Ajker Patrika

টুভালু কি ডুবেই যাবে

রয়টার্স, সিডনি
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৩৯
Thumbnail image

হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে যাওয়া যেত চমৎকার শহর গ্লাসগোতে। সেখানে ছিল থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থাও। ঘুরে দেখা যেত নান্দনিক সব স্থাপনা। কিংবা ভ্রমণের ঝক্কিঝামেলা না পোহাতে চাইলে ঘরে বসেই আরাম করে পাঠানো যেত ভিডিও বার্তা।

কিন্তু সাগরের নীল জলের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপদেশ টুভালুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোফে মাইক্রোফোন আর নিজের দেশের পতাকা নিয়ে নেমে পড়লেন সাগরে। হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসীকে তাগিদ দিলেন জলের স্তর কমানোর। সেই আহ্বানে কতটুকু গলেছে নেতারা?

সদ্য শেষ হওয়া জলবায়ু সম্মেলনের খসড়া বলছে ভিন্ন কথা। তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হলে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। মোটামুটি সব নেতাই এ কথা বলেছেন। আবার কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্যও একমত হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বন্ধ করে ফেলার প্রতিজ্ঞা নয়, ব্যবহার কমানোর চেষ্টার দিকেই ইঙ্গিত ছিল। যা আগের সম্মেলনগুলোরই প্রতিচ্ছবি।

হতাশার বাণী শোনা গেল টুভালুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোফের কণ্ঠে। কোফে বলেন, ‘সম্মেলনের শেষ দিকের কথাগুলো নিয়ে আমরা বেশ হতাশ। কয়লার ব্যবহার সরাসরি “কমানোর” কথা না বলে “চেষ্টা করার” কথা বলা হলো। আমাদের মতো অন্যান্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোও শেষ দিকের এ পরিবর্তন নিয়ে হতাশ।’

টুভালুর সবচেয়ে উঁচু জায়গাটি সমুদ্রের পানির চেয়ে মাত্র ৪ মিটার উঁচুতে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা সামান্য বাড়লেই ডুবে যাবে দেশটির নিচু এলাকা। আর কিছু এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। কোফে বলেন, দূষণকারী দেশগুলো এটা নিয়ে ভাবছেই না। এ তালিকায় রয়েছে তাঁদের প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়াও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত