Ajker Patrika

সেতুতে বাঁশের রেলিং ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ৩৭
সেতুতে বাঁশের রেলিং  ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ঝিনাইদহের চাকলাপাড়া এলাকায় নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুতে এক বছর ধরে বাঁশের রেলিং থাকলেও তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে এমন নাজুক অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শঙ্কা নিয়ে সেতু পার হচ্ছে স্থানীয়রা।

জানা যায়, খুলনা-রাজশাহী বিভাগের যোগাযোগের একমাত্র পথ এটি। এ সড়কের ঝিনাইদহের চাকলাপাড়া এলাকায় নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত ওই সেতুটির এক অংশের রেলিং ভেঙে যাওয়ায় বাঁশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ঝিনাইদহ বাইপাস এলাকার ভুটিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় একই নদীর ওপরে অপর একটি সেতুর রেলিংও দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে। 
এমন সেতুর ওপর দিয়ে দূরপাল্লা ও স্থানীয় রুটের সব ধরনের যানবাহন চলাচল করলেও তা মেরামতে নেই সড়ক বিভাগের কোনো উদ্যোগ।

চাকলাপাড়া এলাকার আমিনুল হক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির রেলিং ভেঙে পড়ে আছে। এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও মেরামত করা হয়নি।’ তিনি জানান, এক বছর আগে চাকলাপাড়া এলাকার এ সেতুতে মোটরসাইকেল ও চাল বোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় ট্রাকটি সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। কিছুদিন পর ভাঙা অংশে বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়।

ভুটিয়ারগাতী এলাকার সলিম উদ্দিন লস্কার বলেন, ‘এলাকার সেতুটির ফুটপাত ও এক সাইডের রেলিং দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন এক প্রকার ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছে।’

সলিম উদ্দিন বলেন, ‘সেতুতে রাতে কোনো আলোর ব্যবস্থা নেই। এক বছর আগে একটি ট্রাক সেতুটির রেলিংয়ে ধাক্কা দিয়ে ঝুলে থাকে। সেই সময় থেকে এটি এমন অবস্থায় পড়ে আছে। এখন ছোটখাটো যানবাহন গেলেও প্রচণ্ড কাপে। এ ছাড়া এই সেতুর ওপর দিয়ে খুলনা বিভাগের সঙ্গে রাজশাহী বিভাগের সব প্রকার যানবাহন চলাচল করে, এমনি রাজধানীতে যেতেও সেতুটি ব্যবহার করা হয়।’

গড়াই পরিবহনের চালক উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘বাকযুক্ত সেতুটি পাড় হতে বেশ বেগ পেতে হয়। এখানে সেতুর সাইড ভাঙা। কোনো কারণে একটু ভুল হলেই সেতুর সাইডে গাড়ি পড়লে নিশ্চিত বড় ক্ষতি হবে।’

বেনাপোল বন্দর থেকে মালামাল নিয়ে রাজশাহী যাচ্ছেন ট্রাকচালক আকাউল হক। তিনি বলেন, ‘নিয়মিতই বন্দর থেকে মালামাল নিয়ে রাজশাহীসহ অন্যান্য স্থানে যেতে হয়। যখন এ সেতুর ওপরে ট্রাক ওঠে, তখন কাঁপতে থাকে। মনে হয়, কখন যেন ভেঙে পড়ে।’

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘ঝিনাইদহের বেশ কিছু সেতুর রেলিং মেরামতের তালিকা করেছি। এ তালিকার মধ্যে ওই দুটি সেতু আছে কি না তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। দ্রুতই সেতু দুটির রেলিং ঠিক করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত