Ajker Patrika

জোকার কেন ব্যর্থ হলো

বিনোদন ডেস্ক
Thumbnail image

ডিসি কমিকস থেকে জোকার চরিত্রটি তুলে এনে নিজের মতো গল্প সাজিয়েছিলেন টড ফিলিপস ও স্কট সিলভার। টড ফিলিপসের পরিচালনায় ২০১৯ সালে মুক্তি পায় সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘জোকার’। এতে ব্যাটম্যানের এই চিরশত্রুর প্রতি সহানুভূতি উসকে দিয়েছিলেন পরিচালক। সিনেমাটি শুধু যে বক্স অফিসে রেকর্ড করেছিল তা নয়, আর্থার ফ্লেক বা জোকার চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য অস্কার পান অভিনেতা হোয়াকিন ফিনিক্স। জোকারের এই সাফল্যের পর স্বাভাবিকভাবেই সিকুয়েলের প্রত্যাশা তৈরি হয়।

এরপর যখন মিউজিক্যাল সিনেমা হিসেবে ‘জোকার: ফোলি আ ডিউক্স’ নামে সিকুয়েলের ঘোষণা করা হয় এবং সহশিল্পী হিসেবে হার্লে কুইন চরিত্রে আসেন লেডি গাগা, তখনো মনে হয়েছিল এটা ভালো আইডিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালো হলো কি? ৪ অক্টোবর মুক্তি পায় জোকারের দ্বিতীয় পর্ব। রোববার পর্যন্ত সপ্তাহান্তে সিনেমাটি আয় করেছে ৩৭ মিলিয়ন ডলারের কিছুটা বেশি, যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। যেকোনো সিনেমার ব্যবসা নির্ভর করে প্রথম সপ্তাহের দর্শকের সাড়ার ওপর। সেটা তৈরি করতে ব্যর্থ হলো জোকার টু। ফলে ভবিষ্যতে হলে খুব বেশি যে দর্শক টানতে পারবে এ সিনেমা, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

ডেডলাইন জানিয়েছে, কোনো কমিক বইয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি সিনেমার ইতিহাসে এটি সর্বনিম্ন ওপেনিং। গত বছর বক্স অফিসে সবচেয়ে খারাপ ব্যবসা করেছিল ‘দ্য মার্ভেলস’, তার চেয়েও খারাপ করেছে জোকার টু। জোকারের এই করুণ পরিণতি কীভাবে হলো, তার সম্ভাব্য কিছু কারণ উঠে এসেছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

ব্যর্থতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে ওই প্রতিবেদনে দায়ী করা হয়েছে গল্পকে। সাধারণত যেকোনো সিনেমার সিকুয়েল তৈরি হয় আগের পর্বের গল্পকে এগিয়ে নিয়ে অথবা আগের গল্পটির একটি ভিন্ন দিক উন্মোচন করে। কিন্তু জোকার টুতে আগের পর্বে কী ঘটেছিল, সেটা নিয়েই দুই ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করা হয়েছে। 

আরখাম অ্যাসাইলামে থেরাপিস্টের সঙ্গে কথোপকথন কিংবা গোথাম সিটির আদালতে আইনজীবী ও সাক্ষীদের বয়ান—দৃশ্যের পর দৃশ্যে বর্ণনা করা হয়েছে আর্থার ফ্লেকের পুরোনো পাপের কথা। পাঁচ বছর আগে মুক্তি পাওয়া সিনেমায় কী ঘটেছিল, সেটাই হয়ে উঠেছে এ সিনেমার প্রথম অবলম্বন। ফলে আকর্ষণ হারিয়েছে।

বিপুল বাজেটও ব্যর্থতার একটা বড় কারণ। জোকারের প্রথম পর্ব তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৬৫ মিলিয়ন ডলার, দ্বিতীয় পর্বে সেটা তিন গুণের বেশি বেড়ে হয়েছে ২০০ মিলিয়ন। অথচ, তুলনায় এই সিনেমায় অ্যাকশন দৃশ্য, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসের কাজ নেই বললেই চলে। ফলে এ সিনেমার বিপুল ব্যয়কে বলা হচ্ছে উচ্চাভিলাষী এবং বাজেটের হিসাবে প্রথম সপ্তাহে ৩৭ মিলিয়ন ডলার আয় অনেক কম।

জোকারের প্রথম পর্বে আর্থার ফ্লেকের আক্রমণের কেন্দ্রে ছিল গোথাম সিটির অতি ধনী লোকজন। বিনোদনশিল্পের ধোঁকাবাজির বিরুদ্ধেও জোর প্রতিবাদ ছিল তাঁর। এবার অতিরিক্ত বাজেট ও দুর্বল পারফরম্যান্স নিয়ে জোকার টু সে পথেই হাঁটল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত