Ajker Patrika

মুগ ডালের খেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, ১১: ০১
মুগ ডালের খেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মুগ ডালের খেতে লেদা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একের পর এক খেত। এ থেকে খেত রক্ষা করতে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেও সুফল না পাওয়ায় কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৬ হাজার ১৪১ হেক্টর জমিতে মুগ ডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল বারি-৬, ১ হাজার ১০০ হেক্টরে বারি-৮ এবং ২ হাজার ১০ হেক্টরে বিনা-৮ ও দেশি প্রজাতির সোনাই মুগ ৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৬২১ হেক্টর কম জমিতে মুগ ডাল চাষ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, চলতি বছর বোরো ধান গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ চাষ হওয়ার কারণে মুগ ডাল কম চাষ হয়েছে।

উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরমিয়াজান, চরব্যারেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মুগ ডাল খেতে লেদা পোকার আক্রমণে গাছের ডালে ছড়া ঝরে পড়ছে। খেতজুড়ে লেদা পোকার আক্রমণ। একরের পর একর জমিতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।

উপজেলার চন্দ্রদীপ ইউনিয়নের চরমিয়াজান ওয়ার্ডের কৃষক বাদশা হাওলাদার বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি ৭ একর জমিতে উচ্চফলনশীল বারি-৬ প্রজাতির মুগ ডাল চাষ করেছেন। সাকল্যে তাঁর ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। গাছে যেভাবে ফল এসেছিল, তাতে ৭ একরে ডাল পাওয়া যেত কমপক্ষে ৫৬ মণ; যার বাজারমূল্য ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। অথচ লেদা পোকার আক্রমণে খেতের ডাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দুই দিন আগেও খেতটা দেখে চোখ জুড়িয়ে যেত, অথচ পোকার আক্রমণে খেতটির দিকে তাকানো যায় না। কষ্টে চোখে পানি চলে আসে।

এই দুর্দশা শুধু বাদশা হাওলাদারের একার নয়, একই গ্রামের আরেক কৃষক হেমায়েত হাওলাদারেরও। তিনি চাষ করেছেন ৯ একর জমিতে। এ ছাড়া আসাদুল সরদার চাষ করেছেন ৩ একর জমিতে, মিজান সরদার চাষ করেছেন ২ একর জমিতে। অধিকাংশ খেত লম্বা-গোলাকৃতির একধরনের পোকার উপদ্রবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই অবস্থা দেখা গেছে চরব্যারেট গ্রামের ফারুক খানের ৩ একর, মনিরের ৩ একর, বশার হাওলাদারের ২ একর, শাহজাহান হাওলাদারের ৫ একর জমিতে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। মাঠপর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। রাতে ঠান্ডা ও দিনে গরম আবহাওয়ার কারণে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষকদের পরিমিত ডোজ কীটনাশক ওষুধ দেওয়ার জন্য বলেছি। আশা করছি বৃষ্টি হলেই এ ধরনের পোকার আক্রমণ আর থাকবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত