Ajker Patrika

ব্যাংক থেকে গ্রাহকের ১৮ লাখ টাকা উধাও

গাজীপুর প্রতিনিধি
ব্যাংক থেকে গ্রাহকের ১৮ লাখ টাকা উধাও

শাহজাহান মোল্লা কাতারপ্রবাসী। বিদেশ যাওয়ার আগে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় অবস্থিত উত্তরা ব্যাংকের জয়দেবপুর শাখায় তিনি একটি হিসাব খোলেন। তিনি বিদেশ থেকে ঘাম ঝরিয়ে অর্জিত টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা করেন। শাহজাহান বিদেশে থাকলেও দেশে ওই প্রবাসীর অগোচরে একই দিনে দুই দফায় ১৮ লাখ টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই প্রবাসীর ভাই গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানায় অভিযোগ করেছেন।

প্রবাসী শাহজাহান মোল্লা গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার মৃত ইউসুফ মোল্লার ছেলে। কাতার থেকে মোবাইল ফোনে তিনি সাংবাদিকদের জানান, কাতারে যাওয়ার আগে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর উত্তরা ব্যাংকের জয়দেবপুর শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। তাঁর অ্যাকাউন্টে ১১ আগস্ট পর্যন্ত ২৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫৮০ টাকা ১১ পয়সা ছিল। তিনি প্রবাসে থাকা অবস্থায় ১৪ আগস্ট দুই দফায় যথাক্রমে ৮ লাখ ও ১০ লাখ মোট ১৮ লাখ টাকা পৃথক দুটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়। ১৪ আগস্ট তিনি ব্যাংকে খবর নিয়ে জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। 

শাহজাহান আরও জানান, পরে দেশে থাকা তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে ব্যাংক স্টেটমেন্টে তিনি দেখতে পান, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ১৪ আগস্ট তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে ৮ লাখ টাকা সরানো হয় সিটি ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখার মেঘনা এন্টারপ্রাইজের অ্যাকাউন্টে। একইভাবে আরও ১০ লাখ টাকা পাঠানো হয় জয়পাড়া এসএমই শাখায় সুমাইয়া নামের এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। পরে প্রবাসীর ভাই জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বাসন থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।

প্রবাসীর ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, শাহজাহান মোল্লার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রবাসে থাকা অবস্থায় ১৪ আগস্ট দুই দফায় যথাক্রমে ৮ লাখ ও ১০ লাখ মোট ১৮ লাখ টাকা পৃথক দুটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়। ১০ লাখ টাকা যে অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে, তা উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে এবং ৮ লাখ টাকা ট্রান্সফার করা অ্যাকাউন্টে রয়েছে বলে ব্যাংক ম্যানেজার তাঁকে জানিয়েছেন।

জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘টাকার হদিস করতে প্রতিদিনই ব্যাংকে যাচ্ছি। বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করেছেন এবং আমাদের টাকা ফিরিয়ে দেবেন বলে ব্যাংক ম্যানেজার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত এর কোনো সমাধান পাইনি বা হয়নি। ব্যাংক থেকে গ্রাহকের অনুমতি, স্বাক্ষর ছাড়া এভাবে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়া খুবই উদ্বেগজনক বিষয়।’

এ ব্যাপারে ব্যাংক ম্যানেজার স্কাইল্যাব চৌধুরী কোনো তথ্য জানাতে অস্বীকার করেন। তবে ঘটনা তদন্তে ঢাকা ও গাজীপুর জোনাল অফিস থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি-মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চীন–রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে রাখতে কয়েক দশকের মার্কিন প্রচেষ্টা ভেস্তে দিচ্ছেন ট্রাম্প: জন বোল্টন

ডিটারজেন্ট, তেল ও সোডা দিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি, সরবরাহ মিল্ক ভিটায়

১৫৮ বছর আগে হারানো আলাস্কাতেই কি ইউক্রেনের জমি লিখে নেবে রাশিয়া

স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি, আমাকে নিয়ে যান—৯৯৯–এ স্বামীর ফোন

‘হানি ট্র্যাপের’ ঘটনা ভিডিও করায় খুন হন সাংবাদিক তুহিন: পুলিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত