Ajker Patrika

কারচুপির শঙ্কা প্রার্থীদের হিসাব-নিকাশ ভোটারের

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
কারচুপির শঙ্কা প্রার্থীদের হিসাব-নিকাশ ভোটারের

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আজ সোমবার। ইতিমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), থাকবে সিসি ক্যামেরাও। জেলার ১৩টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বেলা ২টা পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ, চারজন আনসার, একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি থাকবে মোবাইল টিম।

নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ভোটাররা কষছেন নানা হিসাব-নিকাশ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগের পর ভোটে কারচুপির শঙ্কা করছেন অন্য প্রার্থীরা। তবে ভোট নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে কড়া অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও ১৩টি সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ জন এবং পাঁচটি সংরক্ষিত পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলায় একটি সিটি করপোরেশন, ১০টি পৌরসভা ও ৩৫১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ৮৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৪৯১ জন।

জানা গেছে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান টানা দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পান। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়েছেন নূরুল ইসলাম রানা। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-কমিটির সদস্য। এ ছাড়া মহানগর জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন চশমা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। ন্যাশনাল পিপসল পার্টি (এনপিপি) থেকে প্রার্থী হয়েছেন মো. মির্জা হামিদুল ইসলাম। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জেলা কমিটির সভাপতি।

এদিকে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করে চশমা প্রতীকের (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক প্রমাণ করে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমি যেভাবে ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি, নির্বাচন প্রভাবিত না করা হলে আমার জয় শতভাগ নিশ্চিত। মানুষ পরিবর্তন চায়। বিগত সময়ে জেলা পরিষদে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে। আমি বিজয়ী হলে শেখ হাসিনার উন্নয়ন শতভাগ নিশ্চিত করব। আমার একটাই দাবি, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়।’

অন্যদিকে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান বলেন, ‘আনারস প্রতীকে জয়ের জোয়ার উঠেছে। ভোটারদের ব্যাপক সাড়া রয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। বিগত সময়ে জেলা পরিষদে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা আর কোনো সময় হয়নি। এবার জয়ী হলে শতভাগ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সরওয়ার জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। কেউ প্রভাব খাটাতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কড়া নির্দেশনা রয়েছে ভোট সুষ্ঠু করতে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। কারও কোনো জালিয়াতি করার সুযোগ নেই। আশা করছি, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে ভোট।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত