রিমন রহমান, রাজশাহী
অব্যাহতভাবে বেড়েছে মুরগির খাবারের দাম। লোকসান টানতে টানতে খামারিদের হিমশিম অবস্থা। বাধ্য হয়ে অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই কমেছে ডিমের উৎপাদন। কিন্তু চাহিদা একটুও কমেনি; বরং বেড়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের চাহিদামতো ডিমের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আড়তদারেরা। তাই কিছুটা বাড়িয়েছেন ডিমের দাম। আর এ সুযোগটি নিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন।
রাজশাহীর খামারি, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। একই কথা বলছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা কেনা দামের চেয়ে হালিতে ৭ থেকে ১০ টাকা অর্থাৎ ডজনে ২১ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে চাইছেন। আর এতেই অস্বাভাবিক বেড়েছে ডিমের দাম। কয়েক দিন ধরে ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ছুটির দিনেও রাজশাহীতে বাজার তদারকি করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিকারের টিম বাজারে যাওয়ার পর খুচরা বাজারে ডিমের দাম হালিতে ৬ টাকা কমানো হয়।
রাজশাহীতে প্রায় ২ হাজার লেয়ার মুরগির খামার আছে। এসব খামার থেকে গত অর্থবছরে ৫৬ কোটিরও বেশি ডিম উৎপাদন হয়। রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নে অসংখ্য খামার গড়ে উঠেছে। খামারিরা পারিলাসংলগ্ন মোসলেমের মোড়ের প্রায় ২০টি আড়তে ডিম সরবরাহ করেন। আর এই আড়তদারদের কাছে সকালেই ডিমের চাহিদা জানান রাজশাহী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। মোসলেমের মোড় ডিম আড়ত সমিতি দিনের চাহিদা দেখে রোজ দুপুর ১২টায় নতুন মূল্য নির্ধারণ করে। তারপর সেই দরে ডিম কেনার জন্য প্রত্যেক আড়তদারের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন ধরে ডিমের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ানো হচ্ছে।
মোসলেমের মোড়ের জেআরপি এন্টারপ্রাইজ নামের ডিমের আড়তের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন বলেন, এই মোড়ের আড়তগুলোতে আগে রোজ ২০ লাখ ডিম আসত। এখন তা কমে ৮ থেকে ১০ লাখে নেমেছে। কিন্তু চাহিদা কমেনি। সে কারণে অল্প কিছু দাম বাড়াতে হয়েছে।
পারিলায় প্রায় ৪০ হাজার মুরগির খামার আছে বেলাল হোসেন ও তাঁর ভাতিজা রবিন হোসেনের। রবিন বলেন, প্রতিদিন একটা মুরগি ১১০ গ্রাম খাবার খায়। ৬ মাস আগের ১ হাজার ৯০০ টাকা বস্তার (৫০ কেজি) খাবারের দাম এখন ২ হাজার ৮৫০ টাকা। ওষুধের দামও অস্বাভাবিক বেড়েছে। এখন একটা ডিম উৎপাদন করতে খরচ হচ্ছে ৮ টাকার বেশি। এই খরচ অনেক দিন ধরেই উঠে আসেনি। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে।
তবে দাম নিয়ে হইচই শুরু হলে মোসলেমের মোড়ের আড়তগুলোতে গত ৪ দিনে প্রতিটি ডিমের দাম ২ টাকা করে কমেছে। গতকাল দুপুরে সকাল থেকে রাতের জন্য আড়তগুলোতে প্রতিটি সাদা ডিম কেনার দাম নির্ধারণ হয় ৮ টাকা ৬০ পয়সা এবং লাল ডিমের ৯ টাকা। আড়তদারেরা প্রতিটি ডিমে ২০ পয়সা লাভ করে পাইকারি বিক্রি করছিলেন। এই দরে এখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে ট্রাকভর্তি করে যেমন ডিম যাচ্ছিল, তেমনি রাজশাহী শহরের বাজারেও যাচ্ছিল।
মোসলেমের মোড় ডিম আড়ত সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা যেটুকু দাম বাড়িয়েছিলাম, তা যৌক্তিক ছিল। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা অস্বাভাবিক বাড়াচ্ছে।’
গতকাল দুপুরে মোসলেমের মোড় থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে রাজশাহী নগরীর আরডিএ মার্কেটের ডিম ডিপো নামের এক পাইকারি দোকানে গিয়ে দেখা গেল, খুচরা বিক্রেতারা হালিপ্রতি সাদা ডিম ৩৯ টাকা ২০ পয়সা এবং লাল ডিম ৪২ টাকায় কিনছেন। অথচ আরডিএ মার্কেটের আশপাশের খুচরা দোকানগুলোতে সাদা ডিম ৪৬ থেকে ৪৮ এবং লাল ডিম ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থাৎ খুচরা ব্যবসায়ীরাই হালিতে ৭ থেকে ১০ টাকা বাড়াচ্ছেন ডিমের দাম।
ডিমের দাম নিয়ে ক্রেতাদের অসন্তোষের কারণে গতকাল সকালে মোসলেমের মোড়ে আড়তগুলোতে দাম যাচাই করে আসেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ। এরপর তিনি সাহেব বাজারের খুচরা দোকানগুলোতে যান। তাঁদের দেখে খুচরা বিক্রেতারা হালিতে তাৎক্ষণিক ডিমের দাম ছয় টাকা কমিয়ে দেন।
অভিযান শেষে হাসান-আল-মারুফ বলেন, ‘খুচরা বিক্রেতারা অস্বাভাবিক লাভ করতে চাচ্ছেন। হালিতে তাঁরা ৭ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেশি নিচ্ছে পাইকারিতে কেনা দামের চেয়ে। আমরা আজ মার্কেটে গিয়ে দেখলাম সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা হালি। লাল ডিমের হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। আমাদের দেখার পরই দোকানিরা মূল্যতালিকা সংশোধন করে হালিতে ৬ টাকা করে কমিয়ে দিল। তারপরও মূল্যতালিকা না থাকা এবং মূল্যতালিকার চেয়ে বেশি দরে ডিম বিক্রি করার অপরাধে ২ ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।’
অব্যাহতভাবে বেড়েছে মুরগির খাবারের দাম। লোকসান টানতে টানতে খামারিদের হিমশিম অবস্থা। বাধ্য হয়ে অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই কমেছে ডিমের উৎপাদন। কিন্তু চাহিদা একটুও কমেনি; বরং বেড়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের চাহিদামতো ডিমের জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আড়তদারেরা। তাই কিছুটা বাড়িয়েছেন ডিমের দাম। আর এ সুযোগটি নিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন।
রাজশাহীর খামারি, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। একই কথা বলছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা কেনা দামের চেয়ে হালিতে ৭ থেকে ১০ টাকা অর্থাৎ ডজনে ২১ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে চাইছেন। আর এতেই অস্বাভাবিক বেড়েছে ডিমের দাম। কয়েক দিন ধরে ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ছুটির দিনেও রাজশাহীতে বাজার তদারকি করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিকারের টিম বাজারে যাওয়ার পর খুচরা বাজারে ডিমের দাম হালিতে ৬ টাকা কমানো হয়।
রাজশাহীতে প্রায় ২ হাজার লেয়ার মুরগির খামার আছে। এসব খামার থেকে গত অর্থবছরে ৫৬ কোটিরও বেশি ডিম উৎপাদন হয়। রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নে অসংখ্য খামার গড়ে উঠেছে। খামারিরা পারিলাসংলগ্ন মোসলেমের মোড়ের প্রায় ২০টি আড়তে ডিম সরবরাহ করেন। আর এই আড়তদারদের কাছে সকালেই ডিমের চাহিদা জানান রাজশাহী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। মোসলেমের মোড় ডিম আড়ত সমিতি দিনের চাহিদা দেখে রোজ দুপুর ১২টায় নতুন মূল্য নির্ধারণ করে। তারপর সেই দরে ডিম কেনার জন্য প্রত্যেক আড়তদারের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন ধরে ডিমের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ানো হচ্ছে।
মোসলেমের মোড়ের জেআরপি এন্টারপ্রাইজ নামের ডিমের আড়তের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন বলেন, এই মোড়ের আড়তগুলোতে আগে রোজ ২০ লাখ ডিম আসত। এখন তা কমে ৮ থেকে ১০ লাখে নেমেছে। কিন্তু চাহিদা কমেনি। সে কারণে অল্প কিছু দাম বাড়াতে হয়েছে।
পারিলায় প্রায় ৪০ হাজার মুরগির খামার আছে বেলাল হোসেন ও তাঁর ভাতিজা রবিন হোসেনের। রবিন বলেন, প্রতিদিন একটা মুরগি ১১০ গ্রাম খাবার খায়। ৬ মাস আগের ১ হাজার ৯০০ টাকা বস্তার (৫০ কেজি) খাবারের দাম এখন ২ হাজার ৮৫০ টাকা। ওষুধের দামও অস্বাভাবিক বেড়েছে। এখন একটা ডিম উৎপাদন করতে খরচ হচ্ছে ৮ টাকার বেশি। এই খরচ অনেক দিন ধরেই উঠে আসেনি। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে।
তবে দাম নিয়ে হইচই শুরু হলে মোসলেমের মোড়ের আড়তগুলোতে গত ৪ দিনে প্রতিটি ডিমের দাম ২ টাকা করে কমেছে। গতকাল দুপুরে সকাল থেকে রাতের জন্য আড়তগুলোতে প্রতিটি সাদা ডিম কেনার দাম নির্ধারণ হয় ৮ টাকা ৬০ পয়সা এবং লাল ডিমের ৯ টাকা। আড়তদারেরা প্রতিটি ডিমে ২০ পয়সা লাভ করে পাইকারি বিক্রি করছিলেন। এই দরে এখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে ট্রাকভর্তি করে যেমন ডিম যাচ্ছিল, তেমনি রাজশাহী শহরের বাজারেও যাচ্ছিল।
মোসলেমের মোড় ডিম আড়ত সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা যেটুকু দাম বাড়িয়েছিলাম, তা যৌক্তিক ছিল। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা অস্বাভাবিক বাড়াচ্ছে।’
গতকাল দুপুরে মোসলেমের মোড় থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে রাজশাহী নগরীর আরডিএ মার্কেটের ডিম ডিপো নামের এক পাইকারি দোকানে গিয়ে দেখা গেল, খুচরা বিক্রেতারা হালিপ্রতি সাদা ডিম ৩৯ টাকা ২০ পয়সা এবং লাল ডিম ৪২ টাকায় কিনছেন। অথচ আরডিএ মার্কেটের আশপাশের খুচরা দোকানগুলোতে সাদা ডিম ৪৬ থেকে ৪৮ এবং লাল ডিম ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থাৎ খুচরা ব্যবসায়ীরাই হালিতে ৭ থেকে ১০ টাকা বাড়াচ্ছেন ডিমের দাম।
ডিমের দাম নিয়ে ক্রেতাদের অসন্তোষের কারণে গতকাল সকালে মোসলেমের মোড়ে আড়তগুলোতে দাম যাচাই করে আসেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ। এরপর তিনি সাহেব বাজারের খুচরা দোকানগুলোতে যান। তাঁদের দেখে খুচরা বিক্রেতারা হালিতে তাৎক্ষণিক ডিমের দাম ছয় টাকা কমিয়ে দেন।
অভিযান শেষে হাসান-আল-মারুফ বলেন, ‘খুচরা বিক্রেতারা অস্বাভাবিক লাভ করতে চাচ্ছেন। হালিতে তাঁরা ৭ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেশি নিচ্ছে পাইকারিতে কেনা দামের চেয়ে। আমরা আজ মার্কেটে গিয়ে দেখলাম সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা হালি। লাল ডিমের হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। আমাদের দেখার পরই দোকানিরা মূল্যতালিকা সংশোধন করে হালিতে ৬ টাকা করে কমিয়ে দিল। তারপরও মূল্যতালিকা না থাকা এবং মূল্যতালিকার চেয়ে বেশি দরে ডিম বিক্রি করার অপরাধে ২ ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৭ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫