কুমারখালী ও দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, বর্ষা মৌসুম শেষ। তবে আষাঢ়-শ্রাবণে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সংকটে কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও দৌলতপুর উপজেলায় অনেক কৃষক এখনো আমন চাষাবাদ শুরু করতে পারেননি।
যেসব কৃষক সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করেন, তাঁরা পড়েন নতুন বিপাকে। মৌসুমের শুরু থেকে অনাবৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক জমিতে চাষ দিতে পারেননি। এমন কি ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সেচযন্ত্রের সাহায্যেও পানি তুলে আবাদ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাঁদের। এর সঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়ায় সারের দাম বৃদ্ধি। সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কলের লাঙল দিয়ে জমি চাষ করাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে আমন চাষিদের দুশ্চিন্তা যেন এবার পিছু ছাড়ছেই না।
কৃষকেরা বলছেন, কৃষি প্রধান দেশে কৃষকেরাই যেন অভিশপ্ত। সার ও জ্বালানি তেলসহ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অথচ কৃষিপণ্যের দাম নেই। মাঝখানে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এভাবে চলতে থাকলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।
গত রোববার কুমারখালীর যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট, নন্দনালপুর ও সদকী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমেও মাঠ, খাল-বিল, নালা ও পুকুরে তেমন পানি নেই। সেচের পানি দিয়ে চলছে আমন রোপণের কাজ। পানি সংকটে পাট পচানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন খেতে পাট কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। অনেকে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না।
যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার এখনো পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পাইনি। তারপর সার ও তেলের দাম অনেক বেড়েছে। এভাবে চললে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।’
নন্দনালপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের কৃষক আবু মোতালেব বলেন, ‘ভরা বর্ষায় নেই বৃষ্টিপাত। পানির অভাবে মাঠে পাট নষ্ট হচ্ছে। সেচ দিয়ে আমনের চাষ শুরু করেছি; কিন্তু হঠাৎ তেলের দামে খরচ বহুগুণ বেড়ে গেল।’
পান্টি ইউনিয়নের বশীগ্রামের কৃষক সরদার হান্নান বলেন, ‘কদিন আগে সকালে ঘুম থেকে জেগে শুনি ডিজেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এ ছাড়া আগেই সারের দাম বাড়ায় সরকার। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে চাষ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না। কৃষকেরা যেন দেশে অভিশপ্ত কিছু।’
কুমারখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, ‘সার, তেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকেরা চিন্তিত। এবার আমন আবাদের খরচ বেড়ে যাবে। তবে খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফসলের দাম নির্ধারিত হলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।’
এদিকে দৌলতপুরের কৃষকেরা বলছেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে এ বছর আমনের আবাদ দেরিতে শুরু হয়েছে। জমি প্রস্তুত করতেই পার হয়ে গেছে উপযুক্ত মৌসুম।
কৃষক আসারুল বলেন, ‘এবার আমন চাষে বিঘাপ্রতি অন্তত ১২-১৪ হাজার টাকা খরচ হবে।’
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন আবাদে খরচ বেশি হচ্ছে।’
বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, বর্ষা মৌসুম শেষ। তবে আষাঢ়-শ্রাবণে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সংকটে কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও দৌলতপুর উপজেলায় অনেক কৃষক এখনো আমন চাষাবাদ শুরু করতে পারেননি।
যেসব কৃষক সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করেন, তাঁরা পড়েন নতুন বিপাকে। মৌসুমের শুরু থেকে অনাবৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক জমিতে চাষ দিতে পারেননি। এমন কি ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সেচযন্ত্রের সাহায্যেও পানি তুলে আবাদ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাঁদের। এর সঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়ায় সারের দাম বৃদ্ধি। সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কলের লাঙল দিয়ে জমি চাষ করাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে আমন চাষিদের দুশ্চিন্তা যেন এবার পিছু ছাড়ছেই না।
কৃষকেরা বলছেন, কৃষি প্রধান দেশে কৃষকেরাই যেন অভিশপ্ত। সার ও জ্বালানি তেলসহ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অথচ কৃষিপণ্যের দাম নেই। মাঝখানে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এভাবে চলতে থাকলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।
গত রোববার কুমারখালীর যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট, নন্দনালপুর ও সদকী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমেও মাঠ, খাল-বিল, নালা ও পুকুরে তেমন পানি নেই। সেচের পানি দিয়ে চলছে আমন রোপণের কাজ। পানি সংকটে পাট পচানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন খেতে পাট কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। অনেকে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না।
যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার এখনো পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পাইনি। তারপর সার ও তেলের দাম অনেক বেড়েছে। এভাবে চললে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।’
নন্দনালপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের কৃষক আবু মোতালেব বলেন, ‘ভরা বর্ষায় নেই বৃষ্টিপাত। পানির অভাবে মাঠে পাট নষ্ট হচ্ছে। সেচ দিয়ে আমনের চাষ শুরু করেছি; কিন্তু হঠাৎ তেলের দামে খরচ বহুগুণ বেড়ে গেল।’
পান্টি ইউনিয়নের বশীগ্রামের কৃষক সরদার হান্নান বলেন, ‘কদিন আগে সকালে ঘুম থেকে জেগে শুনি ডিজেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এ ছাড়া আগেই সারের দাম বাড়ায় সরকার। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে চাষ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না। কৃষকেরা যেন দেশে অভিশপ্ত কিছু।’
কুমারখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, ‘সার, তেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকেরা চিন্তিত। এবার আমন আবাদের খরচ বেড়ে যাবে। তবে খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফসলের দাম নির্ধারিত হলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।’
এদিকে দৌলতপুরের কৃষকেরা বলছেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে এ বছর আমনের আবাদ দেরিতে শুরু হয়েছে। জমি প্রস্তুত করতেই পার হয়ে গেছে উপযুক্ত মৌসুম।
কৃষক আসারুল বলেন, ‘এবার আমন চাষে বিঘাপ্রতি অন্তত ১২-১৪ হাজার টাকা খরচ হবে।’
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন আবাদে খরচ বেশি হচ্ছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪