবস্থা করেছেন। তবে নলকূপ স্থাপন অনেকটা ব্যয়বহুল। তাই একাধিক কৃষক একত্র হয়ে জমিতে নলকূপ স্থাপন করেছেন।
জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাটচাষিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। কৃষককে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেরে গেছে। তবে পাট উৎপাদনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে তা এখনই বলা যাবে না। আশা করি, পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। কৃষকদের বিকল্প উপায়ে পাটখেতে সেচের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
মৌসুমি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন শরীয়তপুরের জাজিরার পাটচাষিরা। এতে পাটের চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে চাষিদের। ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা পাটচাষিদের।
সরেজমিন কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখে শুরুর দিকে বৃষ্টিপাতের দেখা মেলে। তবে এ বছর সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ার পাট চাষ ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে খেতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে বিঘাপ্রতি প্রায় দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়। উৎপাদন ও ন্যায্যমূল্য না পেলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চাষিদের।
জাজিরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জাজিরা উপজেলায় ৯ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫৭৫ মেট্রিক টন। প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় হয় ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদন হয় ৮ থেকে ১০ মণ। তবে এ বছর পাট চাষের শুরু থেকে পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সেচের জন্য কৃষককে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। গত বছর আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পেয়েছিলেন কৃষক।
বড় গোপালপুর ইউনিয়নের কৃষক লিটন মাদবর বলেন, ‘জমিতে সেচ দেওয়ার উপযুক্ত সময় চৈত্র মাসের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে আমাদের সেচ দিতেও দেরি হয়ে গেছে। তাই এ বছর পাটের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে।’
কৃষক সওকত মাদবর জানান, এ বছর ডিজেলের দাম বেশি থাকায় সেচ দিতে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। তা ছাড়া নদী দূরে থাকায় অনেক জমিতে সেচ দিতেও সমস্যা হচ্ছে। ডিজেল ইঞ্জিনে সেচ দিতে বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এতে করে বিঘাপ্রতি উৎপাদন ব্যয় ২০ হাজার টাকা হচ্ছে।
আশপাশে প্রাকৃতিক পানির উৎস নদী বা জলাশয় না থাকায় অনেকেই গভীর নলকূপ স্থাপন করে সেচের ব্যবস্থা করেছেন। তবে নলকূপ স্থাপন অনেকটা ব্যয়বহুল। তাই একাধিক কৃষক একত্র হয়ে জমিতে নলকূপ স্থাপন করেছেন।
জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাটচাষিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। কৃষককে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেরে গেছে। তবে পাট উৎপাদনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে তা এখনই বলা যাবে না। আশা করি, পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। কৃষকদের বিকল্প উপায়ে পাটখেতে সেচের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪