Ajker Patrika

দক্ষিণবঙ্গের মানুষের স্বপ্নের দ্বার খুলবে ২০২২ সালে

এনামুল হক, কাউখালী (পিরোজপুর)
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ৩০
দক্ষিণবঙ্গের মানুষের স্বপ্নের দ্বার খুলবে ২০২২ সালে

পিরোজপুরের কাউখালীর কঁচা নদীর ওপর বেকুটিয়া পয়েন্টে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। করোনায় নির্মাণকাজের গতি থামাতে পারেনি। সেতুর ৮০ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুর সুপারস্ট্রাকচার এবং অ্যাপ্রোচ সড়কের নির্মাণকাজও শেষের পথে।

২০২২ সালের জুন মাসে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের এই বেকুটিয়া সেতু উদ্বোধনের আশা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেতুটি চালু হলে বরিশাল-পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যাতায়াতে সময় অনেক কমবে। এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এমনই প্রত্যাশা এই অঞ্চলের মানুষের। এমনকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের বরিশাল থেকে পায়রা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্নের দুয়ার খুলে যাবে। এতে খুশি দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীসহ স্থানীয় মানুষ। বেকুটিয়া ফেরিঘাটে দীর্ঘদিন দুর্ভোগের শিকার পরিবহন, পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীরা মুক্তি পাবে।

জিটুজি পদ্ধতিতে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনের ‘চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা গ্রান্ড অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকি ২৪৪ টাকার জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ৪২৯ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার (ডাবল লেন)। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৯৮ মিটার। ১০টি পিলার এবং ৯টি স্প্যানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ব. গার্ডার টাইপ এই সেতু। ৯টি স্প্যানের ৭টি ১২২ মিটার এবং ৭২ মিটারের স্প্যান রয়েছে ২টি। ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সঠিক সময়ে সেতু যান চলাচলে খুলে দেওয়ার প্রত্যাশা সড়ক ও জনপথের সেতু বিভাগের কর্মকর্তাদের।

বেকুটিয়া ফেরীর যাত্রী মো. সাইদুল আলম জানান, বর্তমান সরকারপ্রধানের সুনজরের কারণে অবহেলিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এখন উন্নয়ন শুরু হয়েছে। বেকুটিয়ার কঁচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে খুশি এলাকাবাসী। সেতু নির্মাণের ফলে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনে গতি আসবে বলে আশা করেন তিনি।

বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক এবং বরিশাল সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম মাহমুদ সুমন বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় কঁচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই সেতু চালু হলে খুলনা, মোংলা ও বাগেরহাট অঞ্চলের সঙ্গে পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ আরও সহজতর হবে। এতে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনে গতি আসবে। অষ্টম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নির্মাণে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকেরা দিন-রাত কাজ করছেন। ২০২২ সালের জুনে সেতু উদ্বোধন হলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের মধ্যে সড়কপথে যাতায়াত সময় ১ ঘণ্টা কমে যাবে এবং সহজ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত