মাগুরা প্রতিনিধি
নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণায় আবারও অনলাইন ক্লাসে নির্ভর করতে হচ্ছে মাগুরা জেলার প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এতে যারা নতুন শিক্ষার্থী, তাদের জন্য অনলাইন ক্লাসে অভ্যস্ত করা কঠিন হয়ে গেছে। অনলাইন ক্লাসের সময়সূচি থাকলেও তা অনেক শিক্ষার্থীই জানে না। অনলাইন ক্লাসে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তেমন আগ্রহী দেখা যায়নি।
জেলায় ২৫০টির বেশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে জেলা সদরে ১৩ ইউনিয়ন পরিষদে মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৯টি, মাদ্রাসা ২৫টি এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬টি। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২টি এবং কলেজ রয়েছে ২টি।
নতুন করে দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নতুন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থীর বাবা রায়হান মুন্সি জানান, স্কুলে লটারির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে ছেলে। নতুন পোশাক পরিয়ে কয়েক দিন স্কুলে যেতে না যেতেই বন্ধ হয়ে গেল। এখন অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। ছেলে এই ক্লাস করতে চায় না। সে সরাসরি স্কুলে যেতে চায়। নতুন বইগুলো স্কুল থেকে এনে তা আর ছোঁয়া হয়নি।
মাগুরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাঠে ক্রিকেট খেলায় মেতে ছিল এই স্কুলসহ পাশের আদর্শ কলেজের কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জনি নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্র বলে, ‘ভিডিও ক্লাস আগে করতাম। কিন্তু মন টানে না আর। স্যাররা নিয়মিত ক্লাস নেয় কিন্তু ফেসবুক ব্যবহার করা বাড়িতে কঠিন। কেউ মোবাইল দেয় না। ক্লাস থাকলে বাবার দোকানে গিয়ে তাঁর মোবাইল ব্যবহার করতে হয়। সে আরেক ঝামেলা। তাই এবার বন্ধে ক্লাস একটিও করা হয়নি।
জেলা সদরের মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, মাগুরা সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়, মাগুরা এজি একাডেমি, দুধ মল্লিক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পুলিশ লাইনস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শিবরামপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আবালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস করানো হচ্ছে। তবে কতসংখ্যক শিক্ষার্থী সেই ক্লাস দেখছে, সেটা নিয়ে রয়েছে টানাপোড়েন। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রী যারা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির, তাদের ক্লাস করতে সহজ হয়। কিন্তু তারা জানায়, তাদের অনেকেরই ডিভাইস নেই। তবু তারা চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মাঝে রাখতে। অনলাইন ক্লাস যতটুকু নিয়মিত করা যায়।
মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, ভিডিও ক্লাস নিয়মিত হচ্ছে। আমাদের স্কুলের ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে নিয়মিত সরাসরি ক্লাস করান বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকেরা। প্রতিটি ক্লাসের শিক্ষকেরা এটি করে থাকেন। তবে অনলাইনে সরাসরি অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী কম থাকলেও পরে তারা এই ক্লাস দেখে নিতে পারেন।
মাগুরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, ‘করোনার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। একাডেমিক ক্লাস না থাকলেও অনলাইনে ক্লাস চলছে। মাগুরায় যে কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে সব কটিতে একটাই নির্দেশনা—ভিডিও ক্লাসের ওপরে জোর দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিভাইসগত সমস্যা তো আমাদের শিক্ষার্থীদের আগেও ছিল। এখনো আছে। শতভাগ ভিডিও ক্লাসে সফলতা হয়তো পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ছাত্র-ছাত্রীদের এই সময়ে পড়াশোনার মধ্যে রাখা।’
নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণায় আবারও অনলাইন ক্লাসে নির্ভর করতে হচ্ছে মাগুরা জেলার প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এতে যারা নতুন শিক্ষার্থী, তাদের জন্য অনলাইন ক্লাসে অভ্যস্ত করা কঠিন হয়ে গেছে। অনলাইন ক্লাসের সময়সূচি থাকলেও তা অনেক শিক্ষার্থীই জানে না। অনলাইন ক্লাসে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তেমন আগ্রহী দেখা যায়নি।
জেলায় ২৫০টির বেশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে জেলা সদরে ১৩ ইউনিয়ন পরিষদে মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৯টি, মাদ্রাসা ২৫টি এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬টি। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২টি এবং কলেজ রয়েছে ২টি।
নতুন করে দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নতুন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থীর বাবা রায়হান মুন্সি জানান, স্কুলে লটারির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে ছেলে। নতুন পোশাক পরিয়ে কয়েক দিন স্কুলে যেতে না যেতেই বন্ধ হয়ে গেল। এখন অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। ছেলে এই ক্লাস করতে চায় না। সে সরাসরি স্কুলে যেতে চায়। নতুন বইগুলো স্কুল থেকে এনে তা আর ছোঁয়া হয়নি।
মাগুরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাঠে ক্রিকেট খেলায় মেতে ছিল এই স্কুলসহ পাশের আদর্শ কলেজের কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জনি নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্র বলে, ‘ভিডিও ক্লাস আগে করতাম। কিন্তু মন টানে না আর। স্যাররা নিয়মিত ক্লাস নেয় কিন্তু ফেসবুক ব্যবহার করা বাড়িতে কঠিন। কেউ মোবাইল দেয় না। ক্লাস থাকলে বাবার দোকানে গিয়ে তাঁর মোবাইল ব্যবহার করতে হয়। সে আরেক ঝামেলা। তাই এবার বন্ধে ক্লাস একটিও করা হয়নি।
জেলা সদরের মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, মাগুরা সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়, মাগুরা এজি একাডেমি, দুধ মল্লিক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পুলিশ লাইনস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শিবরামপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আবালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস করানো হচ্ছে। তবে কতসংখ্যক শিক্ষার্থী সেই ক্লাস দেখছে, সেটা নিয়ে রয়েছে টানাপোড়েন। শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রী যারা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির, তাদের ক্লাস করতে সহজ হয়। কিন্তু তারা জানায়, তাদের অনেকেরই ডিভাইস নেই। তবু তারা চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মাঝে রাখতে। অনলাইন ক্লাস যতটুকু নিয়মিত করা যায়।
মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, ভিডিও ক্লাস নিয়মিত হচ্ছে। আমাদের স্কুলের ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে নিয়মিত সরাসরি ক্লাস করান বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকেরা। প্রতিটি ক্লাসের শিক্ষকেরা এটি করে থাকেন। তবে অনলাইনে সরাসরি অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী কম থাকলেও পরে তারা এই ক্লাস দেখে নিতে পারেন।
মাগুরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, ‘করোনার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। একাডেমিক ক্লাস না থাকলেও অনলাইনে ক্লাস চলছে। মাগুরায় যে কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে সব কটিতে একটাই নির্দেশনা—ভিডিও ক্লাসের ওপরে জোর দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিভাইসগত সমস্যা তো আমাদের শিক্ষার্থীদের আগেও ছিল। এখনো আছে। শতভাগ ভিডিও ক্লাসে সফলতা হয়তো পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ছাত্র-ছাত্রীদের এই সময়ে পড়াশোনার মধ্যে রাখা।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫