Ajker Patrika

মজুরি পরিশোধ ও পাটকল চালুর দাবিতে লাঠি মিছিল

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৪১
মজুরি পরিশোধ ও পাটকল চালুর দাবিতে লাঠি মিছিল

খুলনায় সব বেসরকারি পাটকল শ্রমিকদের মজুরি ২০১৫ সালের স্কেল অনুযায়ী বকেয়াসহ পরিশোধ ও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালুর দাবিতে লাঠি মিছিল হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কারখানা কমিটির উদ্যোগে খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের দৌলতপুর জুটমিলের সামনে এ মিছিল হয়।

মিছিলটি পিপলস গোল চত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে পিপলস গোল চত্বরে সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খালিশপুর-দৌলতপুর জুটমিল কারখানা কমিটির সভাপতি ও সিবিএ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর।

মিছিলে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোট খুলনা জেলা সমন্বয়ক ও সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, দৌলতপুর জুটমিল কারখানা কমিটির সভাপতি শ্রমিকনেতা নূর মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আল আমিন শেখ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘পাট ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, বিজেএমসি র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কনসালট্যান্টদের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলাফলই বন্ধকৃত ২৫টি পাটকলের লোকসানের প্রধান কারণ। লোকসানের জন্য এসকল দুর্নীতিবাজদের বিচারও হয়নি, তারা শাস্তিও পায়নি। অথচ লোকসানের দায়ভার বর্তেছে সাধারণ পাট শ্রমিকদের ওপর। একদিকে শাসকেরা লোকসানের জন্য শ্রমিকদের দায়ী করে রেখেছে অন্যদিকে পাটকল বন্ধের ১৭ মাস পূর্ণ হলেও শ্রমিকদের সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করেনি।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘এমনকি নামের ভুলের কথা বলে সরকার হাজার হাজার শ্রমিকের বেতন আটকে রেখেছে। অথচ চাকরি থাকা অবস্থায় এসব শ্রমিকেরা বছরের পর বছর তাদের পারিশ্রমিক পেয়ে এসেছেন। সরকার শ্রমিকের এ প্রাপ্য টাকা আত্মসাত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। জীবন দিয়ে হলেও আমরা এ ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবো না। বক্তারা বলেন, বর্তমানে শ্রমিকরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অসংখ্য শ্রমিকদের সন্তান লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে অনেকে অনৈতিক পেশায় যুক্ত হয়েছে। অনেকে অদক্ষ পেশায় যুক্ত হয়ে কেউ কেউ দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘পাটশিল্প অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত। এই পাটশিল্প দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশি বাজারে প্রসার ঘটাতে পারতো। অথচ সরকার দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর কায়েমী স্বার্থে পাটকল ও পাটশিল্পকে ধ্বংস করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুট করার ব্যবস্থা করছে।’

বক্তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘অবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু, আধুনিকায়ন এবং পাটকল শ্রমিকদের ২০১৫ সালের মজুরি স্কেল অনুযায়ী সমুদয় বকেয়া বেতন এককালীন প্রদান করতে হবে, অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত