শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পদ্মা সেতুর সড়কপথের কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। গতকাল সকালে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৪০ নম্বর পিলার থেকে শুরু করা হয়েছে পিচ ঢালাই।
কাজ পর্যবেক্ষণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পুরো সেতুর পিচ ঢালাই শেষ হতে তিন-চার মাস লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রকৌশলীরা।
এর আগে গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি জাজিরা প্রান্তে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিয়ারে বসানো স্প্যানের রোড স্ল্যাবের ওপর ৬০ মিটার পরিমাণ পরীক্ষামূলক পিচ ঢালাই করা হয়। বৃষ্টির কারণে এতদিন পুরোদমে কাজ শুরু করা যায়নি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, সেতুর রোড স্ল্যাব বসানোর পর থেকেই বেড প্রস্তুতের কাজ শুরু করা হয়েছিল। এরই মধ্যে সেতুর ৪৩০ মিটার অংশে ওয়াটার প্রুফিং কাজ শেষ হয়েছে। সে অংশেই কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। আজ প্রথম দিনে ৩০০ মিটার পরিমাণ কার্পেটিং করা হবে। বৃহস্পতিবার হবে বাকি ১৩০ মিটার অংশ। এখন থেকে বেড প্রস্তুত করে সপ্তাহে অন্তত একবার কার্পেটিংয়ের কাজ চলমান থাকবে। এ ছাড়া সেতু প্রস্তুতে শেষ মুহূর্তে এক্সপানশন সংযোগ, প্যারাপেট ওয়াল, মিডিয়াম স্পিডিংসহ নানামুখী কর্মযজ্ঞ রয়েছে শেষের দিকে। শিগগির শুরু হবে স্ট্রিট লাইটিংয়ের কাজ।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সেতুতে ৪১ নম্বর স্প্যানটি বসানো পর পদ্মার বুকে দৃশ্যমান হয় সম্পূর্ণ পদ্মা সেতু। এরপর ২৩ আগষ্ট শেষ হয় সেতুর রোড স্ল্যাব বসানোর কাজ। এরপর প্রস্তুত করা হয় কার্পেটিংয়ের জন্য নির্ধারিত বেড। কার্পেটিংয়ের আগে রোড স্ল্যাবের ওপর দুই মিলিমিটার পুরুত্বের পানিনিরোধক স্তর (ওয়াটার প্রুফিং মেমব্রেন) দেওয়া হয়েছে; যা মূলত সড়কের ওপর দিয়ে পানি লিকেজ করা থেকে সেতুকে নিরাপদ রাখবে। এই ওয়াটার প্রুফ মেমব্রেন দেখতে অনেকটা প্লাষ্টিকের আচ্ছাদনের মতো। ওয়াটার প্রুফের কাজ শেষ হওয়া অংশে দুই স্তরে করা হবে কার্পেটিং। প্রথম স্তরে করা হবে ৬০ মিলিমিটার পরিমাণ পুরুত্বের কার্পেটিংয়ের কাজ, এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে করা হবে আরও ৪০ মিলিমিটার পুরুত্বসম্পন্ন কার্পেটিং। সব মিলিয়ে সেতুর ওপরে কার্পেটিং সড়কের পুরুত্ব হবে ১০০ মিলিমিটার।
১০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া স্থায়ী এই কার্পেটিংয়ের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব ও ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। মূল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৮৯ শতাংশ, আর নদী শাসনের কাজ এগিয়েছে ৮৬ শতাংশ। সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ।
আগামী বছরের জুনে উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা রয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের যোগাযোগ সহজ হবে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পদ্মা সেতুর সড়কপথের কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। গতকাল সকালে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৪০ নম্বর পিলার থেকে শুরু করা হয়েছে পিচ ঢালাই।
কাজ পর্যবেক্ষণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পুরো সেতুর পিচ ঢালাই শেষ হতে তিন-চার মাস লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রকৌশলীরা।
এর আগে গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি জাজিরা প্রান্তে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিয়ারে বসানো স্প্যানের রোড স্ল্যাবের ওপর ৬০ মিটার পরিমাণ পরীক্ষামূলক পিচ ঢালাই করা হয়। বৃষ্টির কারণে এতদিন পুরোদমে কাজ শুরু করা যায়নি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, সেতুর রোড স্ল্যাব বসানোর পর থেকেই বেড প্রস্তুতের কাজ শুরু করা হয়েছিল। এরই মধ্যে সেতুর ৪৩০ মিটার অংশে ওয়াটার প্রুফিং কাজ শেষ হয়েছে। সে অংশেই কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। আজ প্রথম দিনে ৩০০ মিটার পরিমাণ কার্পেটিং করা হবে। বৃহস্পতিবার হবে বাকি ১৩০ মিটার অংশ। এখন থেকে বেড প্রস্তুত করে সপ্তাহে অন্তত একবার কার্পেটিংয়ের কাজ চলমান থাকবে। এ ছাড়া সেতু প্রস্তুতে শেষ মুহূর্তে এক্সপানশন সংযোগ, প্যারাপেট ওয়াল, মিডিয়াম স্পিডিংসহ নানামুখী কর্মযজ্ঞ রয়েছে শেষের দিকে। শিগগির শুরু হবে স্ট্রিট লাইটিংয়ের কাজ।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সেতুতে ৪১ নম্বর স্প্যানটি বসানো পর পদ্মার বুকে দৃশ্যমান হয় সম্পূর্ণ পদ্মা সেতু। এরপর ২৩ আগষ্ট শেষ হয় সেতুর রোড স্ল্যাব বসানোর কাজ। এরপর প্রস্তুত করা হয় কার্পেটিংয়ের জন্য নির্ধারিত বেড। কার্পেটিংয়ের আগে রোড স্ল্যাবের ওপর দুই মিলিমিটার পুরুত্বের পানিনিরোধক স্তর (ওয়াটার প্রুফিং মেমব্রেন) দেওয়া হয়েছে; যা মূলত সড়কের ওপর দিয়ে পানি লিকেজ করা থেকে সেতুকে নিরাপদ রাখবে। এই ওয়াটার প্রুফ মেমব্রেন দেখতে অনেকটা প্লাষ্টিকের আচ্ছাদনের মতো। ওয়াটার প্রুফের কাজ শেষ হওয়া অংশে দুই স্তরে করা হবে কার্পেটিং। প্রথম স্তরে করা হবে ৬০ মিলিমিটার পরিমাণ পুরুত্বের কার্পেটিংয়ের কাজ, এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে করা হবে আরও ৪০ মিলিমিটার পুরুত্বসম্পন্ন কার্পেটিং। সব মিলিয়ে সেতুর ওপরে কার্পেটিং সড়কের পুরুত্ব হবে ১০০ মিলিমিটার।
১০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া স্থায়ী এই কার্পেটিংয়ের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব ও ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। মূল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৮৯ শতাংশ, আর নদী শাসনের কাজ এগিয়েছে ৮৬ শতাংশ। সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ।
আগামী বছরের জুনে উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা রয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের যোগাযোগ সহজ হবে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪