Ajker Patrika

আবাহনীর ভাবনায় শুধুই জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

রাজধানীর আকাশ কালো মেঘে আচ্ছন্ন। দেশের সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চল সিলেটের আবহাওয়া সহজেই অনুমেয়। গত বছর ভারতীয় ঢলে ডুবে গিয়েছিল সিলেট স্টেডিয়াম। এবারও দেশের একাধিক অঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। তবে সিলেট এখনো বন্যাকবলিত নয়। তাই বলে স্টেডিয়ামের মাঠ যে খুব সুবিধাজনক অবস্থায় আছে, সেটাও নয়! 

সিলেট স্টেডিয়ামে পানি না জমলেও মাঠ ভীষণ ভারী। এ মাঠেই আজ মালদ্বীপের ক্লাব ইগলসের বিপক্ষে এএফসি কাপের প্রাক্‌-বাছাইপর্ব খেলবে বাংলাদেশের আবাহনী লিমিটেড। সিলেটের ফ্লাডলাইট ঠিক না থাকায় খেলাটি হবে বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে। ইগলসের বিপক্ষে জিতলে আবাহনীর পরের প্রতিপক্ষ মোহনবাগান। তবে মাঠের খেলার হিসাব বাইরে রেখে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বেশি আলোচনা হলো প্রকৃতি আর বৃষ্টি নিয়ে। 

বৃষ্টিতে আবাহনী স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সংবাদ সম্মেলনে। সে প্রশ্নের জবাবে আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস দিলেন মজার উত্তর, ‘ফুটবল ইনডোর খেলা নয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া গরম, এটা সবাই জানে। এখানে গরম, বৃষ্টি সবই আছে। শুধু তুষারপাতটাই হয় না। তুষার হলেও সমস্যা হতো না। এটাই ফুটবলের মজা, যেকোনো পরিস্থিতিতে তৈরি থাকা। আমাদের কোনো অজুহাত নেই। বৃষ্টি হলেও আমরা বৃষ্টিতেই খেলব। না হলেও খেলব। খুব বৃষ্টি হলেও আমরা জয় নিয়েই পরের রাউন্ডে খেলব। আমরা সুন্দর একটা খেলা উপহার দিতে চাই। এটাই আমাদের চাওয়া।’ 

২০১৯ সালে এএফসি কাপের জোনাল সেমিফাইনালে খেলেছিল আবাহনী। ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত র‍্যাঙ্কিংয়ের কারণে বাংলাদেশের দুটি দল এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে। একটি দল খেলেছে সরাসরি, আরেকটি খেলেছে বাছাইপর্ব। এএফসির নতুন নিয়ম আর র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, শুধু বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরাই আগামীবার থেকে তৃতীয় স্তরের টুর্নামেন্ট চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাইপর্ব খেলতে পারবে। পরেরটা পরে, আপাতত টুর্নামেন্টের মূল পর্বে সুযোগ করে নিতে চায় আকাশি-নীলরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত