রুদ্র রুহান, বরগুনা
সম্প্রতি পরিচয় গোপন করে বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পাশের একটি চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, পাসপোর্ট করতে আসা লোকজনকে পরামর্শ দিচ্ছেন চা-দোকানি বিজয়। তিনি বলছিলেন, ‘মাধ্যম ছাড়া দ্রুত পাসপোর্ট করতে পারবেন না। আমার লোক আছে, অফিস খরচ দিলে আমি আপনার কাজ করে দিতে পারব। পুলিশ ভেরিফিকেশনও আমরা করে দেব। আপনি শুধু ব্যাংকের টাকা এবং কাগজপত্র জমা দেবেন। এরপর একদিন অফিসে এসে ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ দিলেই হবে। বাকি সব কাজ আমাদের। আপনি শুধু এসে পাসপোর্ট নিয়ে যাবেন।’
পাশের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিজয় পাসপোর্ট অফিসের দালাল চক্রের সদস্য হিসেবেও কাজ করছেন।
পরে খরচ নিয়ে জানতে চাইলে বিজয় বলেন, ‘আবেদন করতে যেখানে যে খরচ তা আপনার হাতেই পরিশোধ করবেন। শুধু অফিস খরচের জন্য দেড় থেকে দুই হাজার টাকা আমার কাছে জমা দেবেন।’
ওই দোকানে থাকতে থাকতেই পাসপোর্টের জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করা বরগুনার পাথরঘাটা থেকে তানিমুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি আসেন। তাঁর বাবার নামে ভুল হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিনি। দালাল চক্রের সদস্য বিজয়কে তাঁর সমস্যার কথা জানান। হাতে থাকা সব কাগজপত্র দেখে সময় একটু বেশি লাগলেও সমাধান করে দিতে পারবেন বলে জানান বিজয়। তবে এর জন্য ১১ হাজার টাকা দাবি করেন তানিমুলের কাছে।
দোকান থেকে বের হওয়ার পর তানিমুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নিয়ম মেনেই কাজ করতে চাই। দালালের মাধ্যমে কাজ করলে দ্রুত সমাধান হলেও আমি দালালে বিশ্বাস করি না।’
বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রায় সব দোকানেই যেন ‘বিকল্প অফিস’ বসান দালালরা। পাসপোর্ট করতে এসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কেউ অফিস থেকে বের হলেই তাঁরা এগিয়ে যান।
পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা থেকে শুরু করে নানা কাজে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ বরগুনা পাসপোর্ট অফিসে আসেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মুনতাকীম মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘বরগুনায় আমি নতুন যোগদান করেছি। ইতিমধ্যে জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশেষ করে অফিসে কর্মরতদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসের দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এরপরও যারা এ কাজে যুক্ত রয়েছে, তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সম্প্রতি পরিচয় গোপন করে বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পাশের একটি চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, পাসপোর্ট করতে আসা লোকজনকে পরামর্শ দিচ্ছেন চা-দোকানি বিজয়। তিনি বলছিলেন, ‘মাধ্যম ছাড়া দ্রুত পাসপোর্ট করতে পারবেন না। আমার লোক আছে, অফিস খরচ দিলে আমি আপনার কাজ করে দিতে পারব। পুলিশ ভেরিফিকেশনও আমরা করে দেব। আপনি শুধু ব্যাংকের টাকা এবং কাগজপত্র জমা দেবেন। এরপর একদিন অফিসে এসে ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ দিলেই হবে। বাকি সব কাজ আমাদের। আপনি শুধু এসে পাসপোর্ট নিয়ে যাবেন।’
পাশের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিজয় পাসপোর্ট অফিসের দালাল চক্রের সদস্য হিসেবেও কাজ করছেন।
পরে খরচ নিয়ে জানতে চাইলে বিজয় বলেন, ‘আবেদন করতে যেখানে যে খরচ তা আপনার হাতেই পরিশোধ করবেন। শুধু অফিস খরচের জন্য দেড় থেকে দুই হাজার টাকা আমার কাছে জমা দেবেন।’
ওই দোকানে থাকতে থাকতেই পাসপোর্টের জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করা বরগুনার পাথরঘাটা থেকে তানিমুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি আসেন। তাঁর বাবার নামে ভুল হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিনি। দালাল চক্রের সদস্য বিজয়কে তাঁর সমস্যার কথা জানান। হাতে থাকা সব কাগজপত্র দেখে সময় একটু বেশি লাগলেও সমাধান করে দিতে পারবেন বলে জানান বিজয়। তবে এর জন্য ১১ হাজার টাকা দাবি করেন তানিমুলের কাছে।
দোকান থেকে বের হওয়ার পর তানিমুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নিয়ম মেনেই কাজ করতে চাই। দালালের মাধ্যমে কাজ করলে দ্রুত সমাধান হলেও আমি দালালে বিশ্বাস করি না।’
বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রায় সব দোকানেই যেন ‘বিকল্প অফিস’ বসান দালালরা। পাসপোর্ট করতে এসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কেউ অফিস থেকে বের হলেই তাঁরা এগিয়ে যান।
পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা থেকে শুরু করে নানা কাজে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ বরগুনা পাসপোর্ট অফিসে আসেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মুনতাকীম মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘বরগুনায় আমি নতুন যোগদান করেছি। ইতিমধ্যে জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশেষ করে অফিসে কর্মরতদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসের দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এরপরও যারা এ কাজে যুক্ত রয়েছে, তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪