তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, পাথরঘাটা
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রবে টেকা কঠিন হয়ে পড়েছে। দিনে কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যা হলে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও রেহাই মিলছে না। মশার উপদ্রবে শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেক মানুষই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিঘ্ন ঘটছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়ও।
পৌর এলাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, নিয়মিত ড্রেন, ডোবা, পরিষ্কার না করাসহ পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রচুর মশা জন্ম নিচ্ছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে পৌরসভার মশকনিধন কার্যক্রম। ফলে মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। মশার বংশবিস্তার রোধে বারবার বলা হলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ—এমনটাই অভিযোগ পৌরবাসীর।
পাথরঘাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ১৯৯১ সালে পাথরঘাটা পৌরসভার প্রতিষ্ঠা হয়ে এটি দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। ফলে শহরের পূর্ববাজার মুরগির টল, মাছের টল, কসাইখানা, ফলবাজার, কাঁচাবাজার এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এমনকি ঝোপঝাড়, জঙ্গল, নামেমাত্র থাকা ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ড্রেনগুলোর পানির প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে ড্রেনে জমে থাকা পানি, ঝোপঝাড়, জঙ্গল ও ময়লা-আবর্জনা থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে মশার কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করেও মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌর শহরের অর্ধলাখ বাসিন্দার জীবন।
পৌরসভার জহিরুল আহমেদ শিমু, কাজী মামুন, রিয়াজসহ একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরে মশকনিধনে চোখে পড়ার মতো দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। এমনকি পৌরসভার ড্রেনগুলোও পরিষ্কার করা হচ্ছে না ঠিকমতো। যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই যত্রতত্র পানি জমে থাকে। এ কারণে মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। মাঝে মাঝে ফটোসেশনের জন্য ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে ছিটানো হয়।
পাথরঘাটা ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, পাথরঘাটা পৌর শহরে মশা নিধনের জন্য কোনো জনবল নেই। পদ খালি থাকা সত্ত্বেও জনবল বৃদ্ধিতে আগ্রহ নেই কর্তৃপক্ষের। এ ছাড়া যে বাজেট আসে তা ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। কিন্তু মশকনিধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয় না। গত বছরের মশকনিধনের ওষুধ এখন ড্রামভরা অবস্থায় আছে বলেও জানান তিনি।
মেশিন সমস্যার কারণে কয়েক বছর ধরে পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো স্প্রে করা হয়নি বলে জানান কাউন্সিলর মশিউর রহমান। একই অভিযোগ ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রোকন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মন্জুর রশিদ সুমনের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাথরঘাটা পৌরসভার এক কর্মকর্তা বলেন, মশার দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সর্বত্রই মশার উপদ্রব। দিন-রাত সমানতালে চলছে এ উপদ্রব। দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে অফিস করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাথরঘাটা পৌরসভায় যে কয়টি মশকনিধনের স্প্রে মেশিন রয়েছে, তার মধ্যে মাত্র একটি সচল রয়েছে। যা মাঝেমধ্যে ফটোসেশন ও পৌর ভবনের চতুর্দিকে স্প্রে করতে দেখা গেছে।
পাথরঘাটা বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, পাথরঘাটায় মশার কয়েল ও স্প্রের চাহিদা অনেক বেশি।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও পাথরঘাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোসাম্মৎ চামেলি বলেন, মশকনিধনের ওষুধ মজুত আছে। শিগগির ফগার মেশিন ঠিক করে স্প্রে করা হবে।
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রবে টেকা কঠিন হয়ে পড়েছে। দিনে কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যা হলে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও রেহাই মিলছে না। মশার উপদ্রবে শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেক মানুষই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিঘ্ন ঘটছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়ও।
পৌর এলাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, নিয়মিত ড্রেন, ডোবা, পরিষ্কার না করাসহ পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রচুর মশা জন্ম নিচ্ছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে পৌরসভার মশকনিধন কার্যক্রম। ফলে মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। মশার বংশবিস্তার রোধে বারবার বলা হলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ—এমনটাই অভিযোগ পৌরবাসীর।
পাথরঘাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ১৯৯১ সালে পাথরঘাটা পৌরসভার প্রতিষ্ঠা হয়ে এটি দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। ফলে শহরের পূর্ববাজার মুরগির টল, মাছের টল, কসাইখানা, ফলবাজার, কাঁচাবাজার এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এমনকি ঝোপঝাড়, জঙ্গল, নামেমাত্র থাকা ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ড্রেনগুলোর পানির প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে ড্রেনে জমে থাকা পানি, ঝোপঝাড়, জঙ্গল ও ময়লা-আবর্জনা থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে মশার কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করেও মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌর শহরের অর্ধলাখ বাসিন্দার জীবন।
পৌরসভার জহিরুল আহমেদ শিমু, কাজী মামুন, রিয়াজসহ একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরে মশকনিধনে চোখে পড়ার মতো দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। এমনকি পৌরসভার ড্রেনগুলোও পরিষ্কার করা হচ্ছে না ঠিকমতো। যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই যত্রতত্র পানি জমে থাকে। এ কারণে মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। মাঝে মাঝে ফটোসেশনের জন্য ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে ছিটানো হয়।
পাথরঘাটা ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, পাথরঘাটা পৌর শহরে মশা নিধনের জন্য কোনো জনবল নেই। পদ খালি থাকা সত্ত্বেও জনবল বৃদ্ধিতে আগ্রহ নেই কর্তৃপক্ষের। এ ছাড়া যে বাজেট আসে তা ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। কিন্তু মশকনিধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয় না। গত বছরের মশকনিধনের ওষুধ এখন ড্রামভরা অবস্থায় আছে বলেও জানান তিনি।
মেশিন সমস্যার কারণে কয়েক বছর ধরে পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো স্প্রে করা হয়নি বলে জানান কাউন্সিলর মশিউর রহমান। একই অভিযোগ ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রোকন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মন্জুর রশিদ সুমনের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাথরঘাটা পৌরসভার এক কর্মকর্তা বলেন, মশার দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সর্বত্রই মশার উপদ্রব। দিন-রাত সমানতালে চলছে এ উপদ্রব। দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে অফিস করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাথরঘাটা পৌরসভায় যে কয়টি মশকনিধনের স্প্রে মেশিন রয়েছে, তার মধ্যে মাত্র একটি সচল রয়েছে। যা মাঝেমধ্যে ফটোসেশন ও পৌর ভবনের চতুর্দিকে স্প্রে করতে দেখা গেছে।
পাথরঘাটা বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, পাথরঘাটায় মশার কয়েল ও স্প্রের চাহিদা অনেক বেশি।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও পাথরঘাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোসাম্মৎ চামেলি বলেন, মশকনিধনের ওষুধ মজুত আছে। শিগগির ফগার মেশিন ঠিক করে স্প্রে করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪