Ajker Patrika

এবার গণটিকায়ও সাড়া কম

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৩৮
এবার গণটিকায়ও সাড়া কম

করোনার উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় থাকা যশোরে সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছেই। গত এক সপ্তাহে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২২৯ জনের। করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে এই সময়ে মারা গেছেন পাঁচজন। তবু সচেতনতা বা টিকার প্রতি আগ্রহ বাড়েনি জনসাধারণের।

সদর উপজেলায় দুই দিনে ১০ হাজার মানুষকে গণটিকা দেওয়ার কার্যক্রম চালায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে মাত্র অর্ধেক।

এর আগে জেলার চৌগাছা ও মনিরাপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ককরোনার টিকা নিতে মাইকিং করেও মানুষ না পাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর গণটিকাতেও একই চিত্র দেখা গেছে যশোর সদরে।

গত সপ্তাহে যশোর ইদগাহ ময়দানে গণটিকা কর্মসূচিতে টিকা নিতে এসেছেন পাঁচ হাজার ২৭৬ জন নারী-পুরুষ। ফলে গতকাল শনিবার একই স্থানে আবারও দুই দিনের গণটিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই গণটিকা দেওয়া হচ্ছে। আজ রোববার শেষ হবে এই কার্যক্রম। টিকার নিবন্ধন না করেও যে কেউ এসে যশোরের বাসিন্দা হিসেবে যেকোনো প্রমাণপত্র দেখালেই এই টাকা নিতে পারবেন।

যশোর জেলা শতভাগ টিকার আওতায় আনতে আগের শর্ত শিথিল করে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবু জনসাধারণের আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। এ জন্য একই টিকাদান কার্যক্রম আবারও শুরু করতে হয়েছে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘যশোর ঈদগাহ মাঠে ১০ হাজার জনকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে দুই দিনব্যাপী গণটিকা কার্যক্রমে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। ওই দুই দিনে মোট পাঁচ হাজার ২৭৬ জন নারী-পুরুষ টিকা নেন।’

ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা ছিল। আমরা প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে টিকা নেওয়ার জন্য সাধারণকে আহ্বান জানিয়েছিলাম, কিন্তু টিকা গ্রহীতার অভাবে তা দিতে পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে ফের আজ (শনিবার) ও রোববার পর্যন্ত গণটিকা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এই দুই দিনে শতভাগ নাগরিককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস আরও বলেন, ‘গণটিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে আছেন নারীরা। গত দুই দিনেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রের মতো দীর্ঘ লাইন ধরে তাঁরা টিকা নিয়েছেন। আবার অনেকের মাঝে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অনীহাও ছিল। তাঁদের টিকার আওতায় আনতে আমাদের এ উদ্যোগ।’

এক সপ্তাহে মৃত্যু ৫: এ দিকে যশোরে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। এক সপ্তাহে জেলায় শনাক্ত হয়েছেন এক হাজারের বেশি করোনার রোগী। এই সাত দিনে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪৫ শতাংশের ওপরে। একই সময়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১২ আগস্টের পর থেকে যশোরে কমতে শুরু করে সংক্রমণ। এর মধ্যে তিনবার জেলায় করোনা শূন্য দিন পার হয়েছে, যা চলতি মাস থেকে যশোরে বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে জেলায় শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২২৯ জন। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দুই হাজার ৭১২ জনের, যার শতকরা হার ৪৫ দশমিক ৩২ শতাংশ।

সবশেষ শনিবার ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ১৩ জন। তবে শনাক্তের হারের দিক থেকে চলতি মাসের সর্বোচ্চ। এ দিনের শনাক্তের হার ৫২ শতাংশ।

যশোর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ২৬ তারিখে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। একই দিনে উপসর্গ নিয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। পরের দিন করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ শনিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত