বরগুনা প্রতিনিধি
ঈদের ষষ্ঠ দিনেও ঢাকায় ফিরছে মানুষ। গতকাল রোববার বরগুনা লঞ্চঘাট থেকে দুটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে ঢাকার উদ্দেশে। আমুয়া থেকে যাত্রী নিয়ে বামনা ও বেতাগী হয়ে আরও একটি লঞ্চ ছেড়েছে।
আমতলী থেকেও তিনটি লঞ্চ ছেড়েছে। প্রতিটি লঞ্চই ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব এবং অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া লঞ্চের স্টাফ ও দালালদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকায় কেবিন ও ডেকের জায়গা কিনতে হচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে এম কে শিপিং লাইনসের লঞ্চ চলাচল করে। এই শিপিং লাইনসের বরগুনা ঘাট ব্যবস্থাপক এনায়েত হোসেন বলেন, গতকাল বরগুনা থেকে বেলা তিনটায় এমভি পূবালী-৭ ও চারটায় রয়েল ক্রুজ এবং বিকেল সাড়ে চারটায় আমুয়া থেকে আসা ঈদ স্পেশাল শাহরুখ-২ লঞ্চ বামনা থেকে ছেড়েছে। এ ছাড়া আমতলী থেকে এমভি তরঙ্গ-৭, এমভি ইয়াদ-১ ও এমভি সুন্দরবন নামের তিনটি লঞ্চ ছেড়েছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের সুবিধার জন্য লঞ্চমালিক কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ঈদ স্পেশাল এমভি শতাব্দী বাঁধন নামের একটি লঞ্চ চালু করেছে। অভিযোগ রয়েছে, লঞ্চটি ধারণক্ষমতার দু-তিন গুণ যাত্রী পরিবহন করছে। আমতলীর এমভি তরঙ্গ-৭ লঞ্চে যাত্রীর ধারণক্ষমতা ৭০২ জন, কিন্তু নেওয়া হচ্ছে এক হাজার থেকে দেড় হাজার। ঈদ স্পেশাল এমভি শতাব্দী বাঁধন লঞ্চের ধারণক্ষমতা ৮৯১ জন, কিন্তু নেওয়া হচ্ছে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার। একইভাবে বরগুনা থেকে ছাড়া তিনটি লঞ্চেও ধারণক্ষমতার তিন-চার গুণ যাত্রী বোঝাই করে ঘাট ছাড়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারনির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। বরগুনা থেকে ঢাকা সিঙ্গেল কেবিনে ভাড়া ১ হাজার ২০০ টাকা থাকলেও এখন ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ডাবল কেবিনেও ২ হাজার ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। এ ছাড়া আমতলী-ঢাকা প্রথম শ্রেণির সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা,
ডাবল কেবিনের ভাড়া ২ হাজার ৮০০ টাকা এবং ডেকের যাত্রীদের ভাড়া ৪৫০ টাকা।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ‘স্টাফ ও একটি দালাল চক্র লঞ্চের ডেকে বিছানা (তোশক) বিছিয়ে রেখেছে। ওই বিছানা তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। তালতলী উপজেলার ছোটবগী গ্রামের মো. কালাম সিকদার বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই এমভি তরঙ্গ-৭ লঞ্চে ঢাকায় যাচ্ছি। লঞ্চের স্টাফরা তোশক বিছিয়ে অতিরিক্ত টাকায় আদায় করছে। ম্যাজিস্ট্রেট আসার পরে তারা তোশক সরিয়ে ফেলেছে।’
কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর গ্রামের শাহীন বলেন, ‘লঞ্চের ডেকে তিনজনের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকায় জায়গা কিনেছি। টাকা না দিলে লঞ্চে জায়গা পাওয়া যায় না।’ লঞ্চের যাত্রী আবুল হোসেন বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাইয়ের কথা লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম। তারা উল্টো আমাকে ধমক দিয়ে বলে, এভাবে গেলে যান, না হয় লঞ্চ থেকে নেমে যান।’
এমভি তরঙ্গ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ বেশি। তাই বেশি নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ডেক থেকে বিছানা (তোশক) তুলে নেওয়া হয়েছে।
এম কে শিপিং লাইনসের বরগুনার ব্যবস্থাপক মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘যাত্রীরা নিষেধ করলেও শোনে না। তাদের যেকোনো উপায়ে ফিরতেই হবে। আমরা নিরুৎসাহিত করতে গিয়ে তর্কের সৃষ্টি হয়। আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না, কিন্তু কে কার কথা শোনে। আমরা নির্ধারিত সময়ে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়েছি। অতিরিক্ত টাকাপয়সা নেওয়ার কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমরা ওই স্টাফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’বরগুনা বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ বেশি। তারপরও ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। বেশি যাত্রী নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈদের ষষ্ঠ দিনেও ঢাকায় ফিরছে মানুষ। গতকাল রোববার বরগুনা লঞ্চঘাট থেকে দুটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে ঢাকার উদ্দেশে। আমুয়া থেকে যাত্রী নিয়ে বামনা ও বেতাগী হয়ে আরও একটি লঞ্চ ছেড়েছে।
আমতলী থেকেও তিনটি লঞ্চ ছেড়েছে। প্রতিটি লঞ্চই ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব এবং অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া লঞ্চের স্টাফ ও দালালদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকায় কেবিন ও ডেকের জায়গা কিনতে হচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে এম কে শিপিং লাইনসের লঞ্চ চলাচল করে। এই শিপিং লাইনসের বরগুনা ঘাট ব্যবস্থাপক এনায়েত হোসেন বলেন, গতকাল বরগুনা থেকে বেলা তিনটায় এমভি পূবালী-৭ ও চারটায় রয়েল ক্রুজ এবং বিকেল সাড়ে চারটায় আমুয়া থেকে আসা ঈদ স্পেশাল শাহরুখ-২ লঞ্চ বামনা থেকে ছেড়েছে। এ ছাড়া আমতলী থেকে এমভি তরঙ্গ-৭, এমভি ইয়াদ-১ ও এমভি সুন্দরবন নামের তিনটি লঞ্চ ছেড়েছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের সুবিধার জন্য লঞ্চমালিক কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ঈদ স্পেশাল এমভি শতাব্দী বাঁধন নামের একটি লঞ্চ চালু করেছে। অভিযোগ রয়েছে, লঞ্চটি ধারণক্ষমতার দু-তিন গুণ যাত্রী পরিবহন করছে। আমতলীর এমভি তরঙ্গ-৭ লঞ্চে যাত্রীর ধারণক্ষমতা ৭০২ জন, কিন্তু নেওয়া হচ্ছে এক হাজার থেকে দেড় হাজার। ঈদ স্পেশাল এমভি শতাব্দী বাঁধন লঞ্চের ধারণক্ষমতা ৮৯১ জন, কিন্তু নেওয়া হচ্ছে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার। একইভাবে বরগুনা থেকে ছাড়া তিনটি লঞ্চেও ধারণক্ষমতার তিন-চার গুণ যাত্রী বোঝাই করে ঘাট ছাড়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারনির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। বরগুনা থেকে ঢাকা সিঙ্গেল কেবিনে ভাড়া ১ হাজার ২০০ টাকা থাকলেও এখন ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ডাবল কেবিনেও ২ হাজার ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। এ ছাড়া আমতলী-ঢাকা প্রথম শ্রেণির সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা,
ডাবল কেবিনের ভাড়া ২ হাজার ৮০০ টাকা এবং ডেকের যাত্রীদের ভাড়া ৪৫০ টাকা।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ‘স্টাফ ও একটি দালাল চক্র লঞ্চের ডেকে বিছানা (তোশক) বিছিয়ে রেখেছে। ওই বিছানা তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। তালতলী উপজেলার ছোটবগী গ্রামের মো. কালাম সিকদার বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই এমভি তরঙ্গ-৭ লঞ্চে ঢাকায় যাচ্ছি। লঞ্চের স্টাফরা তোশক বিছিয়ে অতিরিক্ত টাকায় আদায় করছে। ম্যাজিস্ট্রেট আসার পরে তারা তোশক সরিয়ে ফেলেছে।’
কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর গ্রামের শাহীন বলেন, ‘লঞ্চের ডেকে তিনজনের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকায় জায়গা কিনেছি। টাকা না দিলে লঞ্চে জায়গা পাওয়া যায় না।’ লঞ্চের যাত্রী আবুল হোসেন বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাইয়ের কথা লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম। তারা উল্টো আমাকে ধমক দিয়ে বলে, এভাবে গেলে যান, না হয় লঞ্চ থেকে নেমে যান।’
এমভি তরঙ্গ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ বেশি। তাই বেশি নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ডেক থেকে বিছানা (তোশক) তুলে নেওয়া হয়েছে।
এম কে শিপিং লাইনসের বরগুনার ব্যবস্থাপক মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘যাত্রীরা নিষেধ করলেও শোনে না। তাদের যেকোনো উপায়ে ফিরতেই হবে। আমরা নিরুৎসাহিত করতে গিয়ে তর্কের সৃষ্টি হয়। আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না, কিন্তু কে কার কথা শোনে। আমরা নির্ধারিত সময়ে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছেড়েছি। অতিরিক্ত টাকাপয়সা নেওয়ার কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমরা ওই স্টাফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’বরগুনা বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ বেশি। তারপরও ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। বেশি যাত্রী নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪