সেলিম হায়দার, তালা (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় খোলা জানালা নামের ইকোপার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালে। স্থানীয় বাসিন্দারা ও পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, মহা ধুমধামে পার্কটির উদ্বোধন হলেও বর্তমানে এটি অযত্ন অবহেলার শিকার। সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে ইকো পার্কটিতে পর্যাপ্ত দর্শনার্থী আসেন না। এ অবস্থায় পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারের একটি উদ্যোগ পাল্টে দিতে পারে পার্কটির চিত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীনের সহযোগিতায় ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদ হোসেন পার্কটির জন্য বাবুর আম বাগান খ্যাত জমিদার বাড়ির বেদখল হওয়া সম্পত্তি দখলে নিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। একই সঙ্গে দখল হওয়া বাবুর আমবাগানটিকে ঘিরে শুরু করেন বিনোদন কেন্দ্র তৈরির কার্যক্রম। অবশেষে ২০১৮ সালের ১ জুন প্রশাসনের উদ্যোগে পার্কটিকে ‘খোলা-জানালা ইকোপার্ক’ হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা বাতায়ন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইকোপার্কের মোট বরাদ্দকৃত জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ১৩ একর। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, পার্কটিতে দর্শনার্থীদের বিনোদনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে বলে দাবি করা হলেও বাস্তবে অনেক কিছুই নেই। পার্কে প্রবেশের জন্য মূল ফটকটি এখনো নির্মাণাধীন। পার্কের বিভিন্ন স্থানে সৌর বাতি স্থাপন করা হলেও তদারকির অভাবে তার মূল অংশ চুরি হয়ে গেছে। পার্কে আগত শিশুদের জন্য স্থাপন করা দোলনা অকেজো হয়ে আছে। পার্কের মাঠে গজানো ঘাস দেখে মনে হয় এ যেন গো চারণ ভূমি।
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘সব থেকে বেশি উদ্বেগের বিষয় হলো, তদারকির অভাবে আশপাশের প্রভাবশালী একটি মহল পার্কের গাছ কাটতে শুরু করেছে। দিনে দুপুরে ওই মহলটি পার্কের ভেতর থেকে বিভিন্ন ফলদ গাছ ও গাছের ডাল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি ও পরিকল্পনা থাকলে এই পার্ক হতে পারত তালার সাধারণ মানুষের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু।
তালার যুব সংগঠক এস এম নাহিদ হাসান বলেন, ‘জেলা ও উপজেলা প্রশাসন খোলা জানালা ইকো পার্কের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখলে এটিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা রূপসী ম্যানগ্রোভ পার্ক বা শ্যামনগরের আকাশলীনা ইকোপার্কের মতো দৃষ্টিনন্দন করা সম্ভব। এ পার্কের আধুনিকায়নের মাধ্যমে এখান থেকে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব পেতে পারে।’
তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু বলেন, ‘যে আড়ম্বরে খোলা জানালা ইকোপার্ক শুরু হয়েছিল তাতে তালাবাসী খুব খুশি হয়েছিল। কিন্তু, সেই পার্ক ঘিরে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা তো নেই-ই বরং দীর্ঘদিন অযত্নে পড়ে আছে। পর্যটন মন্ত্রণালয় বা স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে শিগগিরই পরিকল্পিত উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করে পার্কটিকে তালাবাসীর বিনোদনের জায়গা হিসেবে নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রশন্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘পার্কটি যে বেহাল হয়ে পড়েছে তা আমার জানা আছে। বরাদ্দ পেলে ধীরে ধীরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করা হবে।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় খোলা জানালা নামের ইকোপার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালে। স্থানীয় বাসিন্দারা ও পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, মহা ধুমধামে পার্কটির উদ্বোধন হলেও বর্তমানে এটি অযত্ন অবহেলার শিকার। সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে ইকো পার্কটিতে পর্যাপ্ত দর্শনার্থী আসেন না। এ অবস্থায় পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারের একটি উদ্যোগ পাল্টে দিতে পারে পার্কটির চিত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীনের সহযোগিতায় ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদ হোসেন পার্কটির জন্য বাবুর আম বাগান খ্যাত জমিদার বাড়ির বেদখল হওয়া সম্পত্তি দখলে নিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। একই সঙ্গে দখল হওয়া বাবুর আমবাগানটিকে ঘিরে শুরু করেন বিনোদন কেন্দ্র তৈরির কার্যক্রম। অবশেষে ২০১৮ সালের ১ জুন প্রশাসনের উদ্যোগে পার্কটিকে ‘খোলা-জানালা ইকোপার্ক’ হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা বাতায়ন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইকোপার্কের মোট বরাদ্দকৃত জমির পরিমাণ ৭ দশমিক ১৩ একর। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, পার্কটিতে দর্শনার্থীদের বিনোদনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে বলে দাবি করা হলেও বাস্তবে অনেক কিছুই নেই। পার্কে প্রবেশের জন্য মূল ফটকটি এখনো নির্মাণাধীন। পার্কের বিভিন্ন স্থানে সৌর বাতি স্থাপন করা হলেও তদারকির অভাবে তার মূল অংশ চুরি হয়ে গেছে। পার্কে আগত শিশুদের জন্য স্থাপন করা দোলনা অকেজো হয়ে আছে। পার্কের মাঠে গজানো ঘাস দেখে মনে হয় এ যেন গো চারণ ভূমি।
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘সব থেকে বেশি উদ্বেগের বিষয় হলো, তদারকির অভাবে আশপাশের প্রভাবশালী একটি মহল পার্কের গাছ কাটতে শুরু করেছে। দিনে দুপুরে ওই মহলটি পার্কের ভেতর থেকে বিভিন্ন ফলদ গাছ ও গাছের ডাল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি ও পরিকল্পনা থাকলে এই পার্ক হতে পারত তালার সাধারণ মানুষের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু।
তালার যুব সংগঠক এস এম নাহিদ হাসান বলেন, ‘জেলা ও উপজেলা প্রশাসন খোলা জানালা ইকো পার্কের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখলে এটিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা রূপসী ম্যানগ্রোভ পার্ক বা শ্যামনগরের আকাশলীনা ইকোপার্কের মতো দৃষ্টিনন্দন করা সম্ভব। এ পার্কের আধুনিকায়নের মাধ্যমে এখান থেকে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব পেতে পারে।’
তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু বলেন, ‘যে আড়ম্বরে খোলা জানালা ইকোপার্ক শুরু হয়েছিল তাতে তালাবাসী খুব খুশি হয়েছিল। কিন্তু, সেই পার্ক ঘিরে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা তো নেই-ই বরং দীর্ঘদিন অযত্নে পড়ে আছে। পর্যটন মন্ত্রণালয় বা স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে শিগগিরই পরিকল্পিত উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করে পার্কটিকে তালাবাসীর বিনোদনের জায়গা হিসেবে নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রশন্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘পার্কটি যে বেহাল হয়ে পড়েছে তা আমার জানা আছে। বরাদ্দ পেলে ধীরে ধীরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪