আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলতি শতাব্দীতে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিল্পবিপ্লবের আগের তুলনায় দেড় বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রাখাই চলমান জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৬) মূল বিষয়। গত নয় দিনের আলোচনায় যেসব প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, তাতে তা ১ দশমিক ৮ ডিগ্রির আশপাশে রাখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের তাপমাত্রা মাত্র ২ ডিগ্রি বাড়লেও তাতে চলতি শতাব্দীতে সরাসরি ১০০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের ‘মেট অফিস’-এর এক প্রতিবেদনে।
কপ-২৬-এ উপস্থাপিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার গঠনে বড় পরিবর্তন আসবে। ফলে চরম গরমের পরিমাণ বাড়বে। গরমের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বা মৃত মানুষের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে ১৫ গুণ বাড়তে পারে।
প্রতিবেদন-সংশ্লিষ্ট অ্যান্ডি উইল্টশায়ার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা, দাবানল, খরা, খাদ্য স্বল্পতা, অতিবৃষ্টির পাশাপাশি গরমের ধরনে বড় পরিবর্তন আসবে। এতে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ব্রিটিশ জার্নাল ‘নেচার’-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের বরাতে আল জাজিরা জানায়, আগামী কয়েক দশকে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার (মিনা অঞ্চল) কোনো কোনো অঞ্চলের দৈনিক তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি বা তার বেশি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, ২১০০ সালের মধ্যে মিনা অঞ্চলের ৬০ কোটি বা প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা ‘তীব্র’ বা ‘সুপার-স্ট্রিম’ গরমের মুখে পড়বে। সেখানে দীর্ঘস্থায়ী পানি সমস্যা বাড়বে। অর্থনীতিসহ সার্বিক জনজীবনে এর প্রভাব পড়বে।
নেচারের প্রতিবেদনটির প্রধান বিজ্ঞানী জর্জ জিটিস আল জাজিরাকে বলেন, কয়েক দশকের মধ্যে মিনা অঞ্চলের কোনো কোনো জায়গায় গরম মানুষের সহ্যক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। গালফ, আরব এবং লোহিত সাগরের আশপাশের অঞ্চলগুলোয় এ ধরনের ঘটনা বাড়বে বেশি। এসব সাগর থেকে জলীয় বাষ্প উড়ে গিয়ে বায়ুস্তরে জড়ো হয়ে আর্দ্রতার গঠনে পরিবর্তনের কারণে মাত্রাতিরিক্ত গরম বাড়বে।
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের বড় বড় শহরে নিচু দ্বীপ অঞ্চলের মতো গরম রেকর্ড হবে। গরমের মৌসুম বেড়ে চার মাস হতে পারে। তা ছাড়া, বিশ্বে পানিসংকটে থাকা দেশগুলোর প্রায় ৭০ শতাংশ মিনা অঞ্চলে।
জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা সিএমসিসি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা পাওলা মার্কোগ্লিয়ানো বলেন, গরম বাড়ার কারণে মিনা অঞ্চলের সমাজে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, ২০৬৫ সালের মধ্যে অঞ্চলটির জনসংখ্যা বৃদ্ধি চূড়ায় পৌঁছাবে।
মিনা অঞ্চলের প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অঞ্চলটির মোট জিডিপি ২০৫০ সালের মধ্যে ৭-১৪ শতাংশ কমতে পারে। কারণ, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সেখানকার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আবাদি জমি চাষাবাদের অনুপযুক্ত হয়ে পড়তে পারে।
চলতি শতাব্দীতে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিল্পবিপ্লবের আগের তুলনায় দেড় বা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রাখাই চলমান জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৬) মূল বিষয়। গত নয় দিনের আলোচনায় যেসব প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, তাতে তা ১ দশমিক ৮ ডিগ্রির আশপাশে রাখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের তাপমাত্রা মাত্র ২ ডিগ্রি বাড়লেও তাতে চলতি শতাব্দীতে সরাসরি ১০০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের ‘মেট অফিস’-এর এক প্রতিবেদনে।
কপ-২৬-এ উপস্থাপিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার গঠনে বড় পরিবর্তন আসবে। ফলে চরম গরমের পরিমাণ বাড়বে। গরমের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বা মৃত মানুষের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে ১৫ গুণ বাড়তে পারে।
প্রতিবেদন-সংশ্লিষ্ট অ্যান্ডি উইল্টশায়ার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা, দাবানল, খরা, খাদ্য স্বল্পতা, অতিবৃষ্টির পাশাপাশি গরমের ধরনে বড় পরিবর্তন আসবে। এতে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ব্রিটিশ জার্নাল ‘নেচার’-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের বরাতে আল জাজিরা জানায়, আগামী কয়েক দশকে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার (মিনা অঞ্চল) কোনো কোনো অঞ্চলের দৈনিক তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রি বা তার বেশি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, ২১০০ সালের মধ্যে মিনা অঞ্চলের ৬০ কোটি বা প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা ‘তীব্র’ বা ‘সুপার-স্ট্রিম’ গরমের মুখে পড়বে। সেখানে দীর্ঘস্থায়ী পানি সমস্যা বাড়বে। অর্থনীতিসহ সার্বিক জনজীবনে এর প্রভাব পড়বে।
নেচারের প্রতিবেদনটির প্রধান বিজ্ঞানী জর্জ জিটিস আল জাজিরাকে বলেন, কয়েক দশকের মধ্যে মিনা অঞ্চলের কোনো কোনো জায়গায় গরম মানুষের সহ্যক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। গালফ, আরব এবং লোহিত সাগরের আশপাশের অঞ্চলগুলোয় এ ধরনের ঘটনা বাড়বে বেশি। এসব সাগর থেকে জলীয় বাষ্প উড়ে গিয়ে বায়ুস্তরে জড়ো হয়ে আর্দ্রতার গঠনে পরিবর্তনের কারণে মাত্রাতিরিক্ত গরম বাড়বে।
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের বড় বড় শহরে নিচু দ্বীপ অঞ্চলের মতো গরম রেকর্ড হবে। গরমের মৌসুম বেড়ে চার মাস হতে পারে। তা ছাড়া, বিশ্বে পানিসংকটে থাকা দেশগুলোর প্রায় ৭০ শতাংশ মিনা অঞ্চলে।
জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা সিএমসিসি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা পাওলা মার্কোগ্লিয়ানো বলেন, গরম বাড়ার কারণে মিনা অঞ্চলের সমাজে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, ২০৬৫ সালের মধ্যে অঞ্চলটির জনসংখ্যা বৃদ্ধি চূড়ায় পৌঁছাবে।
মিনা অঞ্চলের প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অঞ্চলটির মোট জিডিপি ২০৫০ সালের মধ্যে ৭-১৪ শতাংশ কমতে পারে। কারণ, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সেখানকার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আবাদি জমি চাষাবাদের অনুপযুক্ত হয়ে পড়তে পারে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২২ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫