Ajker Patrika

বৃষ্টিনির্ভর আমনে সেচ নির্ভরতায় বাড়ছে খরচ

হালুয়াঘাট প্রতিনিধি
Thumbnail image

ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধান চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কৃষকেরা। অনাবৃষ্টিতে আমন ধানের বীজতলা পুড়ে যাচ্ছে। খেত ফেটে চৌচির। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা বৃষ্টিনির্ভর আমনের চাষাবাদ করতে সেচনির্ভর হয়ে পড়ছেন। এতে ব্যয় বেড়েছে যাচ্ছে তাদের। কৃষকেরা বলছেন, মোটরচালিত সেচপাম্প দিয়ে আবাদ করায় তাদের ধান উৎপাদনে খরচ বাড়ছে। কৃষি অফিস বলছে, ফসল উৎপাদনে কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় এবার কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় বেশির ভাগ আবাদি জমিতে জমে থাকা পানি শুকিয়ে গেছে। অনেক কৃষক বীজতলার চারা প্রস্তুত করলেও সেই চারা বীজতলাতেই নষ্ট হতে বসেছে। তবে কেউ কেউ বিকল্প ব্যবস্থায় বাড়তি খরচ করে শ্যালো যন্ত্রের মাধ্যমে সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণ করছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে রোপা আমনের চারা রোপণ শেষের দিকে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সবসময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

গোরকপুর এলাকার প্রান্তিক কৃষক জুলহাস মিয়া বলেন, ‘বিলের নামা খেতে এ সময় হাঁটুপানি থাকত, এবার তার উল্টো। সেচ দিয়েও খেতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। ’

উপজেলার বিলডোরার গ্রামের কৃষক রফিক মিয়া বলেন, ‘ডিজেল, সার সবকিছুর দাম বেশি। চারা রোপণে শ্রমিকদের মজুরি বেশি দিতে হচ্ছে। কৃষকেরা বাধ্য হয়ে ধান আবাদ করছেন।’

ভূবনকুড়া এলাকার কৃষক ইব্রাহিম বলেন, ‘তিনি উঁচু ১ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন। সেই জমি পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে।’ 

হেলাল উদ্দিন নামের একজন কৃষক বলেন, ‘বোরো মৌসুমে মোটরচালিত সেচপাম্প দিয়ে আবাদ করেন। এতে একরপ্রতি সেচপাম্প মালিককে ৬ হাজার টাকা দিতে হয়। ডিজেলের দাম বেড়েছে, সারের দাম বেড়েছ, শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে—সবকিছু মিলিয়ে খরচ বেড়েছে।

এ ব্যাপারে হালুয়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসাদুর রহমান বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত