সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
দেশের বাম ঘরানার দলগুলোর দীর্ঘ সংগ্রামের মতোই পুরোনো তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও মতপার্থক্যের ইতিহাস। নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলে এই ঘরানার কমবেশি ৩৪ দলের অস্তিত্ব জানা যায়। শুরুতে ‘মস্কোপন্থী’ ও ‘পিকিংপন্থী’ এই দুই ধারায় বিভক্ত থাকলেও এসব দল এখন কমপক্ষে ছয়টি জোটে বিভক্ত। অবশ্য এসব দলের অধিকাংশেরই বর্তমান প্রধান কে বা কারা, তা অনেকেরই অচেনা। দলের সাংগঠনিক অবস্থা যেমনই হোক, নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই দলগুলোর নেতারা পড়েন সমস্যায়। দল ও জোটে দেখা দেয় নতুন বিরোধ ও অনিশ্চয়তা। ভোটে অংশ নেবেন কি নেবেন না, তা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত অংশ নিলেও জোটবদ্ধ, না এককভাবে; নিজ নিজ দলীয় মার্কায়, না জোটের প্রধান দলের প্রতীকে।
তারপরও এই দলগুলো কোনো একদিন ভালো কিছু করবে, এমন আশায় থাকেন কিছু মানুষ। তাঁদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
বর্তমানে দেশে বুর্জোয়া রাজনীতি চলছে উল্লেখ করে দেশের বামপন্থী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প রাজনৈতিক ধারা প্রচলন করবে— এমন প্রত্যাশা তাঁর। একই সঙ্গে তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘তারা পারছে না।’
‘না পারার কারণ, তাদের মধ্যে নানা রকমের মতবিরোধ আছে। নেতৃত্বের সংকট আছে। কে নেতা হবেন, কে হবেন না, এগুলো নিয়েও বিরোধ আছে। কোন্দল আছে। এগুলো খুব দুঃখজনক যে একত্র হয়ে কোনো বিকল্প রাজনীতি তারা তৈরি করতে পারছে না’, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বললেন আজকের পত্রিকাকে।
এই সংকট অনেক বড় এবং সহজে বিকল্প তৈরি সম্ভব নয় জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বামদের কর্তব্য হচ্ছে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প দাঁড় করানো। এটা না করতে পারলে তাদের প্রতি জনগণের আস্থা আরও কমবে। এমন হলে সেটা কারও জন্যই সুখকর না। দেশের মানুষ এখন কোনো ভরসা পাচ্ছে না। পরিবর্তন দরকার। কিন্তু সেই পরিবর্তনটা কারা করবে? দেশের মানুষ তাদের কাছ থেকেই তো সব সময় পরিবর্তনটা আশা করে।’
দেশে বামপন্থীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলের দ্বাদশ কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। দলটির বিভিন্ন জেলা কমিটিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কোন্দলের প্রভাব পড়েছে দলের কর্মসূচিতেও।
হরেক মত ও পথ বাম ঘরানার অনেক দল প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বললেও তাদের গঠিত সব জোট আদর্শভিত্তিক কি না, সে বিষয়ে বাম নেতাদের মধ্যেই প্রশ্ন আছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বাম ঘরানার সাতটি দল রয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও সাম্যবাদী দলের একাংশসহ একই ঘরানার ১০টি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ক্ষমতাসীন জোটে রয়েছে। এ ছাড়া বদরুদ্দীন উমরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলসহ আরও আটটি বাম সংগঠন মিলে ‘৯ সংগঠন’ নামে আরেকটি জোট করেছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) উদ্যোগে চারটি দল গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য নামে জোট গঠন করেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে রয়েছে সাম্যবাদী দলের একাংশ। এ ছাড়াও সম্প্রতি আরও সাতটি দলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চে বাম জোট ভেঙে যোগ দিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর গড়া দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গত ৬৫ বছরে ছয়বার ভাঙনের শিকার হয়েছে। বর্তমানে ন্যাপ পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে। সিপিবির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী বাসদেও রয়েছে নেতৃত্বের সংকট। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে তিন ভাগ হওয়া বাসদ গত বছর ভেঙেছে আবারও। বাসদ (মার্কসবাদী) ভেঙে ‘বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বাম দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাবের কারণ হিসেবে নীতিহীনতাকে দায়ী করছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বাম ও প্রগতিশীল দল যেমন আছে, ব্যক্তিবর্গও আছে। আমরা সবাই হয়তো একই প্ল্যাটফর্মে নেই কিন্তু নানাভাবে, নানা মাত্রায় আমাদের ঐক্যটাই বেশি, বিভেদটা কম।’
নির্বাচন নিয়ে ধন্দ
দেশের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনপ্রাপ্ত বামপন্থী বড় দলগুলো আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এখনো শঙ্কায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলগুলোর অংশগ্রহণ অনেকটাই নিশ্চিত থাকলেও অনিশ্চিত বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ অন্যান্য জোটে থাকা বাম দলগুলো। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গত তিনটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলেও এবার দলীয় প্রতীকে অংশগ্রহণের কথা বলছে।
ক্ষমতাসীন জোটের কার্যক্রমে হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘যে উৎসাহ-উদ্দীপনা, লক্ষ্য নিয়ে জোট করেছিলাম, ক্ষমতায় যাওয়ার পরে তাতে ভাটা পড়েছে। জোটের কার্যক্রমও অনেকখানি স্থবির হয়ে গেছে।’
তবে আজকের পত্রিকাকে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনেও আমরা ১৪ দলের সঙ্গে আছি। তবে এবার আমরা আমাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করব।’
অন্যদিকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণে রাজি নয় সিপিবি, বাসদসহ অন্য বাম দলগুলো।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সব বিরোধী দলের বৃহত্তম ঐক্য গড়ে তোলা দরকার মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তবে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বললেও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এখনো সংশয়ে রয়েছে অনেক দল। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নির্বাচনকে তাঁরা আন্দোলনের অংশ মনে করেন। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে পদত্যাগ করে তদারকি সরকার গঠন করাও দরকার বলে মনে করে তাঁর দল।
বামপন্থার কোনো কোনো দল ও জোট মাঠে-ময়দানে কমবেশি কর্মসূচি চালিয়ে গেলেও অনেক দলই তেমন সক্রিয় নেই কর্মসূচিতে।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ অবশ্য আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, ভোটাধিকার ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে দেশের বামপন্থী দলগুলো সম্মিলিতভাবে আন্দোলনে নামবে।
দেশের বাম ঘরানার দলগুলোর দীর্ঘ সংগ্রামের মতোই পুরোনো তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও মতপার্থক্যের ইতিহাস। নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলে এই ঘরানার কমবেশি ৩৪ দলের অস্তিত্ব জানা যায়। শুরুতে ‘মস্কোপন্থী’ ও ‘পিকিংপন্থী’ এই দুই ধারায় বিভক্ত থাকলেও এসব দল এখন কমপক্ষে ছয়টি জোটে বিভক্ত। অবশ্য এসব দলের অধিকাংশেরই বর্তমান প্রধান কে বা কারা, তা অনেকেরই অচেনা। দলের সাংগঠনিক অবস্থা যেমনই হোক, নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই দলগুলোর নেতারা পড়েন সমস্যায়। দল ও জোটে দেখা দেয় নতুন বিরোধ ও অনিশ্চয়তা। ভোটে অংশ নেবেন কি নেবেন না, তা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত অংশ নিলেও জোটবদ্ধ, না এককভাবে; নিজ নিজ দলীয় মার্কায়, না জোটের প্রধান দলের প্রতীকে।
তারপরও এই দলগুলো কোনো একদিন ভালো কিছু করবে, এমন আশায় থাকেন কিছু মানুষ। তাঁদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
বর্তমানে দেশে বুর্জোয়া রাজনীতি চলছে উল্লেখ করে দেশের বামপন্থী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প রাজনৈতিক ধারা প্রচলন করবে— এমন প্রত্যাশা তাঁর। একই সঙ্গে তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘তারা পারছে না।’
‘না পারার কারণ, তাদের মধ্যে নানা রকমের মতবিরোধ আছে। নেতৃত্বের সংকট আছে। কে নেতা হবেন, কে হবেন না, এগুলো নিয়েও বিরোধ আছে। কোন্দল আছে। এগুলো খুব দুঃখজনক যে একত্র হয়ে কোনো বিকল্প রাজনীতি তারা তৈরি করতে পারছে না’, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বললেন আজকের পত্রিকাকে।
এই সংকট অনেক বড় এবং সহজে বিকল্প তৈরি সম্ভব নয় জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বামদের কর্তব্য হচ্ছে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প দাঁড় করানো। এটা না করতে পারলে তাদের প্রতি জনগণের আস্থা আরও কমবে। এমন হলে সেটা কারও জন্যই সুখকর না। দেশের মানুষ এখন কোনো ভরসা পাচ্ছে না। পরিবর্তন দরকার। কিন্তু সেই পরিবর্তনটা কারা করবে? দেশের মানুষ তাদের কাছ থেকেই তো সব সময় পরিবর্তনটা আশা করে।’
দেশে বামপন্থীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলের দ্বাদশ কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। দলটির বিভিন্ন জেলা কমিটিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কোন্দলের প্রভাব পড়েছে দলের কর্মসূচিতেও।
হরেক মত ও পথ বাম ঘরানার অনেক দল প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বললেও তাদের গঠিত সব জোট আদর্শভিত্তিক কি না, সে বিষয়ে বাম নেতাদের মধ্যেই প্রশ্ন আছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বাম ঘরানার সাতটি দল রয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও সাম্যবাদী দলের একাংশসহ একই ঘরানার ১০টি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ক্ষমতাসীন জোটে রয়েছে। এ ছাড়া বদরুদ্দীন উমরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলসহ আরও আটটি বাম সংগঠন মিলে ‘৯ সংগঠন’ নামে আরেকটি জোট করেছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) উদ্যোগে চারটি দল গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য নামে জোট গঠন করেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে রয়েছে সাম্যবাদী দলের একাংশ। এ ছাড়াও সম্প্রতি আরও সাতটি দলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চে বাম জোট ভেঙে যোগ দিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর গড়া দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গত ৬৫ বছরে ছয়বার ভাঙনের শিকার হয়েছে। বর্তমানে ন্যাপ পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে। সিপিবির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী বাসদেও রয়েছে নেতৃত্বের সংকট। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে তিন ভাগ হওয়া বাসদ গত বছর ভেঙেছে আবারও। বাসদ (মার্কসবাদী) ভেঙে ‘বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বাম দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাবের কারণ হিসেবে নীতিহীনতাকে দায়ী করছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বাম ও প্রগতিশীল দল যেমন আছে, ব্যক্তিবর্গও আছে। আমরা সবাই হয়তো একই প্ল্যাটফর্মে নেই কিন্তু নানাভাবে, নানা মাত্রায় আমাদের ঐক্যটাই বেশি, বিভেদটা কম।’
নির্বাচন নিয়ে ধন্দ
দেশের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনপ্রাপ্ত বামপন্থী বড় দলগুলো আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এখনো শঙ্কায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলগুলোর অংশগ্রহণ অনেকটাই নিশ্চিত থাকলেও অনিশ্চিত বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ অন্যান্য জোটে থাকা বাম দলগুলো। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গত তিনটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলেও এবার দলীয় প্রতীকে অংশগ্রহণের কথা বলছে।
ক্ষমতাসীন জোটের কার্যক্রমে হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘যে উৎসাহ-উদ্দীপনা, লক্ষ্য নিয়ে জোট করেছিলাম, ক্ষমতায় যাওয়ার পরে তাতে ভাটা পড়েছে। জোটের কার্যক্রমও অনেকখানি স্থবির হয়ে গেছে।’
তবে আজকের পত্রিকাকে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনেও আমরা ১৪ দলের সঙ্গে আছি। তবে এবার আমরা আমাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করব।’
অন্যদিকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণে রাজি নয় সিপিবি, বাসদসহ অন্য বাম দলগুলো।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সব বিরোধী দলের বৃহত্তম ঐক্য গড়ে তোলা দরকার মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তবে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বললেও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এখনো সংশয়ে রয়েছে অনেক দল। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নির্বাচনকে তাঁরা আন্দোলনের অংশ মনে করেন। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে পদত্যাগ করে তদারকি সরকার গঠন করাও দরকার বলে মনে করে তাঁর দল।
বামপন্থার কোনো কোনো দল ও জোট মাঠে-ময়দানে কমবেশি কর্মসূচি চালিয়ে গেলেও অনেক দলই তেমন সক্রিয় নেই কর্মসূচিতে।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ অবশ্য আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, ভোটাধিকার ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে দেশের বামপন্থী দলগুলো সম্মিলিতভাবে আন্দোলনে নামবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪