Ajker Patrika

প্রতিপক্ষকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৫

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২২, ১৮: ০৯
প্রতিপক্ষকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৫

ঢাকার ধামরাইয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চার বন্ধুকে দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে ভুক্তভোগীকে থানায় নিয়ে যান প্রতিপক্ষের নামে ধর্ষণের মামলা দিতে। সন্দেহ হলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে থানায় যাওয়া দুজনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত শনিবার রাতে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

পরদিন রোববার রাতে থানা থেকে ধর্ষণের পরিকল্পনাকারী শহীদ (৪২) ও মনিরুল ইসলাম মনিরকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যে রাজ্জাক (৫৪), সোহরাব (৩৭) ও বিকাশ (৪০) নামের আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, রোববার শহীদ ও মনিরুল ওই ভুক্তভোগীকে নিয়ে থানায় আসেন। তাঁরা ধামরাইয়ের চরডাউটিয়া এলাকার একরাম হোসেন ও তাঁর ছেলে শাহীন, গোলাপ, আজগর আলী ও আহম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ওই ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে তাঁদের নামে মামলা নিতে বলেন। পরে শহীদ ও মনিরুলের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁরা স্বীকার করেন একরাম ও তাঁর সহযোগীরা ধর্ষণ করেননি। অন্য লোকেরা ধর্ষণ করেছে।

যাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করতে এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে শহীদ ও মনিরুলের জমি নিয়ে পূর্বশত্রুতা রয়েছে। এর জেরেই ওই ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের প্রতিপক্ষের নামে মামলা করাতে থানায় আনেন। এ ঘটনায় পরে ভুক্তভোগী গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শহীদ ও মনিরুলের সঙ্গে পূর্বপরিচয় ছিল ভুক্তভোগীর। সেই সুবাদে গত শনিবার শহীদ ভুক্তভোগীকে ধামরাইয়ের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে আশুলিয়ার নবীনগর থেকে তাঁকে ধামরাই নিয়ে আসেন। পরে ওই ভুক্তভোগীকে নানানভাবে মিথ্যা বলে শহীদের বাড়ি চর ডাউটিয়ায় নিয়ে যান। শহীদের বাড়ির একটি কক্ষে ভুক্তভোগীকে রেখে বাইরে চলে যান শহীদ।

পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহীদ ও মনিরুল অজ্ঞাত চারজন লোককে নিয়ে আসেন এবং তাঁদের সঙ্গে ভুক্তভোগীকে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাপ দেন। এতে ভুক্তভোগী রাজি না হলে ওই চারজনসহ ভুক্তভোগীকে কক্ষে রেখে বাইরে থেকে দরজা আটকে পাহারা দেন শহীদ ও মনিরুল। এ সময় রাজ্জাক, সোহরাব আলী ও বিকাশ এবং অজ্ঞাত আরও একজন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এরপর মামলা করতে থানায় আসেন শহীদ, মনিরুল ও ভুক্তভোগী নারী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহীদ ও মনিরুল ওই ভুক্তভোগীকে নিয়ে গত শনিবার থানায় আসেন। একরাম ও শাহীন গংদের নামে একটি ধর্ষণ মামলা নিতে বলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের আচরণ সন্দেহজনক হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আটক করি। পরে জানা যায়, যাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করতে এসেছিলেন, তাঁরা নির্দোষ।’

নির্মল কুমার দাস আরও বলেন, শহীদ ও মনির পরিকল্পনা করে মিথ্যা মামলা দিতে আসেন। পরে ভুক্তভোগী ছয়জনের নামে মামলা করেন। এ মামলায় শহীদ ও মনিরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁদের সহযোগিতায় আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল প্রত্যেকের ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত