Ajker Patrika

ইলিশ গবেষণায় যুক্ত হলো নতুন জাহাজ

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৮
ইলিশ গবেষণায় যুক্ত হলো নতুন জাহাজ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সরকার ইলিশ সংরক্ষণ ও উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইলিশ গবেষণার জন্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষণায় যুক্ত হলো নতুন একটি জাহাজ। জাহাজটির সাহায্যে দেশের প্রায় সব নদ-নদী ও সাগর উপকূলে ইলিশবিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে খুলনা শিপইয়ার্ডের জাহাজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, ইলিশ গবেষণার ফলাফল এর ধারাবাহিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। ইলিশ গবেষণায় জাহাজটি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে আরও প্রসারিত করবে।

চাঁদপুরের নদী কেন্দ্রে ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় খুলনা শিপইয়ার্ডের মাধ্যমে গবেষণা জাহাজটি নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), বাংলাদেশ নৌবাহিনী, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মধ্যমে ইলিশ গবেষণা জাহাজটির প্রাক্কলন প্রণয়ন করা হয়। গবেষণা জাহাজটিতে ফিশ ফাইন্ডার, ইকো সাউন্ডার, নেভিগেশন এবং অত্যাধুনিক টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা, অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদি, ইলিশ গবেষণা ল্যাবরেটরি, নেটিং সিস্টেম, পোর্টেবল মিনি হ্যাচারিসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। ফলে জাহাজটি দেশের ইলিশ গবেষণায় সহায়ক ভূমিকা রাখব। জাহাজটির ইঞ্জিন, জেনারেটর এবং স্টার্ন গিয়ার ও প্রোপালশন সিস্টেম উন্নতমানের সংযোজন করাসহ স্ট্যাবিলিটি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপার স্ট্রাকচার অ্যালুমিনিয়াম ম্যাটেরিয়াল দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে। জাহাজটির সব ইকুইপমেন্ট ও মেশিনারির পরীক্ষামূলক ট্রায়াল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। জাহাজটি পরিচালনার জন্য ইনস্টিটিউটের ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৪ দিনের অন-বোর্ড ট্রেনিং সম্পূর্ণ করেছেন।

দেশের ইলিশ সম্পদের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি জাটকা সুরক্ষায় বিএফআরআই প্রণীত গবেষণা তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, সম্প্রতি ২২ দিন মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধকালে ইলিশের প্রজনন সফলতার হার ৫১.৭৬ শতাংশ নিরূপণ করা হয়েছে। ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ইলিশের প্রকৃত মজুত এবং সর্বোচ্চ সহনশীল উৎপাদন নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশে ইলিশের মজুত, আহরণ মাত্রা, খাদ্যের প্রাচুর্য, সম্ভাব্য নতুন প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ, পূর্বে চিহ্নিত অভয়াশ্রম (প্রজনন ক্ষেত্র ও বিচরণ ক্ষেত্র) সমূহের বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য জানার জন্য ধারাবাহিক গবেষণা প্রয়োজন। এসব গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নদীতে র্সাবক্ষণিক থাকার প্রয়োজন পড়ে। এই ক্ষেত্রে নতুন জাহাজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত