সম্পাদকীয়
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায় আছে বেশ কিছুদিন ধরে। আগেও দেখেছি, উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক বৈরী হয়ে উঠলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেই উত্তেজনা প্রশমিত হয় দুইভাবে। সমঝোতার মাধ্যমে উত্তেজনা কমে এবং ভিসি টিকে যান, অথবা আন্দোলনের মুখে ভিসিকে পদত্যাগ করতে হয়। সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাই ভাবনাটিকে সামনে নিয়ে এসেছে।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হচ্ছেন উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে মসৃণ ও প্রশস্ত করে দেওয়ার একটা দায় রয়েছে তাঁর। দল-মতনির্বিশেষে সবার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে বর্তায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদে যখন দল ও শিক্ষকরাজনীতি প্রাধান্য পায়, তখন উপাচার্যের কাজ চালিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বিপাকে পড়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা।
একসময় উপাচার্যদের অবস্থান, সম্মান, মর্যাদা, আত্মসম্মানবোধ ছিল প্রখর। সে জায়গাটা এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মূল একটা কারণ রাজনীতি। জীবনের সব ক্ষেত্রে রাজনীতি ঢুকে যাওয়ায় দক্ষতা ও সততাই কেবল নিয়োগের শর্ত নয়, এর সঙ্গে প্রচ্ছন্ন দলীয় আনুগত্যও এখন যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পাশাপাশি রাজনীতিও একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে বলে ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষক সংগঠনগুলোও কোনো না কোনোভাবে উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে দিয়েছে। এর ফলেই সাধারণ ছাত্ররা যখন ফুঁসে ওঠেন, তখন উপাচার্যের অদক্ষতাগুলোই সবার আগে সামনে চলে আসে। কিন্তু দলীয় সমর্থন পান বলে উপাচার্য নির্বিকারভাবে তাঁর বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন দেখতে থাকেন। নিজের কৃতকর্মের জন্য একেবারেই লজ্জা পান না।
ভাবা যায় না, তারপরও দেখা যাচ্ছে শিক্ষক নিয়োগ ও বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন কার্যক্রমে অনিয়মের সঙ্গে উপাচার্যদের নাম উঠে আসছে। দলীয় আনুগত্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারি চাপ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সদ্ভাবের যোগফল। যার কারণে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছেন প্রবলভাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একজন প্রশাসক বটে, কিন্তু তিনি তো একজন একাডেমিশিয়ান। তিনি কেমন পড়ান, তাঁর গবেষণা কাজগুলো কেমন, সেগুলোও তো তাঁর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের সময় বিবেচনায় রাখতে হবে। সমাজেও তাঁর একটা গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। এর সঙ্গে থাকতে হবে সততা ও প্রশাসনিক দক্ষতা। উপাচার্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই সব যোগ্যতাকে মাথায় রাখা হচ্ছে?
একাডেমিক দক্ষতা ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার জায়গায় দলীয় আনুগত্য যদি উপাচার্য নিয়োগের মাপকাঠি হয়ে যায়, তাহলে শিক্ষায়তনের সর্বোচ্চ পদটি কলুষমুক্ত হবে না। একজন উপাচার্য দল, শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতি, ঠিকাদারের কাছে জিম্মি হয়ে থাকলে তিনি তাঁর ওপর প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করবেন কীভাবে?
উপাচার্য পদটি কলুষমুক্ত হোক—এটাই দেখতে চায় দেশের মানুষ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায় আছে বেশ কিছুদিন ধরে। আগেও দেখেছি, উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক বৈরী হয়ে উঠলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেই উত্তেজনা প্রশমিত হয় দুইভাবে। সমঝোতার মাধ্যমে উত্তেজনা কমে এবং ভিসি টিকে যান, অথবা আন্দোলনের মুখে ভিসিকে পদত্যাগ করতে হয়। সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাই ভাবনাটিকে সামনে নিয়ে এসেছে।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হচ্ছেন উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে মসৃণ ও প্রশস্ত করে দেওয়ার একটা দায় রয়েছে তাঁর। দল-মতনির্বিশেষে সবার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে বর্তায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদে যখন দল ও শিক্ষকরাজনীতি প্রাধান্য পায়, তখন উপাচার্যের কাজ চালিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বিপাকে পড়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা।
একসময় উপাচার্যদের অবস্থান, সম্মান, মর্যাদা, আত্মসম্মানবোধ ছিল প্রখর। সে জায়গাটা এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মূল একটা কারণ রাজনীতি। জীবনের সব ক্ষেত্রে রাজনীতি ঢুকে যাওয়ায় দক্ষতা ও সততাই কেবল নিয়োগের শর্ত নয়, এর সঙ্গে প্রচ্ছন্ন দলীয় আনুগত্যও এখন যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পাশাপাশি রাজনীতিও একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে বলে ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষক সংগঠনগুলোও কোনো না কোনোভাবে উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে দিয়েছে। এর ফলেই সাধারণ ছাত্ররা যখন ফুঁসে ওঠেন, তখন উপাচার্যের অদক্ষতাগুলোই সবার আগে সামনে চলে আসে। কিন্তু দলীয় সমর্থন পান বলে উপাচার্য নির্বিকারভাবে তাঁর বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন দেখতে থাকেন। নিজের কৃতকর্মের জন্য একেবারেই লজ্জা পান না।
ভাবা যায় না, তারপরও দেখা যাচ্ছে শিক্ষক নিয়োগ ও বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন কার্যক্রমে অনিয়মের সঙ্গে উপাচার্যদের নাম উঠে আসছে। দলীয় আনুগত্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারি চাপ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সদ্ভাবের যোগফল। যার কারণে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছেন প্রবলভাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একজন প্রশাসক বটে, কিন্তু তিনি তো একজন একাডেমিশিয়ান। তিনি কেমন পড়ান, তাঁর গবেষণা কাজগুলো কেমন, সেগুলোও তো তাঁর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের সময় বিবেচনায় রাখতে হবে। সমাজেও তাঁর একটা গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। এর সঙ্গে থাকতে হবে সততা ও প্রশাসনিক দক্ষতা। উপাচার্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই সব যোগ্যতাকে মাথায় রাখা হচ্ছে?
একাডেমিক দক্ষতা ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার জায়গায় দলীয় আনুগত্য যদি উপাচার্য নিয়োগের মাপকাঠি হয়ে যায়, তাহলে শিক্ষায়তনের সর্বোচ্চ পদটি কলুষমুক্ত হবে না। একজন উপাচার্য দল, শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতি, ঠিকাদারের কাছে জিম্মি হয়ে থাকলে তিনি তাঁর ওপর প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করবেন কীভাবে?
উপাচার্য পদটি কলুষমুক্ত হোক—এটাই দেখতে চায় দেশের মানুষ।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫