Ajker Patrika

এনজিওর আইনি নোটিশ আতঙ্কে ৩০০ কৃষক

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মে ২০২২, ১৫: ০৭
এনজিওর আইনি নোটিশ আতঙ্কে ৩০০ কৃষক

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের প্রান্তিক তিন শতাধিক কৃষককে আইনি নোটিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি একটি সংস্থার (এনজিও) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

৯ বছর পর হঠাৎ আইনি নোটিশে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে ওই বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রাহকদের কাছে তাদের বকেয়া রয়েছে। বকেয়া টাকা উত্তোলন করতে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) প্রান্তিক মানুষকে কিস্তির মাধ্যমে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল দিয়েছিল। তারা নিয়মিত সৌরবিদ্যুতের সেই প্যানেল দেখভাল করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের মায়াঘাসি, পানিহাটা, তত্তর, কালাকুমা, ঘাকপাড়া, বেলতৈল, কেরেঙ্গাপাড়া ও ফুলপুর গ্রামের প্রায় ৩০০ কৃষক পরিবার এনজিওটির কাছ থেকে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল কিস্তির মাধ্যমে নেয়। কেউ কেউ অর্ধেক টাকা কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধও করে। হঠাৎ ২০১৩ সালে এনজিওটি কাউকে কিছু না জানিয়ে উপজেলা থেকে তাদের অফিস সরিয়ে নেয়। এর পর থেকে তারা গ্রাহকদের কাছ কোনো কিস্তি নিতে আসেনি। এতে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল ব্যবহারকারী কৃষক পরিবারের লোকজন বিপাকে পড়েন। কারণ, সৌরবিদ্যুতের প্যানেল নষ্ট হলে তা মেরামতে সহযোগিতা করছিল না এনজিওটি। ফলে চার-পাঁচ বছর আগেই সৌরবিদ্যুতের প্যানেল অকেজো হয়ে যায়।

কারও সৌরবিদ্যুতের প্যানেলের ব্যাটারি কাজ করছিল না। আবার কারও কারও প্যানেলের বাতি জ্বলছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই ৯ বছর পর শেরপুর জেলায় রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক দীপক চন্দ্ৰ দাসের নাম ব্যবহার করে পাঁচ মাস ধরে প্রায় ৩০০ পরিবারকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। এতে সৌরবিদ্যুতের কিস্তির টাকা বকেয়া ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এতে কৃষকেরা আইনি নোটিশ আতঙ্কে ভুগছেন। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মায়াঘাসি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক রমজান আলী (৬৫) বলেন, ‘এনজিওটির প্রতিশ্রুতি ছিল মাসে মাসে সৌরবিদ্যুতের প্যানেলের কোনো সমস্যা হলে তা বিনা মূল্যে মেরামত করে দেবে তারা। কিন্তু উপজেলা থেকে কাউকে না জানিয়ে অফিস বন্ধ করে দেওয়ায় দেড় বছর পরই সৌরবিদ্যুতের ব্যাটারি ও সোলার প্যানেল নষ্ট হয়ে যায়। তাই তিনি কেজি দরে ভাঙারি হিসেবে তা বিক্রি করে দেন। এহন আমার নামে নোটিশ পাঠাইছে। এই লইয়া দুশ্চিন্তাই আছি’

কৃষক মো. জহিরুল ইসলাম (৪৫) বলেন, ‘উকিল আইনি পাঠিয়েছিল। কিন্তু যেতে পারিনি বলে পরে আদালতে মামলা করে দেয়। আদালতে হাজিরা দিয়ে এখন জামিনে রয়েছি।’

রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের শেরপুর কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই গ্রাহকদের কাছে রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের বকেয়া রয়েছে। উপজেলা থেকে অনেক আগেই অফিস বন্ধ করা হয়েছে। এখন শেরপুর জেলায় শুধু আমি দায়িত্বে রয়েছি। উকিল আইনি করে আদালতের মাধ্যমে বকেয়া টাকা উত্তোলন করতে অফিস আমাকে অনুমোদন দিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত