Ajker Patrika

রাতেও সরগরম ঈদবাজার

পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
রাতেও সরগরম ঈদবাজার

ঈদ সামনে রেখে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন বিপণিবিতান জমে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব বিপণিবিতানে চলছে কেনাবেচা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, আগের চেয়ে বেড়েছে সব কাপড়ের দাম।

উপজেলার কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, উপজেলার বিভিন্ন ফুটপাতের কাপড়ের দোকান ও বিপণিবিতানগুলোতে ততই ভিড় বাড়ছে। ক্রেতারা পছন্দমতো পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন।

এই ঈদে দোকানিরা ইন্ডিয়ান সাহারা জর্জেট, ডায়মন্ড, বিনয়, কাঁচা বাদাম, লাচ্ছা, বিবেগ, লং স্কার্ট, পাখি-লেহেঙ্গা, ঐশ্বরিয়ার ময়ূরী-ড্রেস আর পাকিস্তানি বাড়িস, খুবসুরত, পাকিস্তানি কটি, শাহজাদি ইত্যাদি ডিজাইনের পোশাক এনেছেন। এসব ডিজাইনের কাপড় রকমভেদে দেড় হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন টেইলার্সের দোকানেও ভিড় দেখা গেছে। সপ্তাহখানেক আগে থেকে কাপড় বানানোর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন টেইলার্সের মালিকেরা।

মেসার্স মাহির ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী আল আমিন চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে তাঁর দোকানে নিউ জিনস প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্ট, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শার্ট, পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের ফুল প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন, বাচ্চাদের শার্ট, কসমেটিকস সামগ্রী ও সুজ কালেকশন রয়েছে। তিনি বলেন, তাঁরা সুলভ মূল্যে বিক্রি করছেন, তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গতবারের তুলনায় দাম বেশি। আল আমিন চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, আসলেই গতবারের তুলনায় এবার কয়েকটি পণ্যে একটু বেশি দাম ধরা হয়েছে।

নাহো ফ্যাশনের মো ইউছুপ বলেন, ক্রেতারা নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক কিনছেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নিত্যনতুন ডিজাইনের মেয়েদের সিল্ক, বেনারসি, টাঙ্গাইল প্রিন্ট, জামদানি ও কাতান শাড়িসহ থ্রিপিস, লং থ্রিপিস, সালোয়ার-কামিজ, লেহেঙ্গা, ছিট-কাপড় গ্যাবার্ডিন-প্যান্ট, হাফ শার্ট, ফতুয়া ও পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে। ডিজাইন ও রকমভেদে কাপড়গুলো ৬০০ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে ঈদের শেষ মুহূর্ত হওয়ায় বেচাকেনা অনেক বেড়ে গেছে।

পরশুরাম উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে জামাল প্লাজায় ঈদবাজার করতে আসা জুলেখা নুর পারভিন বলেন, গত দুই বছর ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে পারিনি। এবার শপিং করতে এসেছি। নিজের ও সন্তানদের জন্য কিনেছি।

পরশুরাম নজরুল একাডেমির প্রশিক্ষক মাস্টার ইরফান আজাদ বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এই ঈদে সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। কিন্তু কী আর করার আছে। ঈদে কিছু কেনাকাটা করা দরকার, তাই মার্কেটে এসেছি।

পরশুরাম বাজার বণিক সমিতির সভাপতি লোকমানুজ্জামান আল আজাদ বলেন, বাজারে অসংখ্য লোকসমাগম, গভীর রাতে প্রচুর বেচাকেনা হচ্ছে। বাজার কমিটির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। কোনো ক্রেতাকে যাতে হয়রানি না করা হয়, সে জন্য বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। তা ছাড়া রাতে পাহারাদার বাড়ানো হয়েছে।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমরা জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই ঈদ সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন বিপণিবিতান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ সব সময় টহল দিচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত