Ajker Patrika

‘উপকূলের আতঙ্ক জলাবদ্ধতা’

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯: ৩৫
‘উপকূলের আতঙ্ক জলাবদ্ধতা’

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এরই সঙ্গে মনুষ্যসৃষ্ট নানা ধরনের সমস্যার পরিণতিতে দেশের দক্ষিণ উপকূল জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। দিনদিন এই জলাবদ্ধতা সম্প্রসারিত হচ্ছে। আগামী কোনো এক সময় সাতক্ষীরার উপকূল ভাগ পুরোপুরি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে জেলা শহর সাতক্ষীরাও জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। উপকূলজুড়ে এখন জলাবদ্ধতা এক ভয়ানক আতঙ্কের নাম।

গতকাল শনিবার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে কেন এই জলাবদ্ধতা এবং কি এর প্রতিকার এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, জরুরি ভিত্তিতে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ না করলে এ অঞ্চল বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে। কৃষি, মৎস্য, গবাদিপশু পালন স্থবির হয়ে পড়তে পারে। নোনা পানিতে উপকূল সয়লাব হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে পরিবেশ ও শ্যামল প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

সুজনের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অনেকগুলি নদীর সংযোগ রয়েছে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হলে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা প্রয়োজন। নানা কারণে এই সমন্বয় না থাকায় আমাদের দেশের নদী গুলি মরণোন্মুখ হয়ে উঠছে। বাড়ছে নদীভাঙন। মানুষ হারাচ্ছে তার সহায় সম্পদ। সেই সাথে সাতক্ষীরা সহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চল হয়ে উঠছে জলাবদ্ধ। এই দুরবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সরকারের যেমন মহাপরিকল্পনা দরকার পাশাপাশি প্রশাসন এবং জনসম্পৃক্ত সংগঠন গুলিকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ, নদী খাল দখল করে মাছের চাষ, নদীতে নেট পাটা ফেলা এসব কিছুই বন্ধ করতে না পারলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের আরও সোচ্চার হতে হবে। তাঁদের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজে নামতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধে নদীর বর্তমান অবস্থা, নদী অথবা প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণে প্রচলিত আইনসমূহ, বাংলাদেশের সংবিধান, জাতীয় পানি নীতি ১৯৯৯, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত সমূহ তুলে ধরা হয়। এতে সাতক্ষীরার কলারোয়া, সাতক্ষীরা সদর, আশাশুনি, তালা, শ্যামনগর, কালিগঞ্জ ও দেবহাটাসহ ৭টি উপজেলার নদনদী ও খালসমূহের বর্তমান অবস্থাও তুলে ধরা হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শহীদের রহমান, সুজন উপদেষ্টা অ্যাড শাহনাজ পারভিন মিলি, টিআইবির অধ্যাপক পবিত্র মোহন সরকার, জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, জেলা দুর্নীতি দমন বিরোধী কমিটির অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, বেসরকারি সংস্থা স্বদেশ পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, হাঙ্গার প্রজেক্টের রুবিনা আক্তার, প্রভাষক হেদায়েতুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...