Ajker Patrika

সিনেমার উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হাত মেলাল সৌদি আরব

সিনেমার উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হাত মেলাল সৌদি আরব

২০১৭ সাল সৌদি আরবের সিনেমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর। ওই বছর সিনেমার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটি। ২০১৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সিনেমা হলগুলো খুলে দেওয়া হয়। এরপর তরতরিয়ে বাড়ছে দেশটির সিনেমা হলের সংখ্যা। তবে এসব হলে বেশির ভাগই চলে বিদেশি সিনেমা। সৌদি আরবের চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নে এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে দেশটির তরুণদের দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সৌদির পরিকল্পিত শহর নিওমে স্থাপন করা হয়েছে চলচ্চিত্র ও টিভি প্রোডাকশন হাব। সেখানে সৌদির তরুণদের চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশটি হাত মিলিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিলের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে সৌদি আরব। চুক্তি অনুযায়ী, সৌদির তরুণদের চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর প্রশিক্ষণ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রশিক্ষণের আওতায় রয়েছে চলচ্চিত্র নির্মাণ, চিত্রনাট্য লেখা, চিত্রগ্রহণ, আলো ও সাউন্ড ডিজাইনের ওপর বিশেষ কর্মশালা ও মাস্টার ক্লাস। আগামী বছরের গোড়ার দিকে শুরু হবে এ কার্যক্রম।

ক্যামেরার কাজ শিখছেন সৌদির শিক্ষার্থীরাদক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা, টিভি নাটক ও গান সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে এ দেশের সিনেমা প্রতিবছর পুরস্কৃত ও প্রশংসিত হয়। সৌদি আরবেও কোরিয়ান কনটেন্টের চাহিদা রয়েছে। সৌদির হলে প্রথম কোনো কোরিয়ান সিনেমা মুক্তি পায় ২০২১ সালে। মিউজিক্যাল রোড ট্রিপ সিনেমা ‘দ্য বক্স’ দিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সেখানে। কোরিয়ান সিনেমা ছাড়াও বিটিএস কিংবা ব্ল্যাকপিংকের মতো ব্যান্ডও বেশ জনপ্রিয় সৌদি তরুণদের মধ্যে। এ বিষয় মাথায় রেখেই নিজেদের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সৌদি আরব।

নিওমের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি, এন্টারটেইনমেন্ট ও কালচার বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়েন বোর্গ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমার অর্জনের কথা কারও অজানা নয়। তাদের সঙ্গে আমাদের এই চুক্তির উদ্দেশ্য হলো, সৌদি চলচ্চিত্রের মান বাড়ানো, আন্তর্জাতিক বাজারে একটা জায়গা তৈরি করা, তরুণ প্রতিভা লালনপালন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বোপরি সৌদির সিনেমায় গল্প বলার ধরনে একটি নতুন যুগের সূচনা করা।’

সৌদি আরবের একটি সিনেমার শুটিংয়ের দৃশ্যকোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিলের প্রধান পার্ক কি-ইয়োন বলেন, ‘সৌদি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রশিক্ষণের জন্য নিওমের সহযোগী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। ভবিষ্যতে বিশ্ব চলচ্চিত্রের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত