Ajker Patrika

অটোর দৌরাত্ম্যে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

হোসাইন আহাম্মেদ সুলভ, মুক্তাগাছা
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৫: ৪৩
Thumbnail image

মুক্তাগাছা-ময়মনসিংহ-কালীবাড়ী সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধ হচ্ছে না। দিন দিন বেড়েই চলেছে যাত্রী হয়রানি। এ ছাড়া প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, যখন প্রশাসনের নজরদারি থাকে, সে সময় বেশি ভাড়া ও বাড়তি যাত্রী নেওয়া বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি থাকে নিয়ন্ত্রণে। তবে পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। বাড়তি যাত্রী আর বাড়তি ভাড়া, সবই নেওয়া হয়। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে।

আনন্দমোহন কলেজের ছাত্র ফারুখ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন কলেজ যেতে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকি। সময়মতো বাস না পেলে অটোরিকশায় যেতে হয়। কিন্তু চালকেরা সময়ভেদে ভাড়া পরিবর্তন করতে থাকে। সকালের তুলনায় সন্ধ্যায় ভাড়া বেশি দাবি করে। বেশি ভাড়া না দিলে নিয়ে আসে না।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তাগাছা পৌর বাসস্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহ টাউন হলের মোড় ও থানার সামনে থেকে কালিবাড়ী এবং চেচুয়া পর্যন্ত নিয়মিত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। মুক্তাগাছা অটো স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি অটোরিকশায় ৪০ টাকা ভাড়ায় মুক্তাগাছা-ময়মনসিংহ সড়কে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে পাঁচজন। অথচ স্থানীয় প্রশাসন চারজনে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে তা অমান্য করে পাঁচজন যাত্রী নেওয়ার পাশাপাশি ৪০-৫০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন চালকেরা বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

বাড়তি ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় জানিয়ে তাঁরা বলেন, অটোরিকশা কম থাকলে বা যাত্রীর চাপ বেশি হলে দ্বিগুণ থেকে তিন গুন ভাড়া নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহের মুমিনুন্নেছো সরকারি কলেজের ছাত্রী নাদিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী চারজন যাত্রী নেওয়ার কথা। কিন্তু তা মানতে নারাজ অটোরিকশা চালকেরা। কিছু বলতে গেলে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন চালকেরা।’

তবে অটোরিকশাচালক আব্দুর রহমান অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘স্ট্যান্ড থেকে সিরিয়ালে গাড়ি চলে। যাত্রীরা তাঁদের জরুরি প্রয়োজন দেখিয়ে চারজনের জায়গায় পাঁচজন ওঠে। আমরা অতিরিক্ত যাত্রী নিতে চাই না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল-মনসুর বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী নিয়ে অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে ইতিমধ্যে পৌর মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে শিগগিরই সমস্যার সমাধান করা হবে।’

এ বিষয়ে পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার বলেন, ‘যাত্রীদের সব অভিযোগ সঠিক নয়। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে অটোরিকশা চলাচলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। যাত্রী এবং চালক উভয়ের এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া দরকার। যাত্রীদের ভোগান্তি যেন না হয়, সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত