Ajker Patrika

স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী আদালতে

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৭: ৪৭
স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী আদালতে

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে বগুড়ার আদমদীঘির বাসিন্দা স্বামী শিরিশ চন্দ্র পালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় কোনো হত্যা মামলা না হওয়ায় ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বন্ধনা রানী পালের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর গতকাল শুক্রবার স্বামী শিরিশ চন্দ্র পালকে আদালতে পাঠানো হয়।

নিহত বন্ধনা রানী পাল (২৮) বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কল্যাণী গ্রামের বাসিন্দা। আর স্বামী শিরিশ চন্দ্র পাল (৩৩) আদমদীঘির রামপুরা গ্রামে বসবাস করেন।

বন্ধনা রানী পালের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে বন্ধনার সঙ্গে বিয়ে হয় শিরিশের। চাকরির সুবাদে শিরিশ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার উত্তর ভবানীপুর ছোট ধামাইল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। সে জন্য তাঁর স্ত্রী বন্ধনাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানেই বাস করতেন। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের জানানো হয় বন্ধনা বাড়িতেই মারা গেছেন। শিরিশ মৌলভীবাজার থেকে লাশটি আদমদীঘির রামপুরা গ্রামে নিয়ে আসেন এবং তড়িঘড়ি করে দাহ করার চেষ্টা করেন। বন্দনার পরিবার লাশ দেখতে চাইলে তাঁদের দেখতে না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এরপর বন্ধনার পরিবার আদমদীঘি থানা-পুলিশের আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এলে সন্দেহ করেন বন্দনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। তবে বন্ধনার পরিবার থেকে হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি।

এদিকে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক শিরিশ চন্দ্র পালকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়।

লাশের সুরতহাল তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রদীপ কুমার শিরিশকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করে বলেন, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় মৃত্যুর ঘটনায় আদমদীঘি থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়নি। লাশের গলার নিচে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত