রুশা চৌধুরী
কদিন ধরে খুব ভাবছি, বাঙালির ‘প্রিয়তম চাওয়া’ কী হতে পারে? হঠাৎ মন বলে উঠল, ভাত আর মাছ।
এক্ষুনি অনেক বাঙালিই বলে উঠবে, ‘হলো না, হলো না, আরও আছে—কবিতা লেখা, পরচর্চা, রাগ পুষে রাখা, ভালোমতো না জেনে কোনো কিছুতে ঝাঁপিয়ে পড়া...।’ মুচকি হেসে পুঁচকে ছেলে বা মেয়েটা বলবে, ‘আসল বৈশিষ্ট্যটাই বাদ দিলে যে—প্রেম! প্রেম ছাড়া বাঙালির অস্তিত্ব-সংকট দেখা দেবে। এই এত সব বৈশিষ্ট্যের মূল সুরটাই যে প্রেম!’ মন বলল, কথাটা ভুল নয়। তবে, আজ না হয় ‘প্রেমটা’ ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। আজ একটু মাছ নিয়ে কথা বলি, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ বলে কথা।
এখন কেউ যদি প্রেমের পাশে মাছের কাঁটা খুঁজে পায়, তবে তাদের বলব, ক্রেসিডার যেমন ট্রয়লাস, লায়লীর মজনু, রোমিওর জুলিয়েট, দেবদাসের যেমন পার্বতী, আমাদের বাঙালিদের তেমনি মাছ! এই প্রেম যেমন চিরন্তন, তেমনি শাশ্বত। সময় এর ওপরে কোনো পলি জমতে দেয় না। আর যদি কিছু সুশি, পিৎজা, কাচ্চির প্রলেপ পড়েও যায়, সেটা সরিয়ে বাঙালি আবার মাছের থালাতেই হাত বাড়াবে। এই প্রেম কৃষ্ণের মতো ব্রজধাম ত্যাগ করে মথুরায় যাবে না। সে চিরকাল মাছের লেজের পাশেই বসে থাকবে। কৃষ্ণের আগে যেমন রাধার নাম, তেমনিভাবেই ‘মাছ’ জুড়ে থাকে বাঙালির নামের আগে। তারপর পা বাড়ায় উদরের দিকে।
যদি ইতিহাসের কাছে যাই, পুঁথির পাতা থেকে পাওয়া ছবিগুলো ঘাঁটলেই বেশ পেয়ে যাব কিছু না কিছু প্রমাণ।
সেই কোনকালে পাল বা সেন বংশের রাজাদের সময়কার পোড়ামাটির ফলকে ঝুড়ি ভরে সাজিয়ে রাখা মাছের ছবি, মাছ কাটা নারীদের লাস্যময়ী সব ছবি। যদি আরেক ধাপ এগিয়ে যাই, তবে চন্দ্রকেতুগড়ের ফলকে জলজ্যান্ত মৎস্যকন্যা পেয়ে যাব। ভাবা যায়, কত হাজার বছর আগে থেকেই কত লাখ-কোটি মাছের হাড় চিবিয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো করে বাঙালির মেরুদণ্ডটা তৈরি হয়েছিল!
আমাদের পাতে যেমন মাছ, তেমনি বইয়ের পাতার পদ্যজুড়েও মাছ, বিয়েবাড়ির আলপনায় যেমন মাছ, তেমনি প্রবচনেও মাছ, ছড়ায় মাছগুলো লেজ নাড়ছে তো প্রবাদের মাছগুলোকে শাকের দল খুব করে ঢেকে দিতে চাইছে!
রোগীর পথ্যে সহজপাচ্য মাছ, আবার কল্পনায় উড়ে গিয়ে সেই মাছ এঁটো পড়ে থাকার বাসনের গায়ে নকশা হয়ে আছে! নকশিকাঁথার নরম ওমে মাছ, সাজিয়ে রাখা ফুলদানিতে মাছ, জলের তলে-জলের ভারে, রমণীর টিপ, কানের দুল, হার, চুলের কাঁটা...পিঠা বা সন্দেশের ছাঁচ—কোথায় নেই মাছ? লিখতে লিখতে চোখ সরে গেল বারান্দায় রাখা পুরোনো চেয়ারটায়। ওমা! সেখানেও শুয়ে আছে জলজ্যান্ত একটা মাছ। বাঙালির জীবন, মরণ, জিতে যাওয়া, হেরে যাওয়া—সবটাতেই বড্ড-বেশি ‘মৎস্যময়তা’! ভুল বললাম?
সকাল সকাল হক সাহেবের বাজারের থলের বাইরে নড়তে থাকা লেজের দিকে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকিয়ে রহমান সাহেব যে বলে গেলেন, ‘খুব জিতে গেলেন ভাই, এত্ত সরেস মাছটা কত্ত কমে পেয়ে গেলেন।’
মায়ের পেটের ভেতরে থেকে সাধের পাতে দেওয়া মাছের মাথা আর ঝোলের স্বাদ স্মৃতিতে না থাকলেও গল্প হয়ে টেনে নিয়ে যাবে অন্নপ্রাসন্নের নরম মাছের ঝোলে, তারপর অনেক বছর মাছ ছেনেছুনে ‘আইবুড়ো-ভাতের’ থালায়ও পুরোনো জীবনটাকে ফেয়ারওয়েল দেবে মাছ! গায়েহলুদের তত্ত্ব থেকে পাওয়া বর-বউ সাজানো মাছগুলো, বিয়ের পরে প্রথম বাজারে গিয়ে সবচেয়ে বড় মাছটা কিনে আনা...মাছ বাঙালিকে একলা হতে দিল কই? জামাই-আদরে, পার্বণে, বর্জনে-অর্জনে, ভুলে যাওয়া পুতুলের বিয়ে, ঈদ, পূজো, দোল, ভাইফোঁটা—সব স্মৃতিজুড়ে কত মাছ!
আমি হলফ করে বলতে পারি, যদি বাঙালির আঁকা গুহাচিত্র থাকত, তাতে অবশ্যই বাইসনের বদলে মাছ আর সেই প্রাচীন মানুষটির হাতে বর্শার বদলে ছিপ আর মুখে নরম হাসির রেখা দেখা যেত। ক্যাপশন কল্পনা করতে দ্বিধা নেই—‘মৎস্য ধরিব, খাইব সুখে!’
রবীন্দ্রনাথও মৌরলা, বাতাসি, কাজুলি, কাতলা, চিতল, কই, খোরসোলা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দামোদর শেঠকে ‘ভেটকি’ গিলিয়ে ছন্দ মিলিয়ে গেছেন—
‘অল্পেতে খুশি হবে দামোদর শেঠ কি?
মুড়কির মোয়া চাই, চাই ভাজা ভেটকি।’
একটু মঙ্গলকাব্য ঘাঁটলে মা মনসামঙ্গল আর চণ্ডীমঙ্গলকে মাছের আদরে জবজবে হয়ে থাকতে দেখব বিজয়গুপ্তের লেখায়,
‘ভিতরে মরিচ গুঁড়ো বাহিরে জুড়ায় সুতা,
তৈলে পাক করিয়া রান্ধে চিংড়ির মাথা।
ভাজিল রোহিত আর চিতলের কোল।
কৈ মৎস্য দিয়া রান্ধে মরিচের ঝোল।’
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘গাল ভরা গোঁফ দাড়ির’ ‘তোপসে মাছ’ কবিতা নিয়ে বয়ঃসন্ধির কত কিশোর যে নাজেহাল হয়েছে, তা আর না-ই বলি। তবু সেই দুঃখ চেপে সে মানুষটিও ভাতের পাতে মাছ খাবে আর বিড়বিড় করবে,
‘কুড়ি দরে কিনে লই দেখে তাজা তাজা।
টপাটপ খেয়ে ফেলি ছাঁকাতেলে ভাজা।’
আমজনতা থেকে রাজা, নায়ক থেকে খলনায়ক, সাধু থেকে চোর-বাটপার, বাউন্ডুলে থেকে সংসারী...সব বাঙালিই মৎস্যপ্রেমী। তাই তো এ দেশে মাছেরও স্মাগলিং হয়। পত্রিকায় ইলিশ পাচারকারী চক্রের ছবি আসে। সেখানে চোরদের পাশে দাঁড়ানো চওড়া চকচকে হাসিমুখ ইলিশ হাতে পুলিশটির চেহারা মৎস্যপ্রেমী আমজনতাকে সন্দিহান করে তোলে...‘মাছগুলো তবে কে পাচ্ছে? ইশ্! এত্তগুলো তাজা ইলিশ!’
মাছ নিয়ে বলতে গেলে কলমের কালি ফুরাবে, ভাষা ক্রমাগত চিরচঞ্চল চপলা হবে, পত্রিকার কলামে জায়গা কম পড়ে যাবে। তাই আজ যাই। যেতে যেতে বলে যাই,
‘লিখিব পড়িব মরিব দুখে
মৎস্য মারিব খাইব সুখে।’
লেখক: আবৃত্তিশিল্পী
কদিন ধরে খুব ভাবছি, বাঙালির ‘প্রিয়তম চাওয়া’ কী হতে পারে? হঠাৎ মন বলে উঠল, ভাত আর মাছ।
এক্ষুনি অনেক বাঙালিই বলে উঠবে, ‘হলো না, হলো না, আরও আছে—কবিতা লেখা, পরচর্চা, রাগ পুষে রাখা, ভালোমতো না জেনে কোনো কিছুতে ঝাঁপিয়ে পড়া...।’ মুচকি হেসে পুঁচকে ছেলে বা মেয়েটা বলবে, ‘আসল বৈশিষ্ট্যটাই বাদ দিলে যে—প্রেম! প্রেম ছাড়া বাঙালির অস্তিত্ব-সংকট দেখা দেবে। এই এত সব বৈশিষ্ট্যের মূল সুরটাই যে প্রেম!’ মন বলল, কথাটা ভুল নয়। তবে, আজ না হয় ‘প্রেমটা’ ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। আজ একটু মাছ নিয়ে কথা বলি, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ বলে কথা।
এখন কেউ যদি প্রেমের পাশে মাছের কাঁটা খুঁজে পায়, তবে তাদের বলব, ক্রেসিডার যেমন ট্রয়লাস, লায়লীর মজনু, রোমিওর জুলিয়েট, দেবদাসের যেমন পার্বতী, আমাদের বাঙালিদের তেমনি মাছ! এই প্রেম যেমন চিরন্তন, তেমনি শাশ্বত। সময় এর ওপরে কোনো পলি জমতে দেয় না। আর যদি কিছু সুশি, পিৎজা, কাচ্চির প্রলেপ পড়েও যায়, সেটা সরিয়ে বাঙালি আবার মাছের থালাতেই হাত বাড়াবে। এই প্রেম কৃষ্ণের মতো ব্রজধাম ত্যাগ করে মথুরায় যাবে না। সে চিরকাল মাছের লেজের পাশেই বসে থাকবে। কৃষ্ণের আগে যেমন রাধার নাম, তেমনিভাবেই ‘মাছ’ জুড়ে থাকে বাঙালির নামের আগে। তারপর পা বাড়ায় উদরের দিকে।
যদি ইতিহাসের কাছে যাই, পুঁথির পাতা থেকে পাওয়া ছবিগুলো ঘাঁটলেই বেশ পেয়ে যাব কিছু না কিছু প্রমাণ।
সেই কোনকালে পাল বা সেন বংশের রাজাদের সময়কার পোড়ামাটির ফলকে ঝুড়ি ভরে সাজিয়ে রাখা মাছের ছবি, মাছ কাটা নারীদের লাস্যময়ী সব ছবি। যদি আরেক ধাপ এগিয়ে যাই, তবে চন্দ্রকেতুগড়ের ফলকে জলজ্যান্ত মৎস্যকন্যা পেয়ে যাব। ভাবা যায়, কত হাজার বছর আগে থেকেই কত লাখ-কোটি মাছের হাড় চিবিয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো করে বাঙালির মেরুদণ্ডটা তৈরি হয়েছিল!
আমাদের পাতে যেমন মাছ, তেমনি বইয়ের পাতার পদ্যজুড়েও মাছ, বিয়েবাড়ির আলপনায় যেমন মাছ, তেমনি প্রবচনেও মাছ, ছড়ায় মাছগুলো লেজ নাড়ছে তো প্রবাদের মাছগুলোকে শাকের দল খুব করে ঢেকে দিতে চাইছে!
রোগীর পথ্যে সহজপাচ্য মাছ, আবার কল্পনায় উড়ে গিয়ে সেই মাছ এঁটো পড়ে থাকার বাসনের গায়ে নকশা হয়ে আছে! নকশিকাঁথার নরম ওমে মাছ, সাজিয়ে রাখা ফুলদানিতে মাছ, জলের তলে-জলের ভারে, রমণীর টিপ, কানের দুল, হার, চুলের কাঁটা...পিঠা বা সন্দেশের ছাঁচ—কোথায় নেই মাছ? লিখতে লিখতে চোখ সরে গেল বারান্দায় রাখা পুরোনো চেয়ারটায়। ওমা! সেখানেও শুয়ে আছে জলজ্যান্ত একটা মাছ। বাঙালির জীবন, মরণ, জিতে যাওয়া, হেরে যাওয়া—সবটাতেই বড্ড-বেশি ‘মৎস্যময়তা’! ভুল বললাম?
সকাল সকাল হক সাহেবের বাজারের থলের বাইরে নড়তে থাকা লেজের দিকে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকিয়ে রহমান সাহেব যে বলে গেলেন, ‘খুব জিতে গেলেন ভাই, এত্ত সরেস মাছটা কত্ত কমে পেয়ে গেলেন।’
মায়ের পেটের ভেতরে থেকে সাধের পাতে দেওয়া মাছের মাথা আর ঝোলের স্বাদ স্মৃতিতে না থাকলেও গল্প হয়ে টেনে নিয়ে যাবে অন্নপ্রাসন্নের নরম মাছের ঝোলে, তারপর অনেক বছর মাছ ছেনেছুনে ‘আইবুড়ো-ভাতের’ থালায়ও পুরোনো জীবনটাকে ফেয়ারওয়েল দেবে মাছ! গায়েহলুদের তত্ত্ব থেকে পাওয়া বর-বউ সাজানো মাছগুলো, বিয়ের পরে প্রথম বাজারে গিয়ে সবচেয়ে বড় মাছটা কিনে আনা...মাছ বাঙালিকে একলা হতে দিল কই? জামাই-আদরে, পার্বণে, বর্জনে-অর্জনে, ভুলে যাওয়া পুতুলের বিয়ে, ঈদ, পূজো, দোল, ভাইফোঁটা—সব স্মৃতিজুড়ে কত মাছ!
আমি হলফ করে বলতে পারি, যদি বাঙালির আঁকা গুহাচিত্র থাকত, তাতে অবশ্যই বাইসনের বদলে মাছ আর সেই প্রাচীন মানুষটির হাতে বর্শার বদলে ছিপ আর মুখে নরম হাসির রেখা দেখা যেত। ক্যাপশন কল্পনা করতে দ্বিধা নেই—‘মৎস্য ধরিব, খাইব সুখে!’
রবীন্দ্রনাথও মৌরলা, বাতাসি, কাজুলি, কাতলা, চিতল, কই, খোরসোলা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দামোদর শেঠকে ‘ভেটকি’ গিলিয়ে ছন্দ মিলিয়ে গেছেন—
‘অল্পেতে খুশি হবে দামোদর শেঠ কি?
মুড়কির মোয়া চাই, চাই ভাজা ভেটকি।’
একটু মঙ্গলকাব্য ঘাঁটলে মা মনসামঙ্গল আর চণ্ডীমঙ্গলকে মাছের আদরে জবজবে হয়ে থাকতে দেখব বিজয়গুপ্তের লেখায়,
‘ভিতরে মরিচ গুঁড়ো বাহিরে জুড়ায় সুতা,
তৈলে পাক করিয়া রান্ধে চিংড়ির মাথা।
ভাজিল রোহিত আর চিতলের কোল।
কৈ মৎস্য দিয়া রান্ধে মরিচের ঝোল।’
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘গাল ভরা গোঁফ দাড়ির’ ‘তোপসে মাছ’ কবিতা নিয়ে বয়ঃসন্ধির কত কিশোর যে নাজেহাল হয়েছে, তা আর না-ই বলি। তবু সেই দুঃখ চেপে সে মানুষটিও ভাতের পাতে মাছ খাবে আর বিড়বিড় করবে,
‘কুড়ি দরে কিনে লই দেখে তাজা তাজা।
টপাটপ খেয়ে ফেলি ছাঁকাতেলে ভাজা।’
আমজনতা থেকে রাজা, নায়ক থেকে খলনায়ক, সাধু থেকে চোর-বাটপার, বাউন্ডুলে থেকে সংসারী...সব বাঙালিই মৎস্যপ্রেমী। তাই তো এ দেশে মাছেরও স্মাগলিং হয়। পত্রিকায় ইলিশ পাচারকারী চক্রের ছবি আসে। সেখানে চোরদের পাশে দাঁড়ানো চওড়া চকচকে হাসিমুখ ইলিশ হাতে পুলিশটির চেহারা মৎস্যপ্রেমী আমজনতাকে সন্দিহান করে তোলে...‘মাছগুলো তবে কে পাচ্ছে? ইশ্! এত্তগুলো তাজা ইলিশ!’
মাছ নিয়ে বলতে গেলে কলমের কালি ফুরাবে, ভাষা ক্রমাগত চিরচঞ্চল চপলা হবে, পত্রিকার কলামে জায়গা কম পড়ে যাবে। তাই আজ যাই। যেতে যেতে বলে যাই,
‘লিখিব পড়িব মরিব দুখে
মৎস্য মারিব খাইব সুখে।’
লেখক: আবৃত্তিশিল্পী
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪