ধনবাড়ী প্রতিনিধি
ধনবাড়ীতে পুরোদমে চলছে ধান কাটা-মাড়াই। তবে হাসি নেই কৃষকের মুখে। জমিতে পোকার আক্রমণ ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় খুশি হতে পারছেন না কৃষকেরা। এ ছাড়া চড়া মজুরি দিয়ে ধান কাটা-মাড়াই করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয় চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে ধানের আবাদ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। লাভের আশায় এবারও উচ্চফলনশীল জাতের ধান আবাদ করেছেন অনেকে। কিন্তু ধানে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। খেতেই নষ্ট হয়েছে অনেক ধান। ফলে বিঘাপ্রতি মিলছে না ৮ থেকে ১০ মণ ধানও। এ ছাড়া শ্রমিক-সংকট ও মজুরি বেশি হওয়ায় লাভের জায়গায় ক্ষতির আশঙ্কা বেশি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিতেই আবাদ হয়েছে উচ্চফলনশীল জাতের ধান। কৃষককে দেওয়া হয়েছে নানা প্রণোদনা ও পরামর্শ। ব্রি-২৮ ধান ছাড়া অন্য জাতের ধানে ফলন হয়েছে ভালো।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াই। শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়াতে পরিবারের সদস্যরা ধান কাটাসহ বিভিন্ন কাজ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। আবার অনেকে কম দামে ধান বিক্রি করে হতাশ হয়ে ফিরছেন বাজার থেকে।
উপজেলার দরিচন্দ্রবাড়ী এলাকার চাষি হাশেম আলী বলেন, ‘২৫ শতাংশ জমিতে ব্রি-২৮ ধান লাগিয়েছিলাম। রোগবালাই দেখা দেওয়াতে ৩ মণ ধানও পাইনি। ক্ষতির মুখে পড়েছি।’
অপর চাষি জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘শ্রমিক-সংকটে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। জনপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা মজুরি দিতে হয়েছে।’
ধোপাখালী এলাকার চাষি হারুন মিয়া বলেন, ‘এবারে উপজেলার সব কৃষকের ব্রি-২৮ জাতের অধিকাংশ ধান রোগবালাইয়ের কারণে খেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। আমারও ক্ষতি হয়েছে।’
মুশুদ্দি এলাকার কৃষক আনছার আলী বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমার খেতের ধানগাছ সব পড়ে গেছে। ফলে ধান কাটতে শ্রমিকও বেশি লাগছে।’ পৌর এলাকার কৃষক রমজান আলী জানান, তাঁর পুরো ১ বিঘা জমিতেই রোগবালাই দেখা দেওয়ায় অর্ধেকেরও কম ফলন পেয়েছেন। বাজারে ধানের দাম না থাকায় আবাদের খরচও আসেনি তাঁর।
ধনবাড়ী বাজারের ধান ব্যবসায়ী মেসার্স তন্নী এন্টারপ্রাইজের মালিক রুকনুজ্জামান বলেন, বর্তমানে ধানের দাম আগের চেয়ে কম। ব্রি-২৮ ভালোটা ৭০০, ব্রি-২৯ ৬৫০ থেকে ৭০, সব মোটা জাতের ধান ৬২০ থেকে ৬৮০, কাটারিভোগ ৮২০ টাকার মধ্যে কিনেছেন এবার। এতে কৃষকেরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রি-২৮ ধানে রোগবালাই দেখা দেওয়ায় কৃষকের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে অন্য জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে। এদিকে শ্রমিকের মজুরি বেশি থাকায় হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দাম কম থাকায় ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ধনবাড়ীতে পুরোদমে চলছে ধান কাটা-মাড়াই। তবে হাসি নেই কৃষকের মুখে। জমিতে পোকার আক্রমণ ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় খুশি হতে পারছেন না কৃষকেরা। এ ছাড়া চড়া মজুরি দিয়ে ধান কাটা-মাড়াই করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয় চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে ধানের আবাদ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। লাভের আশায় এবারও উচ্চফলনশীল জাতের ধান আবাদ করেছেন অনেকে। কিন্তু ধানে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। খেতেই নষ্ট হয়েছে অনেক ধান। ফলে বিঘাপ্রতি মিলছে না ৮ থেকে ১০ মণ ধানও। এ ছাড়া শ্রমিক-সংকট ও মজুরি বেশি হওয়ায় লাভের জায়গায় ক্ষতির আশঙ্কা বেশি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিতেই আবাদ হয়েছে উচ্চফলনশীল জাতের ধান। কৃষককে দেওয়া হয়েছে নানা প্রণোদনা ও পরামর্শ। ব্রি-২৮ ধান ছাড়া অন্য জাতের ধানে ফলন হয়েছে ভালো।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াই। শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়াতে পরিবারের সদস্যরা ধান কাটাসহ বিভিন্ন কাজ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। আবার অনেকে কম দামে ধান বিক্রি করে হতাশ হয়ে ফিরছেন বাজার থেকে।
উপজেলার দরিচন্দ্রবাড়ী এলাকার চাষি হাশেম আলী বলেন, ‘২৫ শতাংশ জমিতে ব্রি-২৮ ধান লাগিয়েছিলাম। রোগবালাই দেখা দেওয়াতে ৩ মণ ধানও পাইনি। ক্ষতির মুখে পড়েছি।’
অপর চাষি জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘শ্রমিক-সংকটে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। জনপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা মজুরি দিতে হয়েছে।’
ধোপাখালী এলাকার চাষি হারুন মিয়া বলেন, ‘এবারে উপজেলার সব কৃষকের ব্রি-২৮ জাতের অধিকাংশ ধান রোগবালাইয়ের কারণে খেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। আমারও ক্ষতি হয়েছে।’
মুশুদ্দি এলাকার কৃষক আনছার আলী বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমার খেতের ধানগাছ সব পড়ে গেছে। ফলে ধান কাটতে শ্রমিকও বেশি লাগছে।’ পৌর এলাকার কৃষক রমজান আলী জানান, তাঁর পুরো ১ বিঘা জমিতেই রোগবালাই দেখা দেওয়ায় অর্ধেকেরও কম ফলন পেয়েছেন। বাজারে ধানের দাম না থাকায় আবাদের খরচও আসেনি তাঁর।
ধনবাড়ী বাজারের ধান ব্যবসায়ী মেসার্স তন্নী এন্টারপ্রাইজের মালিক রুকনুজ্জামান বলেন, বর্তমানে ধানের দাম আগের চেয়ে কম। ব্রি-২৮ ভালোটা ৭০০, ব্রি-২৯ ৬৫০ থেকে ৭০, সব মোটা জাতের ধান ৬২০ থেকে ৬৮০, কাটারিভোগ ৮২০ টাকার মধ্যে কিনেছেন এবার। এতে কৃষকেরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রি-২৮ ধানে রোগবালাই দেখা দেওয়ায় কৃষকের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে অন্য জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে। এদিকে শ্রমিকের মজুরি বেশি থাকায় হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দাম কম থাকায় ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫