Ajker Patrika

শেরপুরে বোরো আবাদ শুরু

জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৬
শেরপুরে বোরো আবাদ শুরু

শেরপুরে বোরো ধানের আবাদ শুরু করেছেন কৃষকেরা। আমন ধানের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা এখন শীত উপেক্ষা করে শুরু করেছেন বোরো ধানের আবাদ। আমনের মতো এবার বোরো আবাদেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।

স্থানীয় কৃষক ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশের সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে গত আমন মৌসুমে আবাদ হয়েছিল ৯২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আমন মৌসুমে বাম্পার ফলন পেয়েছিলেন কৃষকেরা। দামও পেয়েছেন বেশ ভালো। আর জেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহী থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

সদর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ইতিমধ্যে বীজতলা তৈরি ও চারা বড় হওয়ায় বর্তমানে বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। সকাল সকাল কোদাল হাতে বের হয়ে পড়ছেন কৃষক ও শ্রমিকেরা। কোথাও চলছে জমি প্রস্তুতকরণ। আবার কোথাও চলছে চারা রোপণের কাজ। ট্রাক্টর, গরু ও মহিষ দিয়ে জমি চাষ করে সারি সারি ধানের চারা লাগানো হচ্ছে। বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষি শ্রমিকদের কদরও বেড়ে গেছে।

সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কৃষক মো. আব্দুল হালিম জানান, ‘আমরা প্রতিবারই বোরো আবাদ করি। এবার কোনো জায়গাই পতিত রাখমু না। কারণ এখন ধানের দাম ভালো পাইতেছি।’ রশেরপুরের ইউনিয়নের কৃষক মো. নূর হোসেন বলেন, ‘ধানের দাম এখন একটু ভালো থাকায় আগেভাগেই বোরো লাগানো শুরু করছি। তাড়াতাড়ি ধান তুলতে পারলে এবারও ভালো দাম পামু।’ ঝিনাইগাতী উপজেলার বগাডুবি এলাকার কৃষক মো. রহিম মিয়া জানান, ‘বোরো আবাদে বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার একটু ঝুঁকি থাকে। তাই আগেভাগেই ধান লাগাইতাছি, যাতে বর্ষার আগেই ধান কাইটা ঘরে তুলবার পাই।’

সদর উপজেলার বাজিতখিলা এলাকার কৃষি শ্রমিক মো. শুকুর মিয়া জানান, ‘এক সঙ্গে ধান লাগানো শুরু হওয়ায় আমরা খুব চাপে আছি। এখন কাজের অভাব নাই। এক সঙ্গে কয়জনের খেত লাগামু। আরেক শ্রমিক আব্দুল করিম জানান, ‘এখন ধান লাগানোর মৌসুম শুরু হইছে। কয়দিন বসে থাকলেও এখন আমরা দিন পাঁচ-ছয়শ টাকা আয় করতাছি।’

এ ব্যাপারে শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মুহিত কুমার দে জানান, ‘আমরা জেলার কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছি। মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকজন কাজ করছে। প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশকের সরবরাহেও কোন সমস্যা হবে না আশা করছি। এবার কোন দুর্যোগ না থাকায় জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। তাই আশা করছি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত