নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কখনো তামিম ইকবালকে পেলেও পাননি সাকিব আল হাসানকে। আবার কখনো হয়েছে এটার উল্টো—সাকিব থাকলেও নেই তামিম-মাহমুদউল্লাহ। এ নিয়ে একাধিকবার আফসোস প্রতিধ্বনিত হয়েছে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের কণ্ঠে। হতাশ মুমিনুল একবার বলেছিলেন, ‘তাঁরা না থাকলে আমার কাজটা কঠিন হয়ে যায়।’
মুমিনুলের সেই আফসোসে অন্তত এবার পুড়তে হচ্ছে না তামিমকে। ওয়ানডে অধিনায়ক আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তান সিরিজে পাচ্ছেন তাঁর সব হিরে আর জহরতকে। সবাই আবার ফিট, ছন্দে তুঙ্গে। এতে নিশ্চয়ই শুধু তামিম নন, পুরো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টই আছে স্বস্তিতে। এমন পূর্ণ শক্তির দল বাংলাদেশ সর্বশেষ পেয়েছে গত মে মাসে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে।
এ সিরিজ দিয়েই ওয়ানডেতে লম্বা বিরতির শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের। গত বছরের জুলাইয়ে সেই জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিলেন সাকিব-তামিমরা। মাঝে সাত মাস টি-টোয়েন্টি আর টেস্টেই কেটেছে অম্লমধুর সময়। এই সময়ে একের পর এক বিতর্ক আর নানা ইস্যুতে সব ক্রিকেটারকে কোনো সংস্করণে একসঙ্গে পায়নি বাংলাদেশ। আফগানিস্তান সিরিজ দিয়েই কাটছে সেই খরাও।
বহুদিন পর পূর্ণ শক্তির বাংলাদেশ—দলের সব তারকা ক্রিকেটারকে পাওয়া যাচ্ছে। সাকিব, তামিম, রিয়াদ, মুশি, মিরাজ, ফিজ, তাসকিনরা তো আছেনই। এই সিনিয়র বা তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার, যাঁরা সর্বশেষ সিরিজ–টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে ছিলেন। এঁদের একজন ইবাদত হোসেন। যাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশ গড়েছে গৌরবগাথা, প্রথমবার নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতেছে মুমিনুলের দল।
প্রথমবার ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইবাদতও চান তাঁর প্রথম সিরিজটা রাঙাতে, ‘আমি প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েছি। দলে সুযোগ পাওয়ার কথা প্রথম শোনার পর বিস্মিত হয়েছিলাম। টেস্টে সারা দিন একটা জায়গায় বোলিং করতে হয়। ওয়ানডেতে কৌশলটা একটু ভিন্ন। চেষ্টা থাকবে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার। নিউজিল্যান্ড আর বিপিএলে ছন্দে ছিলাম। সেটি কাজে লাগানোর চেষ্টা থাকবে।’
শুধু ক্রিকেটাররা নন, একসঙ্গে সবাইকে পেয়ে তৃপ্ত নির্বাচকেরাও। দল ভালো করলে যেমন প্রশংসা মেলে, তেমনি খারাপ করলে ভক্তদের কাঠগড়ায় যে ওঠেন তাঁরাও। আবদুর রাজ্জাক যেমন আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘পরিপূর্ণ দল থাকলে অবশ্যই দারুণ একটা ব্যাপার। তবে কেউ তো আর ইচ্ছে করে দলের বাইরে থাকেনি। কেউ হয়তো চোটে পড়েছে, আবার কারও অন্য সমস্যা ছিল। এবার সবাইকে একসঙ্গে পাচ্ছি। আশাটাও তাই বেশি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো কিছু হবে।’
দলে প্রথমবারের মতো আসা তরুণেরা কেমন খেলছেন, সেটি যেমন সবাই দেখতে চাইবেন এবার নজর থাকবে সিনিয়রদের দিকেও। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের আইপিএলে দল না পাওয়া নিয়ে গত কদিনে কত আলোচনাই না হলো। যদিও সাকিব এবার আছেন দারুণ ছন্দে। বিপিএলের সেরা সাকিব নিশ্চয়ই এবার আন্তর্জাতিক আঙিনাতেও রাঙাতে চাইবেন। টি-টোয়েন্টি খেলা-না খেলা নিয়ে আলোচনায় থাকা তামিমও বহুদিন পর ফিরেছেন দলে। তাঁরও দারুণ সময় কেটেছে বিপিএলে। নেতৃত্ব তো বটেই, ওপেনিংয়ে নেমে দলকে পথ দেখানোর কাজটাও করতে হবে বাঁহাতি ওপেনারকে।
টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনকেও স্বস্তি দিচ্ছে ছন্দে থাকা সাকিব-তামিমসহ সবাইকে একসঙ্গে পাওয়াটা। গতকাল চট্টগ্রামে টিম হোটেলে পৌঁছানোর আগে ফোনে আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে পাচ্ছি, এটা আমাদের জন্য অবশ্যই বাড়তি পাওয়া। যারা ওয়ানডের দলে আছে, তারা সবাই বিপিএলে ভালো করেছে। আর শুরুটা যেহেতু ওয়ানডে দিয়ে তাই খুবই আত্মবিশ্বাসী যে ভালো করব। কারণ, ওয়ানডেতে সব সময়ই আমরা ভালো দল।’
সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া, ঘরের মাঠ, ওয়ানডে সংস্করণ দিয়ে শুরু—সব যখন পক্ষে, চট্টগ্রামে এবার রশিদ-মুজিবদের নিশ্চয়ই পেয়ে বসতে দেবেন না তামিমেরা।
কখনো তামিম ইকবালকে পেলেও পাননি সাকিব আল হাসানকে। আবার কখনো হয়েছে এটার উল্টো—সাকিব থাকলেও নেই তামিম-মাহমুদউল্লাহ। এ নিয়ে একাধিকবার আফসোস প্রতিধ্বনিত হয়েছে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের কণ্ঠে। হতাশ মুমিনুল একবার বলেছিলেন, ‘তাঁরা না থাকলে আমার কাজটা কঠিন হয়ে যায়।’
মুমিনুলের সেই আফসোসে অন্তত এবার পুড়তে হচ্ছে না তামিমকে। ওয়ানডে অধিনায়ক আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তান সিরিজে পাচ্ছেন তাঁর সব হিরে আর জহরতকে। সবাই আবার ফিট, ছন্দে তুঙ্গে। এতে নিশ্চয়ই শুধু তামিম নন, পুরো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টই আছে স্বস্তিতে। এমন পূর্ণ শক্তির দল বাংলাদেশ সর্বশেষ পেয়েছে গত মে মাসে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে।
এ সিরিজ দিয়েই ওয়ানডেতে লম্বা বিরতির শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের। গত বছরের জুলাইয়ে সেই জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিলেন সাকিব-তামিমরা। মাঝে সাত মাস টি-টোয়েন্টি আর টেস্টেই কেটেছে অম্লমধুর সময়। এই সময়ে একের পর এক বিতর্ক আর নানা ইস্যুতে সব ক্রিকেটারকে কোনো সংস্করণে একসঙ্গে পায়নি বাংলাদেশ। আফগানিস্তান সিরিজ দিয়েই কাটছে সেই খরাও।
বহুদিন পর পূর্ণ শক্তির বাংলাদেশ—দলের সব তারকা ক্রিকেটারকে পাওয়া যাচ্ছে। সাকিব, তামিম, রিয়াদ, মুশি, মিরাজ, ফিজ, তাসকিনরা তো আছেনই। এই সিনিয়র বা তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার, যাঁরা সর্বশেষ সিরিজ–টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে ছিলেন। এঁদের একজন ইবাদত হোসেন। যাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশ গড়েছে গৌরবগাথা, প্রথমবার নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতেছে মুমিনুলের দল।
প্রথমবার ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ইবাদতও চান তাঁর প্রথম সিরিজটা রাঙাতে, ‘আমি প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েছি। দলে সুযোগ পাওয়ার কথা প্রথম শোনার পর বিস্মিত হয়েছিলাম। টেস্টে সারা দিন একটা জায়গায় বোলিং করতে হয়। ওয়ানডেতে কৌশলটা একটু ভিন্ন। চেষ্টা থাকবে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার। নিউজিল্যান্ড আর বিপিএলে ছন্দে ছিলাম। সেটি কাজে লাগানোর চেষ্টা থাকবে।’
শুধু ক্রিকেটাররা নন, একসঙ্গে সবাইকে পেয়ে তৃপ্ত নির্বাচকেরাও। দল ভালো করলে যেমন প্রশংসা মেলে, তেমনি খারাপ করলে ভক্তদের কাঠগড়ায় যে ওঠেন তাঁরাও। আবদুর রাজ্জাক যেমন আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘পরিপূর্ণ দল থাকলে অবশ্যই দারুণ একটা ব্যাপার। তবে কেউ তো আর ইচ্ছে করে দলের বাইরে থাকেনি। কেউ হয়তো চোটে পড়েছে, আবার কারও অন্য সমস্যা ছিল। এবার সবাইকে একসঙ্গে পাচ্ছি। আশাটাও তাই বেশি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো কিছু হবে।’
দলে প্রথমবারের মতো আসা তরুণেরা কেমন খেলছেন, সেটি যেমন সবাই দেখতে চাইবেন এবার নজর থাকবে সিনিয়রদের দিকেও। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের আইপিএলে দল না পাওয়া নিয়ে গত কদিনে কত আলোচনাই না হলো। যদিও সাকিব এবার আছেন দারুণ ছন্দে। বিপিএলের সেরা সাকিব নিশ্চয়ই এবার আন্তর্জাতিক আঙিনাতেও রাঙাতে চাইবেন। টি-টোয়েন্টি খেলা-না খেলা নিয়ে আলোচনায় থাকা তামিমও বহুদিন পর ফিরেছেন দলে। তাঁরও দারুণ সময় কেটেছে বিপিএলে। নেতৃত্ব তো বটেই, ওপেনিংয়ে নেমে দলকে পথ দেখানোর কাজটাও করতে হবে বাঁহাতি ওপেনারকে।
টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনকেও স্বস্তি দিচ্ছে ছন্দে থাকা সাকিব-তামিমসহ সবাইকে একসঙ্গে পাওয়াটা। গতকাল চট্টগ্রামে টিম হোটেলে পৌঁছানোর আগে ফোনে আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘সবাইকে একসঙ্গে পাচ্ছি, এটা আমাদের জন্য অবশ্যই বাড়তি পাওয়া। যারা ওয়ানডের দলে আছে, তারা সবাই বিপিএলে ভালো করেছে। আর শুরুটা যেহেতু ওয়ানডে দিয়ে তাই খুবই আত্মবিশ্বাসী যে ভালো করব। কারণ, ওয়ানডেতে সব সময়ই আমরা ভালো দল।’
সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া, ঘরের মাঠ, ওয়ানডে সংস্করণ দিয়ে শুরু—সব যখন পক্ষে, চট্টগ্রামে এবার রশিদ-মুজিবদের নিশ্চয়ই পেয়ে বসতে দেবেন না তামিমেরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪