দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
২০১১ সালে যাত্রা শুরু হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের। এরপর কেটে গেছে ১২ বছরের বেশি। অথচ পরিকল্পিত কোনো উন্নয়ন হয়নি নগরটির। যানজট ও জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে আগের মতোই। এ ছাড়া যত্রতত্র পার্কিং, অবৈধ স্ট্যান্ড ও সরু রাস্তা নগরবাসীকে ভোগাচ্ছে নিত্যদিন। নেই ময়লা-আবর্জনা ফেলার পর্যাপ্ত ডাস্টবিন।
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, পরিকল্পিত উন্নয়ন না হলে আগামী ১০ বছরে কুমিল্লা নগরী বসবাসের অনুপযোগী হয় পড়বে।
স্থানীয়দের দাবি, এসব সমস্যা সমাধানে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করেননি কেউ। আগামী ৯ মার্চ হতে যাওয়া মেয়র পদের উপনির্বাচনে যিনি বিজয়ী হবেন, তিনি যেন কথা ও কাজের মিল রাখেন, তাঁরা সেটাই চান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন হওয়ার পর এক যুগ পার হলেও এখনো নেওয়া হয়নি কোনো মহাপরিকল্পনা। এ ছাড়া বড় অঙ্কের বরাদ্দ ও অনেক প্রকল্পের কাজ হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে। এতে নাগরিকদের মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানের বদলে সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতা। নগরীতে প্রতিনিয়ত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন, যানবাহন ও জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না সড়ক। নগরে নেই পর্যাপ্ত ভূ-উপরিস্থ নালা ও ভূগর্ভস্থ পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। দিনের অধিকাংশ সময় নগরীতে লেগে থাকে যানজট। একটু বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
নগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা শামস্ তাবরীজ বলেন, সিটি নির্বাচন এলে প্রার্থীরা পরিকল্পিত ও সুন্দর নগরী গড়তে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেন না।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) কুমিল্লা জেলা কমিটির সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, ‘দিন দিন নগরীতে যানজটের মাত্রা বাড়ছে। যে পরিমাণ গাড়ি বাড়ছে, সে পরিমাণে সড়ক নেই। পরিকল্পিত নগরী গড়তে মাস্টারপ্ল্যানের কথা শুনে আসছি, কিন্তু বাস্তবায়ন দেখছি না।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হাবিবুর আল-আমিন সাদী বলেন, ‘কুমিল্লা সিটির মাস্টারপ্ল্যান মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। বিভিন্ন দপ্তর এটি পর্যালোচনা করছে। বিষয়টি সহসাই হচ্ছে না। একটু সময় লাগবে।’
ভারপ্রাপ্ত মেয়র জানান, সিটি করপোরেশনে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, যানজট নিরসন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বাড়বে।
মেয়র প্রার্থী, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নূরুর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, ‘কোনো পরিকল্পনা না করেই নামকাওয়াস্তে সিটির কিছু নালা ও রাস্তার কাজ হয়েছে। আমি দায়িত্ব পেলে কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবায়ন করব।’
সাবেক মেয়র ও মেয়র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি মেয়র থাকাকালে কুমিল্লা সিটির জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। সে অনুযায়ী ১ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ এনে শুরুও করেছিলাম। ২০২২ সালের নির্বাচনে আমাকে পরিকল্পনা করে হারানো হয়েছে। এবার প্রার্থী হয়েছি নগরবাসীকে দেওয়া কথা বাস্তবায়ন করার জন্য। আমার নেওয়া কাজ শেষ করতে পারলে নগরবাসীর আর কোনো চাহিদা বা আফসোস থাকবে না।’
২০১১ সালে যাত্রা শুরু হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের। এরপর কেটে গেছে ১২ বছরের বেশি। অথচ পরিকল্পিত কোনো উন্নয়ন হয়নি নগরটির। যানজট ও জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে আগের মতোই। এ ছাড়া যত্রতত্র পার্কিং, অবৈধ স্ট্যান্ড ও সরু রাস্তা নগরবাসীকে ভোগাচ্ছে নিত্যদিন। নেই ময়লা-আবর্জনা ফেলার পর্যাপ্ত ডাস্টবিন।
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, পরিকল্পিত উন্নয়ন না হলে আগামী ১০ বছরে কুমিল্লা নগরী বসবাসের অনুপযোগী হয় পড়বে।
স্থানীয়দের দাবি, এসব সমস্যা সমাধানে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করেননি কেউ। আগামী ৯ মার্চ হতে যাওয়া মেয়র পদের উপনির্বাচনে যিনি বিজয়ী হবেন, তিনি যেন কথা ও কাজের মিল রাখেন, তাঁরা সেটাই চান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন হওয়ার পর এক যুগ পার হলেও এখনো নেওয়া হয়নি কোনো মহাপরিকল্পনা। এ ছাড়া বড় অঙ্কের বরাদ্দ ও অনেক প্রকল্পের কাজ হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে। এতে নাগরিকদের মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানের বদলে সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতা। নগরীতে প্রতিনিয়ত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন, যানবাহন ও জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না সড়ক। নগরে নেই পর্যাপ্ত ভূ-উপরিস্থ নালা ও ভূগর্ভস্থ পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। দিনের অধিকাংশ সময় নগরীতে লেগে থাকে যানজট। একটু বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
নগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা শামস্ তাবরীজ বলেন, সিটি নির্বাচন এলে প্রার্থীরা পরিকল্পিত ও সুন্দর নগরী গড়তে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেন না।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) কুমিল্লা জেলা কমিটির সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, ‘দিন দিন নগরীতে যানজটের মাত্রা বাড়ছে। যে পরিমাণ গাড়ি বাড়ছে, সে পরিমাণে সড়ক নেই। পরিকল্পিত নগরী গড়তে মাস্টারপ্ল্যানের কথা শুনে আসছি, কিন্তু বাস্তবায়ন দেখছি না।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হাবিবুর আল-আমিন সাদী বলেন, ‘কুমিল্লা সিটির মাস্টারপ্ল্যান মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। বিভিন্ন দপ্তর এটি পর্যালোচনা করছে। বিষয়টি সহসাই হচ্ছে না। একটু সময় লাগবে।’
ভারপ্রাপ্ত মেয়র জানান, সিটি করপোরেশনে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, যানজট নিরসন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বাড়বে।
মেয়র প্রার্থী, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নূরুর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, ‘কোনো পরিকল্পনা না করেই নামকাওয়াস্তে সিটির কিছু নালা ও রাস্তার কাজ হয়েছে। আমি দায়িত্ব পেলে কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবায়ন করব।’
সাবেক মেয়র ও মেয়র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি মেয়র থাকাকালে কুমিল্লা সিটির জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। সে অনুযায়ী ১ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ এনে শুরুও করেছিলাম। ২০২২ সালের নির্বাচনে আমাকে পরিকল্পনা করে হারানো হয়েছে। এবার প্রার্থী হয়েছি নগরবাসীকে দেওয়া কথা বাস্তবায়ন করার জন্য। আমার নেওয়া কাজ শেষ করতে পারলে নগরবাসীর আর কোনো চাহিদা বা আফসোস থাকবে না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪