Ajker Patrika

চর রক্ষার বেড়িবাঁধ ও সড়কের এই হাল

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৩০
চর রক্ষার বেড়িবাঁধ ও সড়কের এই হাল

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বন্যাকবলিত চরাঞ্চল রক্ষায় নির্মিত বেড়িবাঁধ বেহাল। বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কার না হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ। তাঁদের দাবি, দ্রুত বেড়িবাঁধের সংস্কার করা হোক। সংস্কার করা হোক সড়ক।

সরেজমিন দেখা গেছে, বেড়িবাঁধটি উপজেলার গড়বিশুদিয়া, পোড়াবাড়িয়া হয়ে চরকাটিহারী, চরহাজীপুর, হাজিপুর বাজার পর্যন্ত। বেড়িবাঁধের সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। তৈরি হয়েছে ছোট বড় খানাখন্দ। এতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনসহ আশপাশের মানুষ চলাচল করছে। শুকনো মৌসুমে কোনোরকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তা ছাড়া বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বর্ষা মৌসুমে পানি এলাকায় ঢুকে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকার কৃষি ফসল রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। তিন বছর আগে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে বেড়িবাঁধের এই সড়ক বেশির ভাগ অংশ সংস্কার করা হয়। কিন্তু সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় চরহাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হক, চরকাটিহারী গ্রামের আলমসহ অনেকেই জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের সংস্কার হয়নি। তাই বাঁধ জরাজীর্ণ এবং খানাখন্দে ভরে গেছে। কর্তৃপক্ষের যেন কোনো খেয়াল নেই। তাদের উদাসীনতার কারণ আমাদের বোধগম্য নয়। এই সড়ক দ্রুত সংস্কার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো দাবি জানাই।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, খানাখন্দে ভরা এই পথে প্রতিদিন শত শত ট্রাক-লরি, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কয়েক গ্রামের সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী। প্রতিনিয়ত সড়কের কোথাও না কোথাও ঘটছে দুর্ঘটনা। এই সড়ক দিয়ে গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের যাতায়াত করা অসম্ভব। তা ছাড়া বেড়িবাঁধ সংস্কার না করলে সামনের বর্ষায় বন্যার পানি ফসলের ক্ষতি করতে পারে।

এ ব্যাপারে জিনারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, এই বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য এলজিইডি বরাবর লিখিত দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অজুহাত দেখিয়ে গড়িমসি করছে। দ্রুত এই বাঁধ সংস্কার করা না হলে এই এলাকার ফসলি জমি বন্যার পানিতে ডুবে ব্যাপক ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী গালিব মুরশিদ বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ও সড়ক আমি পরিদর্শন করে এসেছি। ইতিমধ্যে বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এই বেড়িবাঁধ ও সড়কের মেরামতের কাজ শুরু করা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত