Ajker Patrika

ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত

মুনীরুল ইসলাম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, ১৬: ২৭
Thumbnail image

ইতিকাফ আরবি শব্দ। এর অর্থ অবস্থান করা। শরিয়তের পরিভাষায়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতসহকারে নিয়মিত আদায় করা হয় এমন মসজিদগুলোতে আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিয়তসহ অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। মাহে রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া, যা মহল্লার কয়েকজন আদায় করলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু কেউই আদায় না করলে সবাই গুনাহগার হবে।

ইতিকাফের ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘নবী করিম (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীরাও ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি) ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এক দিন ইতিকাফ করবে, আল্লাহ তার এবং জাহান্নামের মধ্যে তিনটি গহ্বর সৃষ্টি করবেন, যার দূরত্ব আসমান-জমিনের দূরত্বের চেয়ে বেশি।’ (তাবরানি) আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরাহর সওয়াব দান করা হবে।’ (শুআবুল ইমান)

ইতিকাফ শুদ্ধ হওয়ার শর্ত চারটি। এক. মসজিদে অবস্থান করা; তবে নারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ইতিকাফ করবে। দুই. গোসল ফরজ হলে শরীর পবিত্র করে নেওয়া। তিন. রোজা রাখা; অবশ্য এই বিধান শুধু ওয়াজিব ইতিকাফের জন্য। নফল ইতিকাফের জন্য রোজা শর্ত নয়। ইতিকাফের সময় ইতিকাফকারীর করণীয় হলো, যথাসম্ভব ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকা। একান্ত মানবিক প্রয়োজন ও জুমা আদায়ের জন্য বের হওয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ নষ্ট হবে।

মুনীরুল ইসলাম

ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত