Ajker Patrika

সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা

আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, মধুপুর
আপডেট : ০৮ জুন ২০২২, ১৪: ০৭
সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন  প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা

মধুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন। ইতিমধ্যে হামলা, মামলা, নির্বাচনী প্রচার মাইক ও অফিস ভাঙচুর, প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন হয়েছে একাধিক স্থানে। এতে চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে বিদ্রোহী ও শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে প্রচারাভিযানের শুরুতেই নানা ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর বিপরীতে সমানতালে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরাও প্রচার চালাচ্ছেন। এতে নির্বাচনী এলাকায় দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। গত কয়েক দিনে অন্তত ১০টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে পাল্টাপাল্টি সমাবেশও করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

বেরীবাইদ ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবর রহমানের জামাতা মো. মোক্তার হোসেন জানান, কয়েক দিন আগে হায়েত আলী মোড়, প্লটপাড়া, টার্গেট বাজার, মজিদ বাসস্ট্যান্ডসহ কয়েকটি স্থানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। তিনটি প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

একই ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবর রহমান মাস্টার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর লোকজন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাচ্ছে। আমরা নির্বাচন অফিস ও থানায় বিষয়টি অবহিত করেছি।’

অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুলবাগচালা ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম বেনু হামলার শিকার হন। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ এ ঘটনার প্রতিবাদে কালিয়কুড়ি এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমেদ দাবি করেন, চেয়ারম্যান বাড়ি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় বিপরীত পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা তাঁর ওপর হামলা করেন।

অন্যদিকে মহিষমারা ইউনিয়নে দফায় দফায় নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটছে। মহিষমারা ইউপির এক বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে আহত হন এক ছাত্রলীগের কর্মী। চাপাতির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত নাজমুল এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত রাখা এবং সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে আশ্রা বাজারে কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা প্লেন ফিল্ড লেভেল করার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি। অভিযোগ আসামাত্রই বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেছি। তারাও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নেই বিট অফিসারদের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা তদারকি করা হচ্ছে। যেন প্রতিটি ভোটার নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত