Ajker Patrika

‘মানসিক স্বাস্থ্যসচেতন হলে কমবে আত্মহত্যার প্রবণতা’

শাকিলা ববি, সিলেট
আপডেট : ০১ জুন ২০২২, ১০: ৪৯
‘মানসিক স্বাস্থ্যসচেতন হলে কমবে আত্মহত্যার প্রবণতা’

বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যা মানসিক সমস্যা। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হলে কমবে আত্মহত্যার প্রবণতা। যারা আত্মহত্যা করে তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন। কিন্তু মানুষ শারীরিক সমস্যা নিয়ে যতটা চিন্তিত হয়, ততটা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত হয় না। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীনতার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।

সিলেট জেলায় আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করে বিশেষজ্ঞরা এ মতামত দেন। এ জেলায় আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

গত বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তিন দিনে সিলেটে তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এরপর গত রোববার রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করে। এদিকে গত সোমবার সদর উপজেলার মইয়ারচর গ্রামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ জানায়, গত সোমবার বিকেলে ওই গৃহবধূ গোসলখানায় তোয়ালে রাখার হ্যাংগারের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

সিলেট জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জেলায় আত্মহত্যা করেছেন ৩৯৬ জন। এর মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৩১৫ জন, বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন ৭৯ জন ও গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুজন। জেলায় ২০২০ সালে ৯৩ টি, ২০২১ সালে ৯৯টি ও ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৩০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জান্নাতুন নাহার তানিয়া বলেন, ‘আমরা শারীরিক সমস্যা নিয়ে যতটা চিন্তিত ততটা চিন্তিত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নই। সর্দি-জ্বর হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। কিন্তু মানসিক অশান্তিতে যখন ভুগি তখন ডাক্তারের কাছে যাই না। আমাদের একটা সোশ্যাল সিগমা আছে যে, কোনো সাইকোলজিস্টের কাছে গেলেই মনে হয় আমরা পাগল হয়ে গেলাম। আবার অনেকেই মনে করেন একবারে পাগল হওয়ার আগ পর্যন্ত মানসিক ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন্নেছা বলেন, করোনা পেনডামিকের পর সারা বিশ্বে আত্মহত্যার চেষ্টা ও প্রবণতা বেড়েছে। এর কারণ হলো গত দুই বছরে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। একাকিত্ব, অর্থনৈতিক সংকট বেড়েছে। পাশাপাশি করোনাকালে ছেলে-মেয়েরা দীর্ঘ সময় বাসায় ছিল, তখন মা-বাবার সঙ্গে তাদের নানা ধরনের তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। পেন্ডামিকের সঙ্গে যেটা সেডো পেনডামিক হিসেবে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বেড়ে গেছে। এই বিশেষ বিশেষ কতগুলো কারণে মানুষ মানসিকভাবে চাপের মধ্যে আছে। সেখান থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে। ভয়, দারিদ্র্য, পারিবারিক সংঘর্ষের কারণে মানসিক অসুস্থও বেড়ে গেছে। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৯০ শতাংশ কোনো না কোনো মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজ করার নির্দেশ দিল সরকার

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত